০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালকেল্লার মালিকানার দাবি কলকাতার সুলতানা বেগমের, জেনে নিন কে তিনি

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 9

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :  সেই মুঘলরা নেই, নেই তাদের সুবিশাল সাম্রাজ্যও৷ কিন্তু এক মহিলা নিজেকে মুঘল রাজবংশের উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করেছেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি দিল্লির ঐতিহাসিক রেড ফোর্ট বা লালকেল্লার মালিকানার দাবি জানিয়েছেন। সুলতানা বেগম নামের ওই নারী কলকাতার উপকণ্ঠে একটি বস্তিতে বাস করেন৷

পেনশনের অল্প টাকায় জীবন চলছে তার। তার এই দাবির পক্ষে প্রমাণ হচ্ছে তিনি মির্জা মুহাম্মদ বেদার বখতকে বিয়ে করেছেন। বলা হচ্ছে তিনি ভারতে শেষ মুঘল শাসক বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্র। ১৯৮০-এর দশকে বেদার বখতের মৃত্যুর পর সুলতানা বেগম দুর্দশার মধ্য দিয়ে জীবন পার করছেন। গত দশ বছর ধরে রাজ মর্যাদা ফিরে পাওয়া ও ক্ষতিপূরণ পেতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে যাচ্ছেন তিনি।

৬৮ বছর বয়সের এই মহিলা প্রশ্ন তুলেছেন, ভাবতে পারেন তাজমহল তৈরি করা সম্রাটের বংশধর এখন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন? আমি আশা করি সরকার আমার ইনসাফ নিশ্চিত করবে। কোনও কিছুর মালিক যদি কেউ হয় তাকে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। সুলতানার এই দাবিকে সমর্থনকারীরা বলছেন, তার প্রয়াত স্বামীর বংশ শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়।

১৮৩৭ সালে জাফরের রাজ্যাভিষেকের সময় তার সাম্রাজ্য দিল্লির সীমান্ত পর্যন্ত সংকুচিত হয়ে যায়। ২০ বছর পর সিপাহী বিদ্রোহের সময় ৮২ বছর বয়সি জাফরকে নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন বিদ্রোহীরা। এক মাসের মধ্যেই ব্রিটিশ বাহিনী দিল্লি ঘেরাও করে নৃশংসভাবে বিদ্রোহ দমন করে। আত্মসমর্পণ করার পরও জাফরের জীবিত ১০ সন্তানকে হত্যা করা হয়। এসময় জাফরকে তৎকালীন বার্মা অর্থাৎ মায়ানমারে নির্বাসিত করা হয়। পাঁচ বছর পর তার মৃত্যু হয়। সুলতানা বেগমের মামলায় বলা হয়েছে, ভারত সরকার কেল্লাটির অবৈধ দখলদার। তাই এটি তার মালিকানায় ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লালকেল্লার মালিকানার দাবি কলকাতার সুলতানা বেগমের, জেনে নিন কে তিনি

আপডেট : ১ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :  সেই মুঘলরা নেই, নেই তাদের সুবিশাল সাম্রাজ্যও৷ কিন্তু এক মহিলা নিজেকে মুঘল রাজবংশের উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করেছেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি দিল্লির ঐতিহাসিক রেড ফোর্ট বা লালকেল্লার মালিকানার দাবি জানিয়েছেন। সুলতানা বেগম নামের ওই নারী কলকাতার উপকণ্ঠে একটি বস্তিতে বাস করেন৷

পেনশনের অল্প টাকায় জীবন চলছে তার। তার এই দাবির পক্ষে প্রমাণ হচ্ছে তিনি মির্জা মুহাম্মদ বেদার বখতকে বিয়ে করেছেন। বলা হচ্ছে তিনি ভারতে শেষ মুঘল শাসক বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্র। ১৯৮০-এর দশকে বেদার বখতের মৃত্যুর পর সুলতানা বেগম দুর্দশার মধ্য দিয়ে জীবন পার করছেন। গত দশ বছর ধরে রাজ মর্যাদা ফিরে পাওয়া ও ক্ষতিপূরণ পেতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে যাচ্ছেন তিনি।

৬৮ বছর বয়সের এই মহিলা প্রশ্ন তুলেছেন, ভাবতে পারেন তাজমহল তৈরি করা সম্রাটের বংশধর এখন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন? আমি আশা করি সরকার আমার ইনসাফ নিশ্চিত করবে। কোনও কিছুর মালিক যদি কেউ হয় তাকে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। সুলতানার এই দাবিকে সমর্থনকারীরা বলছেন, তার প্রয়াত স্বামীর বংশ শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়।

১৮৩৭ সালে জাফরের রাজ্যাভিষেকের সময় তার সাম্রাজ্য দিল্লির সীমান্ত পর্যন্ত সংকুচিত হয়ে যায়। ২০ বছর পর সিপাহী বিদ্রোহের সময় ৮২ বছর বয়সি জাফরকে নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন বিদ্রোহীরা। এক মাসের মধ্যেই ব্রিটিশ বাহিনী দিল্লি ঘেরাও করে নৃশংসভাবে বিদ্রোহ দমন করে। আত্মসমর্পণ করার পরও জাফরের জীবিত ১০ সন্তানকে হত্যা করা হয়। এসময় জাফরকে তৎকালীন বার্মা অর্থাৎ মায়ানমারে নির্বাসিত করা হয়। পাঁচ বছর পর তার মৃত্যু হয়। সুলতানা বেগমের মামলায় বলা হয়েছে, ভারত সরকার কেল্লাটির অবৈধ দখলদার। তাই এটি তার মালিকানায় ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।