২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদানির বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়াতে গতি, পরিস্থিতি সামাল দিতে নেপালের দ্বারস্থ বাংলাদেশ

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 54

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নেপালের দ্বারস্থ হল বাংলাদেশ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এই খবর জানা গেছে। পাশাপাশি আদানির বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়াতেও গতি আনা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট।

পূর্বে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো এখন কমতে কমতে তার পরিমাণ মাত্র ৪০ শতাংশে এসে ঠেকেছে। তাই নেপালের শরণাপন্ন হয়েছে তারা। তবে তাতেও চাহিদা কতটা মিটবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

জানা গেছে, আদানি পাওয়ার আগষ্টের শুরুর দিকে ঝাড়খন্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদুৎ সরবরাহ করতো। বকেয়া মেটানোর দাবিতে সেই সরবারাহ কমাতে কমাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার পরিমাণ এসে ঠেকেছে ৫২০ মেগাওয়াটে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ ফাউজুল কবীর খান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা ধাপে ধাপে বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছি। যদি কেউ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করবো। আমারা কোনও বিদ্যুৎ সরবরাহকারীর কাছে বন্দি হয়ে থাকবো না।
যদিও এ বিষয়ে আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয় নি। তবে সূত্রের খবর বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা এবং বকেয়ার কথা মাথায় রেখে সরবরাহ ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার বকেয়া না মেটালে নভেম্বরের পরে বিদ্যুৎ পাঠানো হবে না বলে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আদানি পাওয়ার, সেটি তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়ায় গতি এনেছে। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আদানির বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়াতে গতি, পরিস্থিতি সামাল দিতে নেপালের দ্বারস্থ বাংলাদেশ

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নেপালের দ্বারস্থ হল বাংলাদেশ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এই খবর জানা গেছে। পাশাপাশি আদানির বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়াতেও গতি আনা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট।

পূর্বে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো এখন কমতে কমতে তার পরিমাণ মাত্র ৪০ শতাংশে এসে ঠেকেছে। তাই নেপালের শরণাপন্ন হয়েছে তারা। তবে তাতেও চাহিদা কতটা মিটবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

জানা গেছে, আদানি পাওয়ার আগষ্টের শুরুর দিকে ঝাড়খন্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদুৎ সরবরাহ করতো। বকেয়া মেটানোর দাবিতে সেই সরবারাহ কমাতে কমাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার পরিমাণ এসে ঠেকেছে ৫২০ মেগাওয়াটে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ ফাউজুল কবীর খান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা ধাপে ধাপে বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছি। যদি কেউ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করবো। আমারা কোনও বিদ্যুৎ সরবরাহকারীর কাছে বন্দি হয়ে থাকবো না।
যদিও এ বিষয়ে আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয় নি। তবে সূত্রের খবর বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা এবং বকেয়ার কথা মাথায় রেখে সরবরাহ ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার বকেয়া না মেটালে নভেম্বরের পরে বিদ্যুৎ পাঠানো হবে না বলে যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আদানি পাওয়ার, সেটি তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়ায় গতি এনেছে। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।