০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে শীলা কেই মান্যতা ডিভিশন বেঞ্চেরও

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 74

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদ যেন ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’! গত দেড় – দুই মাসে অদলবদল ঘটেছে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে। কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে এই চেয়ারম্যান পদ নিয়ে মামলা ঘুরেছে এবং ঘুরছেওবৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আইনী ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।

এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, -‘ চেয়ারম্যান পদে ফের বহাল করতে হবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে’। সিঙ্গেল বেঞ্চের  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই, এদিন তা  জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ঝালদা মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পদ খারিজের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন শীলা।

আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্ভব নয়, জানিয়ে দিলেন SSC চেয়ারম্যান

এখানে তিনি অর্থাৎ শীলা আইনী জয় পেয়েছিলেন ।এরপরই রাজ্যের তরফে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে সুদীপ কর্মকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে এই অপসারণ বেআইনি দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় জাতীয় কংগ্রেস এর জেলা নেতৃত্ব । গত ২০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন ।

আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভায় দ্রুত চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে বললো কলকাতা হাইকোর্ট

এর পাশাপাশি  সুদীপ কর্মকারকে নতুন চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়। সিঙ্গেল বেঞ্চের  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়।বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিত্‍ বন্দোপাধ্যায় এর  ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের মনোনীত চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারের অপসারণে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে করানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ডিভিশন বেঞ্চ  জানায়, -‘ শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজে মহকুমাশাসকের নির্দেশিকার উপরও বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। শুধু তাই নয়, মূল মামলা সিঙ্গেল  বেঞ্চে ফেরতও পাঠিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে । গত পুরভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৫টি করে আসন পায়। বাকি ২ আসন জেতেন নির্দলের শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। এই দুই নির্দলের সমর্থনে প্রথমে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল।

যদিও পরে একে একে সোমনাথ ও শীলা সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এরপর সেই বোর্ডে অনাস্থা আনে জাতীয়  কংগ্রেস। নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ যোগ দেন কংগ্রেসে। তবে শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলেই থেকে গুরত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন ঝালদা পুরসভার অনাস্থা পর্বে। কংগ্রেস তাঁকে চেয়ারপার্সন করার কথা ঘোষণা করে। পাল্টা বোর্ড গঠনে সমর্থন করেন শীলাও।

তবে  পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল লিখিত অভিযোগে মহকুমাশাসক কে জানান, -‘শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তিনি আবার কংগ্রেসে সমর্থন করছেন। তাই তাঁর কাউন্সিলর পদে বহাল রাখা ঠিক নয়’ । মহকুমাশাসকের দফতরে শুনানি চলে । শীলার কাউন্সিলর পদ বাতিলও ঘোষণা করেন মহকুমাশাসক । এই পদ বাতিলের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন শীলা।সেখানে তিনি সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পান।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে শীলা কেই মান্যতা ডিভিশন বেঞ্চেরও

আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদ যেন ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’! গত দেড় – দুই মাসে অদলবদল ঘটেছে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে। কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে এই চেয়ারম্যান পদ নিয়ে মামলা ঘুরেছে এবং ঘুরছেওবৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আইনী ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।

এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, -‘ চেয়ারম্যান পদে ফের বহাল করতে হবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে’। সিঙ্গেল বেঞ্চের  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই, এদিন তা  জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ঝালদা মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পদ খারিজের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন শীলা।

আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্ভব নয়, জানিয়ে দিলেন SSC চেয়ারম্যান

এখানে তিনি অর্থাৎ শীলা আইনী জয় পেয়েছিলেন ।এরপরই রাজ্যের তরফে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে সুদীপ কর্মকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে এই অপসারণ বেআইনি দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় জাতীয় কংগ্রেস এর জেলা নেতৃত্ব । গত ২০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন ।

আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভায় দ্রুত চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে বললো কলকাতা হাইকোর্ট

এর পাশাপাশি  সুদীপ কর্মকারকে নতুন চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়। সিঙ্গেল বেঞ্চের  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়।বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিত্‍ বন্দোপাধ্যায় এর  ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলে। সেখানে রাজ্যের মনোনীত চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারের অপসারণে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে করানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ডিভিশন বেঞ্চ  জানায়, -‘ শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজে মহকুমাশাসকের নির্দেশিকার উপরও বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। শুধু তাই নয়, মূল মামলা সিঙ্গেল  বেঞ্চে ফেরতও পাঠিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে । গত পুরভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৫টি করে আসন পায়। বাকি ২ আসন জেতেন নির্দলের শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। এই দুই নির্দলের সমর্থনে প্রথমে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল।

যদিও পরে একে একে সোমনাথ ও শীলা সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এরপর সেই বোর্ডে অনাস্থা আনে জাতীয়  কংগ্রেস। নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ যোগ দেন কংগ্রেসে। তবে শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলেই থেকে গুরত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন ঝালদা পুরসভার অনাস্থা পর্বে। কংগ্রেস তাঁকে চেয়ারপার্সন করার কথা ঘোষণা করে। পাল্টা বোর্ড গঠনে সমর্থন করেন শীলাও।

তবে  পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল লিখিত অভিযোগে মহকুমাশাসক কে জানান, -‘শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তিনি আবার কংগ্রেসে সমর্থন করছেন। তাই তাঁর কাউন্সিলর পদে বহাল রাখা ঠিক নয়’ । মহকুমাশাসকের দফতরে শুনানি চলে । শীলার কাউন্সিলর পদ বাতিলও ঘোষণা করেন মহকুমাশাসক । এই পদ বাতিলের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন শীলা।সেখানে তিনি সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পান।