১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফাঁসির পরিবর্তে কেন্দ্রকে বিকল্প মৃত্যুর সাজা অনুসন্ধানের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের, পরবর্তী শুনানি ২ মে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 34

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিরলের থেকে বিরলতম ঘটনায় বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের ভারতে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়। এবার সেই ফাঁসিকে নিষ্ঠুর আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রকে বিকল্প মৃত্যুর সাজা অনুসন্ধান প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে নিষ্ঠুর মৃত্যুর পরিবর্তে কম বেদনাদায়ক মৃত্যুর পদ্ধতির বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে জনমত সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কেটরামানিকে নির্দেশ দিয়েছে, ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে অপরাধীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে জনমানসে কি প্রভাব পড়ছে সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে কোর্টকে জানাতে।

আরও পড়ুন: ভারতের সংবিধানই এই অস্পৃশ্যকে সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে : গাভাই

শীর্ষ আদালত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের শাস্তি বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি আদালতে বেদনাদায়ক মৃত্যুর পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতি খোঁজার প্রস্তাব আদালতে পেশ করেন। ফাঁসির পরিবর্তে গুলি, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন ও ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে মৃত্যুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ আগস্ট নিট পিজি পরীক্ষা নিতে নির্দেশ শীর্ষ কোর্টের

আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা আদালতে জানিয়েছেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে মৃত্যু খুব নিষ্ঠুর একটি প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন: বিচারপতি ভার্মাকে সরানোর প্রস্তুতি, সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনছে কেন্দ্র

এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, সত্যি এটি মানুষের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। আমাদের নির্দিষ্টভাবে কোনও বিকল্প পদ্ধতি অনুসন্ধান করতে হবে, যেখান মৃত্যুর যন্ত্রণা কম হবে। এই বিষয়ে আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছি। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২ মে।

বিচারপতি পিএস নরসিমা বলেন, মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যুই কাম্য। এখানে এটা প্রশ্ন নয় যে কোন মৃত্যু কম বেদনাদায়ক। মৃত্যুর একটা মর্যাদা থাকা উচিৎ। এখানে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনকে কি এই তালিকায় আনা যেতে পারে? তবে জানা গিয়েছে, অনেক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন সহজে পাওয়া যায় না।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনও বেদনাদায়ক। তবে দেখতে হবে, এই ইঞ্জেকশনেও কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হবে তা গবেষণা সাপেক্ষ্য। যদি দেখা যায়, এই গবেষণা সন্তোষজনক সেক্ষেত্রে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফাঁসির পরিবর্তে কেন্দ্রকে বিকল্প মৃত্যুর সাজা অনুসন্ধানের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের, পরবর্তী শুনানি ২ মে

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিরলের থেকে বিরলতম ঘটনায় বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের ভারতে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়। এবার সেই ফাঁসিকে নিষ্ঠুর আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রকে বিকল্প মৃত্যুর সাজা অনুসন্ধান প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে নিষ্ঠুর মৃত্যুর পরিবর্তে কম বেদনাদায়ক মৃত্যুর পদ্ধতির বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে জনমত সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কেটরামানিকে নির্দেশ দিয়েছে, ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে অপরাধীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে জনমানসে কি প্রভাব পড়ছে সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে কোর্টকে জানাতে।

আরও পড়ুন: ভারতের সংবিধানই এই অস্পৃশ্যকে সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে : গাভাই

শীর্ষ আদালত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের শাস্তি বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি আদালতে বেদনাদায়ক মৃত্যুর পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতি খোঁজার প্রস্তাব আদালতে পেশ করেন। ফাঁসির পরিবর্তে গুলি, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন ও ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে মৃত্যুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ আগস্ট নিট পিজি পরীক্ষা নিতে নির্দেশ শীর্ষ কোর্টের

আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা আদালতে জানিয়েছেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে মৃত্যু খুব নিষ্ঠুর একটি প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন: বিচারপতি ভার্মাকে সরানোর প্রস্তুতি, সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনছে কেন্দ্র

এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, সত্যি এটি মানুষের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। আমাদের নির্দিষ্টভাবে কোনও বিকল্প পদ্ধতি অনুসন্ধান করতে হবে, যেখান মৃত্যুর যন্ত্রণা কম হবে। এই বিষয়ে আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছি। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২ মে।

বিচারপতি পিএস নরসিমা বলেন, মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যুই কাম্য। এখানে এটা প্রশ্ন নয় যে কোন মৃত্যু কম বেদনাদায়ক। মৃত্যুর একটা মর্যাদা থাকা উচিৎ। এখানে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনকে কি এই তালিকায় আনা যেতে পারে? তবে জানা গিয়েছে, অনেক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন সহজে পাওয়া যায় না।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনও বেদনাদায়ক। তবে দেখতে হবে, এই ইঞ্জেকশনেও কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হবে তা গবেষণা সাপেক্ষ্য। যদি দেখা যায়, এই গবেষণা সন্তোষজনক সেক্ষেত্রে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হবে।