০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার পাসপোর্ট পেয়েছেন স্নোডেন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 6

  পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রুশ নাগরিক হিসেবে শপথ নিয়েছেন মার্কিন হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন। শপথগ্রহণের পর দেশটির  পাসপোর্ট পেয়েছেন তিনি। তার আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে আনাতোলি কুচেরেনা জানান, স্নোডেনের স্ত্রী লিন্ডসে মিলস-ও রুশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন।  রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্নোডেনকে রাশিয়ার নাগরিকত্ব প্রদানের ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে আমেরিকার বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করে দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন স্নোডেন। আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ফাঁসের ঘটনায় সামনে আসে মার্কিনিদের ওপর ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা নজরদারির ভয়াবহতা। তথ্যফাঁসের পর থেকেই স্নোডেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন নিজ দেশ থেকে। আমেরিকা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, তাতে মার্কিন আইন অনুযায়ী তার অন্তত ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ব্যক্তির তালিকাতেও স্নোডেনের নাম রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তাকে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় পুতিন প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বরে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা করে ক্রেমলিন। ২০১৭ সালে পুতিন বলেছিলেন, ‘আমেরিকার গোপন নীতি ফাঁস করা ছিল স্নোডেনের ভুল। তবে তিনি বিশ্বাসঘাতক নন।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাশিয়ার পাসপোর্ট পেয়েছেন স্নোডেন

আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

  পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রুশ নাগরিক হিসেবে শপথ নিয়েছেন মার্কিন হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন। শপথগ্রহণের পর দেশটির  পাসপোর্ট পেয়েছেন তিনি। তার আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে আনাতোলি কুচেরেনা জানান, স্নোডেনের স্ত্রী লিন্ডসে মিলস-ও রুশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন।  রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্নোডেনকে রাশিয়ার নাগরিকত্ব প্রদানের ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে আমেরিকার বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করে দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন স্নোডেন। আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ফাঁসের ঘটনায় সামনে আসে মার্কিনিদের ওপর ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা নজরদারির ভয়াবহতা। তথ্যফাঁসের পর থেকেই স্নোডেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন নিজ দেশ থেকে। আমেরিকা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, তাতে মার্কিন আইন অনুযায়ী তার অন্তত ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ব্যক্তির তালিকাতেও স্নোডেনের নাম রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তাকে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় পুতিন প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বরে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা করে ক্রেমলিন। ২০১৭ সালে পুতিন বলেছিলেন, ‘আমেরিকার গোপন নীতি ফাঁস করা ছিল স্নোডেনের ভুল। তবে তিনি বিশ্বাসঘাতক নন।’