২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী তথা সমাজকর্মী মেধা পাটকর গ্রেফতার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 89

নয়াদিল্লি: নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী ও সমাজকর্মী মেধা পাটকরকে শুক্রবার দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।২০০১ সালের একটি মানহানির মামলায় এই গ্রেফতার বলে জানা যায়। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মেধা গত বছর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রবেশন বন্ড জমা না দেওয়ার জন্য বুধবার আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তারই জেরে শুক্রবার দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপ।

আদালতের নির্দেশ মেনে, দিল্লি পুলিশ শুক্রবার সকালে মেধা পাটকরকে গ্রেফতার করে। ২০০১ সালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা মামলাটি নথিভুক্ত করেন। সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ বিশাল সিংহ বলেন যে, ‘মেধা পাটকর আদালতে উপস্থিত হননি এবং তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে শাস্তি সম্পর্কিত আদেশ অনুসরণ করেননি। পাটকরের উদ্দেশ্য স্পষ্টতই ছিল আদালতের আদেশ অমান্য করা এবং শুনানি এড়ানো।’ যেহেতু সাজার উপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই আদালত বলেছে যে পাটকরকে হাজির করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ৩ মে হবে।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের জুলাই মাসে এই মামলায় রায় দিয়েছিল আদালত। সেই কারণে তাঁর পাঁচ মাসের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের সাজা হয়েছিল। কিন্তু মেধা পাটকর গত বছর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। আপিলের মাধ্যমে তাঁকে জামিন দেওয়া হয় এবং তার পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা স্থগিত করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা (ফৌজদারি মানহানি) এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ২০০১ সালে বিনয় কুমার সাক্সেনা আহমেদাবাদ-ভিত্তিক এনজিও ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিজ’-এর প্রধান থাকাকালীন এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। সাক্সেনা বলেছিলেন যে, মেধা পাটকর, ২৫ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে কাপুরুষ ও দেশবিরোধী বলে অভিহিত করেছিলেন। এছাড়াও ওই বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছিলেন, হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাক্সেনা এবং তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘এজেন্ট’ বলেও দাবি করেছিলেন মেধা। এই মামলায় আদালত পাটকরকে দোষী সাব্যস্ত করে বলেছিল যে তাঁর বক্তব্য ইচ্ছাকৃত, বিদ্বেষপূর্ণ এবং সাক্সেনার সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ছিল।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী তথা সমাজকর্মী মেধা পাটকর গ্রেফতার

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

নয়াদিল্লি: নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী ও সমাজকর্মী মেধা পাটকরকে শুক্রবার দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।২০০১ সালের একটি মানহানির মামলায় এই গ্রেফতার বলে জানা যায়। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মেধা গত বছর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রবেশন বন্ড জমা না দেওয়ার জন্য বুধবার আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তারই জেরে শুক্রবার দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপ।

আদালতের নির্দেশ মেনে, দিল্লি পুলিশ শুক্রবার সকালে মেধা পাটকরকে গ্রেফতার করে। ২০০১ সালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা মামলাটি নথিভুক্ত করেন। সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ বিশাল সিংহ বলেন যে, ‘মেধা পাটকর আদালতে উপস্থিত হননি এবং তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে শাস্তি সম্পর্কিত আদেশ অনুসরণ করেননি। পাটকরের উদ্দেশ্য স্পষ্টতই ছিল আদালতের আদেশ অমান্য করা এবং শুনানি এড়ানো।’ যেহেতু সাজার উপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই আদালত বলেছে যে পাটকরকে হাজির করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ৩ মে হবে।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের জুলাই মাসে এই মামলায় রায় দিয়েছিল আদালত। সেই কারণে তাঁর পাঁচ মাসের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের সাজা হয়েছিল। কিন্তু মেধা পাটকর গত বছর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। আপিলের মাধ্যমে তাঁকে জামিন দেওয়া হয় এবং তার পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা স্থগিত করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা (ফৌজদারি মানহানি) এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ২০০১ সালে বিনয় কুমার সাক্সেনা আহমেদাবাদ-ভিত্তিক এনজিও ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিজ’-এর প্রধান থাকাকালীন এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। সাক্সেনা বলেছিলেন যে, মেধা পাটকর, ২৫ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে কাপুরুষ ও দেশবিরোধী বলে অভিহিত করেছিলেন। এছাড়াও ওই বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছিলেন, হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাক্সেনা এবং তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘এজেন্ট’ বলেও দাবি করেছিলেন মেধা। এই মামলায় আদালত পাটকরকে দোষী সাব্যস্ত করে বলেছিল যে তাঁর বক্তব্য ইচ্ছাকৃত, বিদ্বেষপূর্ণ এবং সাক্সেনার সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ছিল।