জুলাই মাসে চতুর্থ উষ্ণতম রাতের রেকর্ড শ্রীনগরে, উপত্যকা জুড়ে জলের ঘাটতি, পানীয় জলের সংকট

- আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 92
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরে গরমের রেকর্ড অব্যাহত। জুন উষ্ণতম মাসের রেকর্ড করার পর এবার উষ্ণতম রাতের তকমা ছিনিয়ে নিল জুলাই। প্রথম সপ্তাহেই চতুর্থ উষ্ণতম রাত হিসাবে রেকর্ড করল জুলাই মাস। শ্রীনগরে জুলাই মাসে রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, এটি জুলাই মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। স্বাধীন আবহাওয়া গবেষক ফয়জান আরিফের মতে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে রাতের তাপামাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শ্রীনগরে জুলাই মাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে। ফয়জানের মতে, ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই শ্রীনগরে রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই একই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৮৮ সালে ২১ জুলাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার কাজিগুন্ডে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরিফের মতে জুলাই মাসে কাজিগুন্ডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পূর্ববর্তী রেকর্ড ছিল ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই রেকর্ড করা হয়েছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পহেলগাঁওতে শনিবার রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জুলাই মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসাবে রেকর্ড করেছে। এর আগে জুলাই মাসে পহেলগাঁওয়ের সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই রেকর্ড করা হয়েছিল। শ্রীনগরে এই মরশুমের দ্বিতীয় উষ্ণতম দিন ছিল শুক্রবার। দিনেরবেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনগরে এই মরশুমের সবচেয়ে উষ্ণতম দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ জুন এবং ২৪ জুন এই দু’দিন ছিল রেকর্ড তাপমাত্রা। শুক্রবার জম্মুর চেয়ে বেশি উষ্ণ ছিল শ্রীনগর। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জম্মু উপত্যকার তুলনায় বেশি গরম ছিল। টানা তাপপ্রবাহের ফলে উপত্যকা জুড়ে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে কিছু এলাকায় পানীয় জলের সংকট চরমে পৌঁছোছে। তাপপ্রবাহের কারণে, প্রশাসন স্কুল ও কলেজগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করেছে। ক্রমাগত তাপপ্রবাহের কারণে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাড়ানোর জন্য অভিভাবক এবং নাগরিক সমাজের কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জনগণকে বেশি করে জল খেতে এবং দরকার না হলে দুপুরে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।