১৬ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধানসভার অন্দরে কী প্রকাশ্যে শুভেন্দু-সুকান্ত দ্বন্দ্ব!

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 103

পুবের কলম প্রতিবেদনঃ দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে গুঞ্জন ছিল আগেই। এবার প্রকাশ্যে চলে এল শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্বের ছবি। এক্ষেত্রে একজন আসতেই সাক্ষাৎ এড়াতে অন্যজন ছাড়লেন বিধানসভা। আগে থেকেই তৈরি ছিল সিডিউল তা সত্ত্বেও এদিন দুপুরে যখন বিধানসভায় এলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক তখন বিধানসভা ছেড়ে চলে গেলেন শুভেন্দু।

কথা ছিল দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করবেন দলের রাজ্য সভাপতি। কিন্তু দেখা গেল, সুকান্তকে দলের বাকি বিধায়করা স্বাগত জানালেও অনুপস্থিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর স্বয়ং রাজ্য সভাপতি যখন আসছেন, শুভেন্দু চলে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বিরোধী দলনেতা এবং দলের রাজ্য সভাপতি এ অপরের মুখোমুখি হতে চাইছেন না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর ২ টো নাগাদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের আসার কথা ছিল বিধানসভায়। শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপি পরিষদীয় দল কিভাবে বিধানসভায় আচরণ করবে তা বেঁধে দিতেই তার এদিন আসা। কিন্তু সেখানে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলেছে তাহলে কি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিরোধী দলনেতার সেজন্যই এই আচরণ।

আরও পড়ুন: বিধানসভাতে বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী আসা নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের

যদিও এ নিয়ে বিতর্ক বেশিদূর এগোতে দেননি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, শুভেন্দুর হাই কোর্টে যাওয়ার ব্যাপার ছিল। তাই তিনি ওই সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি। এতে কোনও জল্পনার নেই। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে আসায় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা হলো না তাঁর।

আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা নিয়ে উত্তপ্ত বিধানসভা, ড্রপ বক্স রাখার পরামর্শ অধ্যক্ষের

এদিন তার দলের বিধায়কদের কাজ প্রসঙ্গে প্রশংসা শোনা গিয়েছে রাজ্য সভাপতির গলায়। সুকান্ত জানিয়েছেন, তাঁর দলের বিধায়কেরা বিধানসভায় ভাল কাজ করছেন। একই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের উদ্দেশ্যে তার অভিযোগ, বিরোধীরা প্রশ্ন করলেও অনেক সময় উত্তর দেন না শাসক দলের বিধায়ক-মন্ত্রীরা। বলা হয়, পরে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে আর কিছু জানানো হয় না বলেও দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: জোড়া ইস্যুতে তপ্ত বিধানসভা! ওয়াকআউট বিজেপির

বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, বিধানসভায় সাধারণ মানুষের হয়ে প্রশ্ন করেন বিরোধীরা। অথচ সেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না এই সরকার। তার অভিযোগ এই সরকার ভয় পাচ্ছে। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে যাবতীয় দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে যাবে তাই এই ধরনের আচরণ শাসকের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিধানসভার অন্দরে কী প্রকাশ্যে শুভেন্দু-সুকান্ত দ্বন্দ্ব!

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদনঃ দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে গুঞ্জন ছিল আগেই। এবার প্রকাশ্যে চলে এল শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্বের ছবি। এক্ষেত্রে একজন আসতেই সাক্ষাৎ এড়াতে অন্যজন ছাড়লেন বিধানসভা। আগে থেকেই তৈরি ছিল সিডিউল তা সত্ত্বেও এদিন দুপুরে যখন বিধানসভায় এলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক তখন বিধানসভা ছেড়ে চলে গেলেন শুভেন্দু।

কথা ছিল দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করবেন দলের রাজ্য সভাপতি। কিন্তু দেখা গেল, সুকান্তকে দলের বাকি বিধায়করা স্বাগত জানালেও অনুপস্থিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর স্বয়ং রাজ্য সভাপতি যখন আসছেন, শুভেন্দু চলে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বিরোধী দলনেতা এবং দলের রাজ্য সভাপতি এ অপরের মুখোমুখি হতে চাইছেন না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর ২ টো নাগাদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের আসার কথা ছিল বিধানসভায়। শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপি পরিষদীয় দল কিভাবে বিধানসভায় আচরণ করবে তা বেঁধে দিতেই তার এদিন আসা। কিন্তু সেখানে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলেছে তাহলে কি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিরোধী দলনেতার সেজন্যই এই আচরণ।

আরও পড়ুন: বিধানসভাতে বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী আসা নিয়ে প্রশ্ন হাই কোর্টের

যদিও এ নিয়ে বিতর্ক বেশিদূর এগোতে দেননি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, শুভেন্দুর হাই কোর্টে যাওয়ার ব্যাপার ছিল। তাই তিনি ওই সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি। এতে কোনও জল্পনার নেই। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে আসায় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা হলো না তাঁর।

আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা নিয়ে উত্তপ্ত বিধানসভা, ড্রপ বক্স রাখার পরামর্শ অধ্যক্ষের

এদিন তার দলের বিধায়কদের কাজ প্রসঙ্গে প্রশংসা শোনা গিয়েছে রাজ্য সভাপতির গলায়। সুকান্ত জানিয়েছেন, তাঁর দলের বিধায়কেরা বিধানসভায় ভাল কাজ করছেন। একই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের উদ্দেশ্যে তার অভিযোগ, বিরোধীরা প্রশ্ন করলেও অনেক সময় উত্তর দেন না শাসক দলের বিধায়ক-মন্ত্রীরা। বলা হয়, পরে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে আর কিছু জানানো হয় না বলেও দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: জোড়া ইস্যুতে তপ্ত বিধানসভা! ওয়াকআউট বিজেপির

বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, বিধানসভায় সাধারণ মানুষের হয়ে প্রশ্ন করেন বিরোধীরা। অথচ সেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না এই সরকার। তার অভিযোগ এই সরকার ভয় পাচ্ছে। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে যাবতীয় দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে যাবে তাই এই ধরনের আচরণ শাসকের