০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিনা বোরা হত্যামামলায় ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২২, বুধবার
  • / 10

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  শিনা বোরা হত্যামামলায় মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চে ইন্দ্রাণীর জামিন-মামলাটির শুনানি হয়। বেঞ্চ বলে, ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে মেয়েকে খুন করার ব্যাপারে জোরালো সাক্ষ্য প্রমাণও পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় ইন্দ্রাণীকে জেলবন্দি করে রাখার কোনও অর্থ হয় না। এরপরই তিন বিচারপতির বেঞ্চ জামিনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ট্রায়াল কোর্ট। নিম্ন আদালতের সন্তুষ্টির উপর ভিত্তি করে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে।

বেঞ্চ আরও জানায়, ‘ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় সাড়ে ছয় বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। সাড়ে ৬ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। এই মামলাটি পরিস্থিতিগত প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। আমরা মামলার যোগ্যতা নিয়ে মন্তব্য করছি না। ৫০ শতাংশ সাক্ষ্যকে যদি ছেড়েও দিই তাহলেও এই মামলার নিষ্পত্তি সহজে হবে না। তাই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হল। কারণ শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। পিটার মুখোপাধ্যায়ের ওপরে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল, সেই শর্ত বজায় রাখা হবে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের ওপরেও।

শুনানি চলাকালীন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহিতোগী বলেন, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় তিনবছরের অধিক সময়ে জেলে আছেন। তাই ৪৩৭ ধারার অধীনে তিনি বিশেষ ব্যবস্থা পাওয়ার অধিকারী। গত ১১ মাস ধরে বিচারের অগ্রগতি হয়নি। এই মামলায় মোট ২৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এই কয়েক বছরের মধ্যে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে প্যারোল দেওয়া হয়নি।

কেন প্যারোল মঞ্জুর করা হয়নি, তা জানতে চায় বেঞ্চ।

এই প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী মুকুল রোহিতোগী আদালতকে জানান, পিটার মুখোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় জামিন পাননি। তারা দুজনেই তাদের মেয়েকে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।

এর পরেই বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, শিনা বোরা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে ছিলেন, পিটার মুখোপাধ্যায়ের নয়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তার মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছরের বেশি ধরে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী। তবে একই মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইন্দ্রাণীর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে। ২০২০ সালে জামিন পান পিটার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিনা বোরা হত্যামামলায় ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট : ১৮ মে ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  শিনা বোরা হত্যামামলায় মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চে ইন্দ্রাণীর জামিন-মামলাটির শুনানি হয়। বেঞ্চ বলে, ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে মেয়েকে খুন করার ব্যাপারে জোরালো সাক্ষ্য প্রমাণও পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় ইন্দ্রাণীকে জেলবন্দি করে রাখার কোনও অর্থ হয় না। এরপরই তিন বিচারপতির বেঞ্চ জামিনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ট্রায়াল কোর্ট। নিম্ন আদালতের সন্তুষ্টির উপর ভিত্তি করে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে।

বেঞ্চ আরও জানায়, ‘ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় সাড়ে ছয় বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। সাড়ে ৬ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। এই মামলাটি পরিস্থিতিগত প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। আমরা মামলার যোগ্যতা নিয়ে মন্তব্য করছি না। ৫০ শতাংশ সাক্ষ্যকে যদি ছেড়েও দিই তাহলেও এই মামলার নিষ্পত্তি সহজে হবে না। তাই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হল। কারণ শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। পিটার মুখোপাধ্যায়ের ওপরে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল, সেই শর্ত বজায় রাখা হবে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের ওপরেও।

শুনানি চলাকালীন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহিতোগী বলেন, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় তিনবছরের অধিক সময়ে জেলে আছেন। তাই ৪৩৭ ধারার অধীনে তিনি বিশেষ ব্যবস্থা পাওয়ার অধিকারী। গত ১১ মাস ধরে বিচারের অগ্রগতি হয়নি। এই মামলায় মোট ২৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। এই কয়েক বছরের মধ্যে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে প্যারোল দেওয়া হয়নি।

কেন প্যারোল মঞ্জুর করা হয়নি, তা জানতে চায় বেঞ্চ।

এই প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী মুকুল রোহিতোগী আদালতকে জানান, পিটার মুখোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় জামিন পাননি। তারা দুজনেই তাদের মেয়েকে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।

এর পরেই বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, শিনা বোরা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে ছিলেন, পিটার মুখোপাধ্যায়ের নয়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তার মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছরের বেশি ধরে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী। তবে একই মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইন্দ্রাণীর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে। ২০২০ সালে জামিন পান পিটার।