১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভোটের আগে নয়া সমীকরণ নাকি ভরাডুবি!

বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 290

পুবের কলম প্রতিবেদক : দেশজুড়ে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর আক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে। এই আবহে বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে ময়দানে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপির একাধিক নেতা একাধিকবার রাজ্য ভাগের পক্ষে সুর চড়িয়েছে। এবার দেখা গেল রাজ্য ভাগের পক্ষে থাকা সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলকে রুখতে ব্যর্থ বিজেপি। তাই স্থানীয় ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটযুদ্ধে যেতে চাইছে বিজেপি।

জানা গিয়েছে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বা জিজেএম নেতারা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন। এবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতৃত্ব। বিগত নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তেমন কোনও ফল পায়নি বলে জানিয়েছে মোর্চা নেতৃত্ব। ভোটের আগে বিজেপির দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেই দাবিতে বিজেপি সভাপতির সঙ্গে বৈঠক বলে খবর।

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় সল্টলেকে বিজেপি কার্যালয়ে যান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। সেখানে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন যুব মোর্চা সভাপতি নমন রাই, নরেন্দ্র কামবাং, বিকাশ খাওয়াস, তোপদেন ভুটিয়া, জ্ঞানেন্দ্র ছেত্রী-সহ অন্যরা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে পাহাড়ের রাজনীতি এবং চা-বলয়ে বিজেপি ফের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইছে। শমীক ভট্টাচার্যর সঙ্গে বৈঠকের আগে ৩১ জুলাই কলকাতার নিজাম প্যালেসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং এবং মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

এমনিতেই পাহাড়ের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাবশালী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার হয়ে প্রকাশ্যে প্রচারে নামেন বিমল গুরুং। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে মোর্চা ও বিজেপির সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন চলেছিল। এবার নতুন করে দু’পক্ষের সমঝোতার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। অনেকেই সমালোচনা করছেন, রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষের উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট তৃণমূল সরকার। ফলে যারা রাজ্য ভাগের পক্ষে তাদের সঙ্গে বিজেপির জোট হলে মানুষ ভুল বুঝতে পারে। ফের ভোটে ভরাডুবি হতে পারে বিজেপির।সবটা অবশ্য সময় বলবে।

আরও পড়ুন: বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

যদিও শমীক ভট্টাচার্য তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিজেপির সঙ্গেই রয়েছে। বৈঠকে শুধুমাত্র পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুব মোর্চা সভাপতি নমন রাই বলেন,আমরা বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে বিজেপিকে সমর্থন করে আসছি। এর আগেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান-সহ ১১ টি জনজাতিকে তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল। আমরা রাজ্য বিজেপি সভাপতির সঙ্গে দেখা করে, আমাদের দাবি যাতে দ্রুত পূরণ করা হয় এবং সেই বিষয়ে যেন শমীক ভট্টাচার্য পদক্ষেপ করেন, তা জানিয়েছি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভোটের আগে নয়া সমীকরণ নাকি ভরাডুবি!

বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক

আপডেট : ২৮ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : দেশজুড়ে বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর আক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে। এই আবহে বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে ময়দানে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপির একাধিক নেতা একাধিকবার রাজ্য ভাগের পক্ষে সুর চড়িয়েছে। এবার দেখা গেল রাজ্য ভাগের পক্ষে থাকা সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলকে রুখতে ব্যর্থ বিজেপি। তাই স্থানীয় ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটযুদ্ধে যেতে চাইছে বিজেপি।

জানা গিয়েছে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বা জিজেএম নেতারা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন। এবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতৃত্ব। বিগত নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তেমন কোনও ফল পায়নি বলে জানিয়েছে মোর্চা নেতৃত্ব। ভোটের আগে বিজেপির দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেই দাবিতে বিজেপি সভাপতির সঙ্গে বৈঠক বলে খবর।

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় সল্টলেকে বিজেপি কার্যালয়ে যান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। সেখানে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন যুব মোর্চা সভাপতি নমন রাই, নরেন্দ্র কামবাং, বিকাশ খাওয়াস, তোপদেন ভুটিয়া, জ্ঞানেন্দ্র ছেত্রী-সহ অন্যরা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে পাহাড়ের রাজনীতি এবং চা-বলয়ে বিজেপি ফের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইছে। শমীক ভট্টাচার্যর সঙ্গে বৈঠকের আগে ৩১ জুলাই কলকাতার নিজাম প্যালেসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং এবং মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

এমনিতেই পাহাড়ের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাবশালী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার হয়ে প্রকাশ্যে প্রচারে নামেন বিমল গুরুং। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে মোর্চা ও বিজেপির সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন চলেছিল। এবার নতুন করে দু’পক্ষের সমঝোতার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। অনেকেই সমালোচনা করছেন, রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষের উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট তৃণমূল সরকার। ফলে যারা রাজ্য ভাগের পক্ষে তাদের সঙ্গে বিজেপির জোট হলে মানুষ ভুল বুঝতে পারে। ফের ভোটে ভরাডুবি হতে পারে বিজেপির।সবটা অবশ্য সময় বলবে।

আরও পড়ুন: বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

যদিও শমীক ভট্টাচার্য তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিজেপির সঙ্গেই রয়েছে। বৈঠকে শুধুমাত্র পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুব মোর্চা সভাপতি নমন রাই বলেন,আমরা বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে বিজেপিকে সমর্থন করে আসছি। এর আগেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান-সহ ১১ টি জনজাতিকে তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল। আমরা রাজ্য বিজেপি সভাপতির সঙ্গে দেখা করে, আমাদের দাবি যাতে দ্রুত পূরণ করা হয় এবং সেই বিষয়ে যেন শমীক ভট্টাচার্য পদক্ষেপ করেন, তা জানিয়েছি।