১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছর শাসনের অবসান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 37

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান। সিরিয়া দখল বিদ্রোহীদের। রবিবারই রাজধানী দামাস্কাসের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে এসেছে।  ইতিমধ্যেই রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। আলেপ্পো, হামা সহ একাধিক শহর আগেই দখল করেছিল বিদ্রোহীরা। এবার রাজধানী দামাস্কা। আর এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটল। ১৯৭১ সালে দেশটির সামরিক নেতা হাফেজ আল-আসাদ ক্ষমতায় আসেন এবং এরপর প্রায় তিন দশক দেশ পরিচালনা করেন। ২০০০ সালের জুন মাসে তার মৃত্যুর পর পুত্র বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

২০০০ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর, ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন।

আন্দোলন বাড়তে থাকলে আসাদ তার বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন এবং দমননীতি জোরদার করেন। এর ফলে দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হন। আসাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।

যুদ্ধ চলাকালীন সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নির্বাচন আয়োজন করেন বাশার আল-আসাদ। তবে এই নির্বাচন অনেকের কাছে অগণতান্ত্রিক বলে বিবেচিত হয়েছে।

যদিও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদ কখনোই বিজয় নিশ্চিত করতে পারেননি, কিন্তু তারপরও তিনি তার সমর্থকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘু আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন।
অবশেষে রবিবার বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে যান দীর্ঘ বাশার আল-আসাদ, অবসান হয় আসাদ পরিবারের সুদীর্ঘ ৫৩ বছরের শাসনের।
Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছর শাসনের অবসান

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান। সিরিয়া দখল বিদ্রোহীদের। রবিবারই রাজধানী দামাস্কাসের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে এসেছে।  ইতিমধ্যেই রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। আলেপ্পো, হামা সহ একাধিক শহর আগেই দখল করেছিল বিদ্রোহীরা। এবার রাজধানী দামাস্কা। আর এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটল। ১৯৭১ সালে দেশটির সামরিক নেতা হাফেজ আল-আসাদ ক্ষমতায় আসেন এবং এরপর প্রায় তিন দশক দেশ পরিচালনা করেন। ২০০০ সালের জুন মাসে তার মৃত্যুর পর পুত্র বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

২০০০ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর, ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন।

আন্দোলন বাড়তে থাকলে আসাদ তার বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন এবং দমননীতি জোরদার করেন। এর ফলে দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হন। আসাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।

যুদ্ধ চলাকালীন সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নির্বাচন আয়োজন করেন বাশার আল-আসাদ। তবে এই নির্বাচন অনেকের কাছে অগণতান্ত্রিক বলে বিবেচিত হয়েছে।

যদিও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদ কখনোই বিজয় নিশ্চিত করতে পারেননি, কিন্তু তারপরও তিনি তার সমর্থকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘু আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন।
অবশেষে রবিবার বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে যান দীর্ঘ বাশার আল-আসাদ, অবসান হয় আসাদ পরিবারের সুদীর্ঘ ৫৩ বছরের শাসনের।