ইসরো চেয়ারম্যানের জোরাজুরিতে এড়ানো গেছে দূর্ঘটনা জানালেন Shubhansh Shukla
- আপডেট : ২২ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 100
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ একটা ছোট্ট ভুল জীবন কেড়ে নিতে পারে। আর বিষয়টি যদি মহাকাশযাত্রার হয়, তাহলে তো সংশয় সর্বসময় থাকে। হাজারো ঝুঁকি নিয়ে মহাকাশচারীরা নানা মিশনে অংশ নেন, ভারতের শুভাংশ শুক্লাও (Shubhansh Shukla) নিয়েছিলেন। আর তাঁর মিশনের ক্ষেত্রেও বড় একটি গলদ ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে ইসরো। খোদ শুক্লাই এমনটা জানিয়েছেন।
ভারতীয় মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ফ্যালকন-৯ রকেটে তরল অক্সিজেনের লিকেজ শনাক্ত করে তাঁকে এবং তাঁর সহযাত্রীদের জীবন রক্ষা করেছে ইসরো। তিনি বলেন, “এই ধরনের মিশন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দায়িত্বের। এখানে একটুখানি ভুলও মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। ইসরোর বিশেষজ্ঞরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেই সমস্যাটা ধরা পড়ে। তাঁদের আলোচনার ফলেই জীবন রক্ষা হয়েছে আমাদের।”
অ্যাক্সিওম-৪ (Axiom 4) মিশনের প্রথমে নির্ধারিত উৎক্ষেপণের তারিখ ছিল ২৯ মে, তবে স্পেস-এক্সের ড্রাগন মহাকাশযান পুরোপুরি প্রস্তুত না থাকায় মিশন পিছিয়ে যায়। জুনের শুরুতে তা আবার বাতিল হয় প্রবল হাওয়ার জন্য। পরে ফ্যালকন-৯ রকেটের অক্সিডাইজার লাইনে তরল অক্সিজেন লিক ধরা পড়ে। ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণনের জোরাজুরিতেই স্পেস-এক্স বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা করে। তাতেই ফাটল ধরা পড়ে, যা যাত্রা শুরু হলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পরিণত হতে পারত।
ইসরো প্রধানের বক্তব্য, “স্পেসএক্স শুরুতে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু আমরা জানতাম, ফাটল থাকলে লঞ্চের কম্পনে সঙ্গে সঙ্গে তা ভেঙে পড়বে। তখন আর কিছুই করার থাকবে না।” তাঁর দাবি, ইসরোর ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জোরপূর্বক পুরোপুরি মেরামতির কাজ করানো হয়। এই সংশোধন না হলে চার মহাকাশচারীর জীবনই শেষ হয়ে যেতে পারত। সব সমস্যার সমাধান হওয়ার পর গত ২৫ জুন শুভাংশু শুক্লা সহ (Shubhansh Shukla) চার মহাকাশচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দেন। ১৫ জুলাই সকলে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।