২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

SIR digitalization ডিজিটাইজেশনে মিলছে না ২৮ লক্ষ ভোটারের হদিশ; মৃত শনাক্ত প্রায় ৯ লক্ষ

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 107

ভোটার তালিকা সংশোধনের চলমান প্রক্রিয়ায় বড়সড় অসঙ্গতি সামনে এসেছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ ইনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়েছে, তার সঙ্গে প্রায় ২৮ লক্ষ ভোটারের তথ্য ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং ও ম্যাচিং করানো যায়নি। এর মধ্যে প্রায় ৯ লক্ষ মৃত ভোটার শনাক্ত হয়েছে। বাকি প্রায় ১৯ লক্ষ ভোটারের কোনোরূপ হদিশ পাওয়া যায়নি,তাঁরা ‘ডুপ্লিকেট’, ‘শিফটেড’ বা ‘অ্যাবসেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত।

বুধবার পর্যন্ত রাজ্যের ৭৮.৪২ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ হিসাবে আপাতত খসড়া তালিকা থেকে ২৮ লক্ষের মতো ভোটারের নাম বাদ পড়া প্রায় নিশ্চিত, যদিও এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

কমিশন জানাচ্ছে, ডিজিটাইজেশনের শেষ পর্যায়ে চূড়ান্ত সংখ্যা আরও স্পষ্ট হবে। ৪ ডিসেম্বর পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে জানা যাবে মোট কতজনের নাম মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে যাঁদের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাবে, তাঁদের তালিকা পঞ্চায়েত, বিডিও ও জেলা শাসকের দপ্তরে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। কেউ মনে করলে তাঁর নাম ভুলবশত বাদ গেছে, তিনি সংশ্লিষ্ট এআরও, ইআরও বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

ভোটার তালিকা হালনাগাদে মৃতদের চিহ্নিত করতে কমিশন আগেই আধার তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইউআইডিএআই জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ লক্ষ মৃত ব্যক্তির আধার নম্বর কমিশনের কাছে আছে। রাজ্যের ১৩ লক্ষ মানুষের আধার নেই বলেও তথ্য দিয়েছে তারা। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহক তথ্য, এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদনকারীদের তথ্যও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য জেলার তুলনায় কলকাতায় ডুপ্লিকেট, শিফটেড ও ডিলিটেড ভোটারের সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ৩০ শতাংশ ফর্ম এখনো সংগ্রহ করা যায়নি মহানগরে,যা উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

SIR digitalization ডিজিটাইজেশনে মিলছে না ২৮ লক্ষ ভোটারের হদিশ; মৃত শনাক্ত প্রায় ৯ লক্ষ

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

ভোটার তালিকা সংশোধনের চলমান প্রক্রিয়ায় বড়সড় অসঙ্গতি সামনে এসেছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ ইনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়েছে, তার সঙ্গে প্রায় ২৮ লক্ষ ভোটারের তথ্য ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং ও ম্যাচিং করানো যায়নি। এর মধ্যে প্রায় ৯ লক্ষ মৃত ভোটার শনাক্ত হয়েছে। বাকি প্রায় ১৯ লক্ষ ভোটারের কোনোরূপ হদিশ পাওয়া যায়নি,তাঁরা ‘ডুপ্লিকেট’, ‘শিফটেড’ বা ‘অ্যাবসেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত।

বুধবার পর্যন্ত রাজ্যের ৭৮.৪২ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ হিসাবে আপাতত খসড়া তালিকা থেকে ২৮ লক্ষের মতো ভোটারের নাম বাদ পড়া প্রায় নিশ্চিত, যদিও এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

কমিশন জানাচ্ছে, ডিজিটাইজেশনের শেষ পর্যায়ে চূড়ান্ত সংখ্যা আরও স্পষ্ট হবে। ৪ ডিসেম্বর পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে জানা যাবে মোট কতজনের নাম মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে যাঁদের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাবে, তাঁদের তালিকা পঞ্চায়েত, বিডিও ও জেলা শাসকের দপ্তরে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। কেউ মনে করলে তাঁর নাম ভুলবশত বাদ গেছে, তিনি সংশ্লিষ্ট এআরও, ইআরও বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

ভোটার তালিকা হালনাগাদে মৃতদের চিহ্নিত করতে কমিশন আগেই আধার তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইউআইডিএআই জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ লক্ষ মৃত ব্যক্তির আধার নম্বর কমিশনের কাছে আছে। রাজ্যের ১৩ লক্ষ মানুষের আধার নেই বলেও তথ্য দিয়েছে তারা। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহক তথ্য, এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদনকারীদের তথ্যও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য জেলার তুলনায় কলকাতায় ডুপ্লিকেট, শিফটেড ও ডিলিটেড ভোটারের সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ৩০ শতাংশ ফর্ম এখনো সংগ্রহ করা যায়নি মহানগরে,যা উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে।