১২ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তি পেল নারী ক্ষমতায়ণ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে তৈরি শর্ট ফিল্ম

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 208

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা এবার প্রতিফলিত হবে সিনেপর্দায়। বিশেষ করে তাঁর নারী ক্ষমতায়ণের বার্তা নিয়ে এবার তৈরি হচ্ছে বিশেষ শর্ট ফিল্ম ‘পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড’। পরিচালক ও নির্দেশক পার্থসারথি রায়। এই শর্ট ফিল্মে সিতাইয়ের বিধায়ক সঙ্গীতা রায় অভিনয় করেছেন।  পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড হিসেবে পর্দায় দেখা যাবে স্বয়ং ছবির পরিচালক ও নির্দেশক পার্থসারথি রায়কে। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার বাসভবনে রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শর্ট ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীত্বের দায়িত্বে নেওয়ার পর থেকে  নারী ক্ষমতায়ণের ওপর জোর দিয়ে আসছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক পদে বাংলার নারী প্রতিনিধিদের সংখ্যা প্রায় ৩৯ শতাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী ক্ষমতায়ণের ভাবনা বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত। এর আগে পার্থসারথি রায়ের পরিচালনায় ও নির্দেশনায় রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি জনমুখী প্রকল্পের প্রচারে তৈরি হওয়া ‘সামাজিক দায়ভার’ নামে শর্ট ফিল্মটি সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এই ‘পঞ্চায়েতের হাসব্যান্ড’ শর্ট ফিল্মটিও সোস্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই প্রচার পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে নারীদের যে কোণঠাসা করে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে, এই স্বল্প দৈর্ঘ্যরে ছবিতে তাকেই তুলে ধরা হয়েছে। শর্ট ফিল্মটিতে দেখানো হয়েছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন পঞ্চায়েত সদস্যা মহিলা জনপ্রতিনিধিকে এলাকায় দিনের পর দিন জনসংযোগ করতে দেখা যায় না। কারণ, সেই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর অতিরিক্ত খরবদারি। তিনি তাঁর জনপ্রতিনিধি স্ত্রীর কাজে পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করে তাঁকে জনগণের পরিষেবা প্রদানের কাজ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত করে রেখেছেন। চরিত্রটি মনে করে, ‘আমি পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড মানে আমিই পঞ্চায়েত। ’ ভোটারদের মধ্যে থেকে জনৈক বেলাল মিয়াঁ এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হয়ে ওঠে। গ্রামের আরেক ভোটার লক্ষ্মণের পরামর্শে ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরে অভিযোগ জানানো হয়। বাস্তবের মতো এই সিনেমাতেও দেখা যায়, এই দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করায় কাজ হয়েছে। এরপর ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর কী পরিণতি হয়? কীভাবে রাজ্য সরকারের কল্যাণমূলক পরিষেবার কথা গোটা সিনেমায় তুলে ধরা হয়, সেটাই দেখানো হয়েছে এই শর্ট ফিল্মটিতে।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

সিতাইয়ের বিধায়ত সঙ্গীতা রায় ছাড়াও এই শর্ট ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোচবিহার জেলা পরিষদ সদস্যা শ্রাবণী ঝাঁ, দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের গোসানিমারি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানিক চন্দ্র বর্মন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি হিসেবে মৌলির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দীপ্তি বর্মন।

আরও পড়ুন: অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পঞ্চায়েতের হাসবেন্ডের ভূমিকায় পার্থসারথি রায় জানিয়েছেন রাজ্য সরকার যেভাবে নারী অগ্রগতি ও ক্ষমতায়ণকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন, তার সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতেই এই শর্ট ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। সিতাইয়ের বিধায়ক সঙ্গীতা রায় জানিয়েছেন, নারী ক্ষমতায়ণ নিয়ে মমতা ব¨্যােপাধ্যায়ের ভাবনা অবিসংবাদিত। এই শর্ট ফিল্মে একজন বিধায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতে পেরে আমি গর্বিত। সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, পঞ্চায়েতে এখনও নারী প্রতিনিধিদের একশো শতাংশকে কাজের ময়দানে তেমন একটা দেখা যায় না। এই বিষয়ে নারী প্রতিনিধিদের আরও সচেতন হবে। আসন সংরক্ষণের ভিত্তিতে মহিলা জনপ্রতিনিধিদেরও পুরুষদের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করা উচিত। সেক্ষেত্রে এই শর্ট ফিল্ম সচেতনতা বাড়াতে একটি বিশেষ বার্তা দেবে বলেই মনে করছেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুক্তি পেল নারী ক্ষমতায়ণ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে তৈরি শর্ট ফিল্ম

আপডেট : ২ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা এবার প্রতিফলিত হবে সিনেপর্দায়। বিশেষ করে তাঁর নারী ক্ষমতায়ণের বার্তা নিয়ে এবার তৈরি হচ্ছে বিশেষ শর্ট ফিল্ম ‘পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড’। পরিচালক ও নির্দেশক পার্থসারথি রায়। এই শর্ট ফিল্মে সিতাইয়ের বিধায়ক সঙ্গীতা রায় অভিনয় করেছেন।  পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড হিসেবে পর্দায় দেখা যাবে স্বয়ং ছবির পরিচালক ও নির্দেশক পার্থসারথি রায়কে। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার বাসভবনে রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শর্ট ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীত্বের দায়িত্বে নেওয়ার পর থেকে  নারী ক্ষমতায়ণের ওপর জোর দিয়ে আসছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক পদে বাংলার নারী প্রতিনিধিদের সংখ্যা প্রায় ৩৯ শতাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী ক্ষমতায়ণের ভাবনা বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত। এর আগে পার্থসারথি রায়ের পরিচালনায় ও নির্দেশনায় রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি জনমুখী প্রকল্পের প্রচারে তৈরি হওয়া ‘সামাজিক দায়ভার’ নামে শর্ট ফিল্মটি সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এই ‘পঞ্চায়েতের হাসব্যান্ড’ শর্ট ফিল্মটিও সোস্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই প্রচার পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে নারীদের যে কোণঠাসা করে রাখার একটা প্রবণতা রয়েছে, এই স্বল্প দৈর্ঘ্যরে ছবিতে তাকেই তুলে ধরা হয়েছে। শর্ট ফিল্মটিতে দেখানো হয়েছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন পঞ্চায়েত সদস্যা মহিলা জনপ্রতিনিধিকে এলাকায় দিনের পর দিন জনসংযোগ করতে দেখা যায় না। কারণ, সেই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর অতিরিক্ত খরবদারি। তিনি তাঁর জনপ্রতিনিধি স্ত্রীর কাজে পুরোপুরি হস্তক্ষেপ করে তাঁকে জনগণের পরিষেবা প্রদানের কাজ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত করে রেখেছেন। চরিত্রটি মনে করে, ‘আমি পঞ্চায়েতের হাসবেন্ড মানে আমিই পঞ্চায়েত। ’ ভোটারদের মধ্যে থেকে জনৈক বেলাল মিয়াঁ এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হয়ে ওঠে। গ্রামের আরেক ভোটার লক্ষ্মণের পরামর্শে ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরে অভিযোগ জানানো হয়। বাস্তবের মতো এই সিনেমাতেও দেখা যায়, এই দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করায় কাজ হয়েছে। এরপর ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর কী পরিণতি হয়? কীভাবে রাজ্য সরকারের কল্যাণমূলক পরিষেবার কথা গোটা সিনেমায় তুলে ধরা হয়, সেটাই দেখানো হয়েছে এই শর্ট ফিল্মটিতে।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

সিতাইয়ের বিধায়ত সঙ্গীতা রায় ছাড়াও এই শর্ট ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোচবিহার জেলা পরিষদ সদস্যা শ্রাবণী ঝাঁ, দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের গোসানিমারি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানিক চন্দ্র বর্মন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি হিসেবে মৌলির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দীপ্তি বর্মন।

আরও পড়ুন: অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পঞ্চায়েতের হাসবেন্ডের ভূমিকায় পার্থসারথি রায় জানিয়েছেন রাজ্য সরকার যেভাবে নারী অগ্রগতি ও ক্ষমতায়ণকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন, তার সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতেই এই শর্ট ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। সিতাইয়ের বিধায়ক সঙ্গীতা রায় জানিয়েছেন, নারী ক্ষমতায়ণ নিয়ে মমতা ব¨্যােপাধ্যায়ের ভাবনা অবিসংবাদিত। এই শর্ট ফিল্মে একজন বিধায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতে পেরে আমি গর্বিত। সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, পঞ্চায়েতে এখনও নারী প্রতিনিধিদের একশো শতাংশকে কাজের ময়দানে তেমন একটা দেখা যায় না। এই বিষয়ে নারী প্রতিনিধিদের আরও সচেতন হবে। আসন সংরক্ষণের ভিত্তিতে মহিলা জনপ্রতিনিধিদেরও পুরুষদের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করা উচিত। সেক্ষেত্রে এই শর্ট ফিল্ম সচেতনতা বাড়াতে একটি বিশেষ বার্তা দেবে বলেই মনে করছেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।