১৬ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বড়সড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, ৬ মাসের ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ বাতিল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 149

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বড়সড় রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট তার এক রায়ে জানিয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এখন আর ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে না। ৬ মাসের ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ বাতিল করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ রাখল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। ৬ মাসের সময়সীমা না দিয়েই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে শীর্ষ আদালত।  সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ না দিয়েই বিবাহ ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। তবে তা পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র প্রযোজ্য। সোমবার সুপ্রিম কোর্টর  পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বিবাহ-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনটাই পর্যবেক্ষণ রেখেছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী।

আরও পড়ুন: SIR নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা তৃণমূলের

আইনি বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে মূলত ছিল দুটি প্রশ্ন: ১৪২ ধারার অধীনে প্রাপ্ত এই বিশেষ ক্ষমতা অনুশীলন সুপ্রিম কোর্টের সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত কি না, নাকি এই ধরনের বিশেষ ক্ষমতার অনুশীলন বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হবে। অন্য প্রশ্নটি ছিল হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩-বি ধারায় উল্লেখিত বাধ্যতামূলক অপেক্ষার সময়কাল মেনে চলার জন্য পারিবারিক আদালতে নির্দেশ না দিয়ে ইচ্ছুক পক্ষের মধ্যে বিবাহ ভেঙে দেওয়ার জন্য সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনস্থ কর্তৃত্বের ব্যবহার করার জন্য সাধারণ নির্দেশিকা সম্পর্কিত। ২০২২ সালের ২৯  সেপ্টেম্বরই এই মামলার শুনানি শেষ হয়৷

আরও পড়ুন: বিচারকরা রাজা নন, তারা জনগণের জনসেবক: বিচারপতি গাভাই

উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মে ইসলাম ধর্মে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে সত্ত্বর তালাক দেওয়া উচিত। উভয় পক্ষের সম্মতিতে অভিভাবকের পক্ষ থেকে থেকে তালাক অনুমোদন করা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখা অনুমোদন করে না ইসলামি শরিয়াহ আইন।

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বড়সড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, ৬ মাসের ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ বাতিল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ

আপডেট : ১ মে ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বড়সড় রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট তার এক রায়ে জানিয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এখন আর ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে না। ৬ মাসের ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ বাতিল করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ রাখল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। ৬ মাসের সময়সীমা না দিয়েই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে শীর্ষ আদালত।  সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ না দিয়েই বিবাহ ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। তবে তা পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র প্রযোজ্য। সোমবার সুপ্রিম কোর্টর  পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বিবাহ-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনটাই পর্যবেক্ষণ রেখেছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী।

আরও পড়ুন: SIR নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা তৃণমূলের

আইনি বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে মূলত ছিল দুটি প্রশ্ন: ১৪২ ধারার অধীনে প্রাপ্ত এই বিশেষ ক্ষমতা অনুশীলন সুপ্রিম কোর্টের সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত কি না, নাকি এই ধরনের বিশেষ ক্ষমতার অনুশীলন বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হবে। অন্য প্রশ্নটি ছিল হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩-বি ধারায় উল্লেখিত বাধ্যতামূলক অপেক্ষার সময়কাল মেনে চলার জন্য পারিবারিক আদালতে নির্দেশ না দিয়ে ইচ্ছুক পক্ষের মধ্যে বিবাহ ভেঙে দেওয়ার জন্য সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনস্থ কর্তৃত্বের ব্যবহার করার জন্য সাধারণ নির্দেশিকা সম্পর্কিত। ২০২২ সালের ২৯  সেপ্টেম্বরই এই মামলার শুনানি শেষ হয়৷

আরও পড়ুন: বিচারকরা রাজা নন, তারা জনগণের জনসেবক: বিচারপতি গাভাই

উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মে ইসলাম ধর্মে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে সত্ত্বর তালাক দেওয়া উচিত। উভয় পক্ষের সম্মতিতে অভিভাবকের পক্ষ থেকে থেকে তালাক অনুমোদন করা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখা অনুমোদন করে না ইসলামি শরিয়াহ আইন।

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট