২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনসিপি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শরদ পাওয়ার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 262

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এনসিপি সভাপতির পদ ছাড়লেন শরদ পাওয়ার। মঙ্গলবার মুম্বইতে তাঁর জীবনীমূলক গ্রন্থ   প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। বর্ষীয়ান নেতার এহেন ঘোষণায়  স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র রাজনৈতিক মহলে। পাওয়ারের এই ঘোষণার পরেই এনসিপি সমর্থকরা এদিন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়। কর্মীরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান প্রবীণ এই নেতাকে। তবে নিজের সিদ্ধান্তে  অনড় ছিলেন শরদ পাওয়ার।

বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, ‘রাজ্যসভায় আমার মেয়াদ এখনও তিন বছর বাকি আছে। তার পর থেকে আমি আর নির্বাচনে লড়াই করব না। এই তিন বছরে আমি আরও বেশি করে দেশ এবং রাজ্যের কাজ করে যাব। নতুন কোনও দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছে আর নেই।’ তবে আপাতত সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরার কথা  ভাবছেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

পওয়ার বলেন, ‘আমার সহকর্মীদের বলতে চাই, দলের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও আমি জনগণের থেকে সরার কথা ভাবছি না। আপনাদের সঙ্গেই থাকব।’ এক সময় সকলকেই সরে দাঁড়াতে হয়। এটাই জীবনের নিয়ম। সেই নিয়ম মেনেই আমি নিজেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্ষমতার লোভ মানুষকে থামতে দেয় না। কিন্তু রাজনীতিতে সুযোগ সকলকে দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, আগামী দিনে এনসিপির প্রধান কে হবেন, সেই প্রসঙ্গে দলের  তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করতে বিশেষ প্যানেল গঠন হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

এদিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন,  দলের পরবর্তী  সভাপতি নির্বাচনের কমিটিতে থাকবেন – অজিত পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, অনিল দেশমুখ, হাসান মুশরিফ প্রমুখ।

 প্রসঙ্গত, লোকসভার আগে শরদের এই  স্বঘোসিত ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’কে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আঘাড়ির পতনের পর থেকে  অন্য সুরে গায়ছিলেন শরদ পাওয়ার। তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপি যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল বাতাসে। তবে অজিত নিজেই তা খারিজ করে দেন। সাম্প্রতিক সময়ে শরদ পাওয়ার সচেতন ভাবে এমন কিছু মন্তব্য করেন যা শুনে মনে হয়েছিল আর যায় হক বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইছেন না তিনি। দু এক বার তাঁর মুখ দিয়ে শোনা গিয়েছিল মোদির প্রশংশাও।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এনসিপি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শরদ পাওয়ার

আপডেট : ২ মে ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এনসিপি সভাপতির পদ ছাড়লেন শরদ পাওয়ার। মঙ্গলবার মুম্বইতে তাঁর জীবনীমূলক গ্রন্থ   প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। বর্ষীয়ান নেতার এহেন ঘোষণায়  স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র রাজনৈতিক মহলে। পাওয়ারের এই ঘোষণার পরেই এনসিপি সমর্থকরা এদিন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়। কর্মীরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান প্রবীণ এই নেতাকে। তবে নিজের সিদ্ধান্তে  অনড় ছিলেন শরদ পাওয়ার।

বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, ‘রাজ্যসভায় আমার মেয়াদ এখনও তিন বছর বাকি আছে। তার পর থেকে আমি আর নির্বাচনে লড়াই করব না। এই তিন বছরে আমি আরও বেশি করে দেশ এবং রাজ্যের কাজ করে যাব। নতুন কোনও দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছে আর নেই।’ তবে আপাতত সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরার কথা  ভাবছেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

পওয়ার বলেন, ‘আমার সহকর্মীদের বলতে চাই, দলের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও আমি জনগণের থেকে সরার কথা ভাবছি না। আপনাদের সঙ্গেই থাকব।’ এক সময় সকলকেই সরে দাঁড়াতে হয়। এটাই জীবনের নিয়ম। সেই নিয়ম মেনেই আমি নিজেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্ষমতার লোভ মানুষকে থামতে দেয় না। কিন্তু রাজনীতিতে সুযোগ সকলকে দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, আগামী দিনে এনসিপির প্রধান কে হবেন, সেই প্রসঙ্গে দলের  তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করতে বিশেষ প্যানেল গঠন হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

এদিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন,  দলের পরবর্তী  সভাপতি নির্বাচনের কমিটিতে থাকবেন – অজিত পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, অনিল দেশমুখ, হাসান মুশরিফ প্রমুখ।

 প্রসঙ্গত, লোকসভার আগে শরদের এই  স্বঘোসিত ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’কে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আঘাড়ির পতনের পর থেকে  অন্য সুরে গায়ছিলেন শরদ পাওয়ার। তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপি যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল বাতাসে। তবে অজিত নিজেই তা খারিজ করে দেন। সাম্প্রতিক সময়ে শরদ পাওয়ার সচেতন ভাবে এমন কিছু মন্তব্য করেন যা শুনে মনে হয়েছিল আর যায় হক বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইছেন না তিনি। দু এক বার তাঁর মুখ দিয়ে শোনা গিয়েছিল মোদির প্রশংশাও।