১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসসির গ্রুপ সি ও ডি মামলায় হস্তক্ষেপ করলো না সুপ্রিম কোর্ট

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 383

মোল্লা জসিমউদ্দিন: সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না সুপ্রিমকোর্ট। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আবেদন করেছিল ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের একাংশ, কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

যাতে স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার, আর জোর ধাক্কা খেল যোগ্য প্রার্থীরা। আসলে শিক্ষক নিয়োগের মতো, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও যাতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়, সেই নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন যোগ্যদের একাংশ। কিন্তু সোমবার তাদের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষাকর্মী নিয়োগে রাজ্যের কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চাইল না শীর্ষ আদালত। এক্ষেত্রে মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল যে, নিয়োগ নিয়ে তাঁরা কোনও নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। তাই নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: বিচারকরা রাজা নন, তারা জনগণের জনসেবক: বিচারপতি গাভাই

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। তখন সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, যাঁরা চিহ্নিত দাগী নন, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তখনই শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্যে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার আবেদন জানান গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। কিন্তু তাদের আবেদনও খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে আইনের কড়াকড়ি ছাড়িয়ে সুবিচার, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

সোমবার এই মামলা শুনানির জন্যে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি আলোক আরাধের বেঞ্চে ওঠে। তখনই বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করে জানায়, ‘মূল মামলায় রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাও কেন বারবার আবেদন করা হচ্ছে। কোনও অতিরিক্ত মামলার আবেদন শোনা হবে না।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এসএসসির গ্রুপ সি ও ডি মামলায় হস্তক্ষেপ করলো না সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না সুপ্রিমকোর্ট। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আবেদন করেছিল ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের একাংশ, কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

যাতে স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার, আর জোর ধাক্কা খেল যোগ্য প্রার্থীরা। আসলে শিক্ষক নিয়োগের মতো, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও যাতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়, সেই নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন যোগ্যদের একাংশ। কিন্তু সোমবার তাদের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষাকর্মী নিয়োগে রাজ্যের কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চাইল না শীর্ষ আদালত। এক্ষেত্রে মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল যে, নিয়োগ নিয়ে তাঁরা কোনও নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। তাই নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: বিচারকরা রাজা নন, তারা জনগণের জনসেবক: বিচারপতি গাভাই

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। তখন সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, যাঁরা চিহ্নিত দাগী নন, তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তখনই শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্যে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার আবেদন জানান গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। কিন্তু তাদের আবেদনও খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে আইনের কড়াকড়ি ছাড়িয়ে সুবিচার, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

সোমবার এই মামলা শুনানির জন্যে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি আলোক আরাধের বেঞ্চে ওঠে। তখনই বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করে জানায়, ‘মূল মামলায় রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাও কেন বারবার আবেদন করা হচ্ছে। কোনও অতিরিক্ত মামলার আবেদন শোনা হবে না।