০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নবান্ন থেকে চিঠি গেল নির্বাচন কমিশনে

SIR নিয়ে এখনই প্রস্তুত নয় রাজ্য

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 25

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নবান্ন-নির্বাচন কমিশনের টানাপোড়েন বর্তমানে আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বিহারে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) বা ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন শুরু হলেও, পশ্চিমবঙ্গে তা এখনই সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। কারণ পশ্চিমবঙ্গ এখনও প্রস্তুত নয়।

নির্বাচন কমিশনের তরফে চাপ থাকলেও, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যে রাজ্য এইমূহুর্তে SIR-এর জন্য প্রস্তুত নয়। আর এইভাবে তো পরিমার্জন করা যায় না। সূত্রের খবর, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছা যে, ভোটার তালিকার এমন সমীক্ষা ও সংশোধনের জন্য ন্যূনতম দু’বছর সময়ের প্রয়োজন। অথচ কিছুদিন আগেই রাজ্যের সিইও দফতর কমিশনকে জানায়, বাংলা SIR-এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: বিহারে SIR নিয়ে সংসদে উত্তাল বিরোধী শিবির

কিন্তু বর্তমানে, সেই অবস্থান থেকে কার্যত সরে এসে তড়িঘড়ি ভিন্ন মত জানাল নবান্ন। এমনকি মুখ্যসচিবের চিঠিতে ক্ষোভের সুরও রয়েছে বলে খবর। রাজ্যের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই নির্বাচন কমিশনের কাছে সিইও দফতরের এমন বার্তা পাঠনো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের মধ্যে অসন্তোষ স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: বিহারে রাতারাতি ১.২৬ কোটি ভোটার মুছে দিল নির্বাচন কমিশন: সাকেত

এই অবস্থানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সবটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। সরকার মরিয়া হয়ে SIR আটকাতে চাইছে। কারণ, ভোটার তালিকা সংশোধন হলে রোহিঙ্গাদের ভোটে জেতা সরকারের মুখোশ খুলে যাবে, মুখ থুবড়ে পড়বে। আশা রাখছি, কমিশন নিশ্চয়ই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য পদক্ষেপ করবে।”

আরও পড়ুন: ছয় মাসে ২২ লক্ষ মৃত্যু? নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান ঘিরে বিস্ফোরক আরজেডির

অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও ছেড়ে কথা বলেনি। দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “SIR নিয়ে প্রহসন চলছে। রাহুল গান্ধী তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে ভোট চুরি হচ্ছে। কমিশন বরং সেসব প্রশ্নের উত্তর দিক।”

উল্লেখ্য, বিহারে SIR শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে একাধিকবার চিঠি দিয়ে সিইও দফতরকে ‘স্বতন্ত্র’ করে তোলার দাবিও জানানো হয়। তার পর থেকেই ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠেছে এই দ্বন্দ্ব।

এই নিয়ে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সংঘাতের শেষ SIR প্রসঙ্গ দিয়েই হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিতবে কে— রাজ্য সরকার না নির্বাচন কমিশন, এখন সেটাই দেখার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নবান্ন থেকে চিঠি গেল নির্বাচন কমিশনে

SIR নিয়ে এখনই প্রস্তুত নয় রাজ্য

আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নবান্ন-নির্বাচন কমিশনের টানাপোড়েন বর্তমানে আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বিহারে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) বা ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন শুরু হলেও, পশ্চিমবঙ্গে তা এখনই সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। কারণ পশ্চিমবঙ্গ এখনও প্রস্তুত নয়।

নির্বাচন কমিশনের তরফে চাপ থাকলেও, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যে রাজ্য এইমূহুর্তে SIR-এর জন্য প্রস্তুত নয়। আর এইভাবে তো পরিমার্জন করা যায় না। সূত্রের খবর, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছা যে, ভোটার তালিকার এমন সমীক্ষা ও সংশোধনের জন্য ন্যূনতম দু’বছর সময়ের প্রয়োজন। অথচ কিছুদিন আগেই রাজ্যের সিইও দফতর কমিশনকে জানায়, বাংলা SIR-এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: বিহারে SIR নিয়ে সংসদে উত্তাল বিরোধী শিবির

কিন্তু বর্তমানে, সেই অবস্থান থেকে কার্যত সরে এসে তড়িঘড়ি ভিন্ন মত জানাল নবান্ন। এমনকি মুখ্যসচিবের চিঠিতে ক্ষোভের সুরও রয়েছে বলে খবর। রাজ্যের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই নির্বাচন কমিশনের কাছে সিইও দফতরের এমন বার্তা পাঠনো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের মধ্যে অসন্তোষ স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: বিহারে রাতারাতি ১.২৬ কোটি ভোটার মুছে দিল নির্বাচন কমিশন: সাকেত

এই অবস্থানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সবটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। সরকার মরিয়া হয়ে SIR আটকাতে চাইছে। কারণ, ভোটার তালিকা সংশোধন হলে রোহিঙ্গাদের ভোটে জেতা সরকারের মুখোশ খুলে যাবে, মুখ থুবড়ে পড়বে। আশা রাখছি, কমিশন নিশ্চয়ই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য পদক্ষেপ করবে।”

আরও পড়ুন: ছয় মাসে ২২ লক্ষ মৃত্যু? নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান ঘিরে বিস্ফোরক আরজেডির

অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও ছেড়ে কথা বলেনি। দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, “SIR নিয়ে প্রহসন চলছে। রাহুল গান্ধী তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে ভোট চুরি হচ্ছে। কমিশন বরং সেসব প্রশ্নের উত্তর দিক।”

উল্লেখ্য, বিহারে SIR শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে একাধিকবার চিঠি দিয়ে সিইও দফতরকে ‘স্বতন্ত্র’ করে তোলার দাবিও জানানো হয়। তার পর থেকেই ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠেছে এই দ্বন্দ্ব।

এই নিয়ে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সংঘাতের শেষ SIR প্রসঙ্গ দিয়েই হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিতবে কে— রাজ্য সরকার না নির্বাচন কমিশন, এখন সেটাই দেখার।