০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :

পাপিষ্ঠরা যেখানে গেল, সেখানে গিয়েই ভরাডুবি হল: বিশ্বকাপ নিয়ে বিঁধলেন মমতা
পুবের কলম প্রতিবেদক: তার সামনে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অপয়া’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধি। পাল্টা

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
এম এ হাকিম, বনগাঁ: উত্তর ২৪ পরগণার বাগদার যেসব বাসিন্দা নদিয়া জেলায় পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তাঁদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে। এ সময়ে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আলোরাণী সরকার, বাগদার তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোষ ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমাদের এখানে ৮ টি দেহ এসেছে, নদিয়াতে ৬ টা নিয়ে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি। এমনও পরিবার রয়েছে যাদের সকলেই মারা গেছেন। প্রশাসন আজ থেকে ওদের পরিবারের অভিভাবক হয়ে গেল। যে বাড়িতে কেউ নেই সেই বাড়ির দায়িত্ব আমরা নিলাম। এখানকার বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সকলেই তাঁদের দায়িত্ব নিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই মৃত্যুকে কোনও ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি আমার ৬২ বছর বয়সের মধ্যে এরকম মৃত্যু আমি জীবনে দেখিনি। গ্রামে কান্নার রোল থামানো যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আজই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আজই তাঁদের হাতে ২ লাখ টাকা করে তুলে দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। মৃত ব্যক্তিদের যথাযথ মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ভয়ে কৃষিবিল প্রত্যাহার করেছে! আর কি কি বললেন অনুব্রত
দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবাই মডেল করছে। ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ভোট করতে হয়, সমস্ত মানুষের জন্য উন্নয়নও সমান ভাবে করে গেছেন। তার দেখানো পথেই দেশের অনান্য রাজ্যের নেতারা ফলো করছে… ভয় পেয়েছে বিজেপি”। আসলে বিজেপির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠিকেছে।” অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে, ওরা গোল নিতে পারবে না। আবার বলছি, ২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে, গোল নিতে পারবে না। কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার দুপুরে বোলপুরে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন যে, বিজেপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তাছাড়া সামনেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবে ভোট –তাই বাধ্য হয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি বলেন, “শুধু কৃষি আইন কেন, অনেক কিছুই পাল্টাবে। দেশটাকে শেষ করে দিল। ৬০০ কৃষকের মৃত্যু। কৃষকরা এখনো রাজপথে রয়েছেন। ভারতবর্ষের মানুষকে আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রীর ফাঁদে যেন কেউ না পড়ে। তাঁর কথায়- এখন একটাই স্লোগান, বিজেপি হাটাও, দেশ বাঁচাও। আসলে সামনে পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। তাই বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইছে প্রধানমন্ত্রী… এমনি ক্ষমা চাইছে…?”

সাংবাদিকদের একগুচ্ছ দাবি পূরণের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, প্রেসক্লাব খুলে দেওয়ার নির্দেশ
ইনামুল হক, বারাসতঃ জেলার সাংবাদিকদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার নজরুল মঞ্চের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক থেকে তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক বিভিন্ন সংবাদ পত্রের পক্ষ থেকে পেশ করা একগুচ্ছ দাবি পূরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ক্ষুদ্র পত্র-পত্রিকাগুলিকে রাজ্যের উন্নয়নের কথা তুলে ধরারও প্রশংসা করেন তিনি। জেলার সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে আদর্শ তিতুমীর পত্রিকার সম্পাদক ও বারাসত প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ধৃতরাষ্ট্র দত্ত এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রেস ক্লাবটি দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এটি যাতে পুনরায় চালু করা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সাংবাদিকদের জেলাশাসককে লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে এটি যাতে খুলে দেওয়া হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বারাসত হাতি পুকুরের কাছে ২০০১ সালে নির্মিত এই প্রেসক্লাবের ঘরটির কয়েক লক্ষ টাকা ভাড়া বকেয়া থাকায় এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়়েছে। ধৃতরাষ্ট্র দত্ত পাশাপাশি বলেন, জেলার পত্র-পত্রিকা গুলি সময়মতো প্রকাশ করে যথাযথভাবে জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে জমা করা হয়। তবু পর্যাপ্ত সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। এছাড়া কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত সাংবাদিক উদয় বসু ও অলোক ঘোষের পরিবারকে সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিক ধৃতরাষ্ট্র দত্ত। সেইসঙ্গে উৎসব ভাতা হিসেবে জেলা সাংবাদিকদের এক হাজার টাকার পরিবর্তে শহরের সাংবাদিকদের মত তা সমহারে দেওয়ার আবেদন জানান। এছাড়াও কিছু দুষ্টু নেতার চক্রান্তে সাংবাদিক নিগ্রহ হচ্ছে এই জেলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এই নিগ্রহ বন্ধে এবং মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের হয়রানির বন্ধ করতে তিনি সিআইডি তদন্তের দাবি জানান। মুখ্যমন্ত্রী এসব বিষয়গুলি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি লিখে জানানোর কথা বলেন।

নতুন করে উলুবেড়িয়া স্টেডিয়াম সংস্কারের উদ্যোগ
মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়া স্টেডিয়ামকে নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিল উলুবেড়িয়া পুরসভা। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উলুবেড়িয়া স্টেডিয়ামের খেলাধুলা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারনে মাঠের অধিকাংশ জায়গার ঘাস হলুদ হয়ে যায়। মাঠে বিভিন্ন জল জমে যাওয়ার কারণে মাঠের অবস্থা খেলাধূলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। সে কারনে নতুন করে মাঠ সংস্কারের উদ্যোগ নিল উলুবেড়িয়া পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে মাঠটি সংস্কার থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কলকাতার একটি নামী সংস্থাকে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। ২০১১ সালে উলুবেড়িয়ায় নির্বাচনী জনসভায় এসে উলুবেড়িয়ার মানুষকে উলুবেড়িয়া ষ্টেডিয়াম মাঠ তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর উলুবেড়িয়াবাসী পায় আধুনিক সুবিধাযুক্ত ষ্টেডিয়াম। খেলাধুলা শুরু হয়। বিগত দুই বছর করোনা অতিমারীর কারনে খেলাধূলা বন্ধ হয়ে যায়। আর দীর্ঘদিন খেলাধূলা না হওয়ার কারনে মাঠ বেহাল হয়ে ওঠে। উলুবেড়িয়া পুরসভার পক্ষ থেকে আপাতত মাঠটি ব্যবহারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরই মাঠটি নতুন করে সংস্কার করার পরিকল্পনা করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। পুরসভা ইতিমধ্যে মাঠ সংস্কারের জন্য কলকাতার একটি নামী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে। সেই সংস্থার প্রতিনিধিরা মাঠ পরিদর্শনও করেছে। এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অভয় দাস জানান, উলুবেড়িয়া ষ্টেডিয়ামের সাথে ক্রীড়াপ্রেমী উলুবেড়িয়াবাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে। মানুষের সেই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠ নতুন করে সংস্কার করে খেলাধূলার উপযোগী করে তোলার প্রয়োজন। অভয় বলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়কে অনুরোধ করেছিলাম বিষয়টি দেখার জন্য। অভয় দাস বলেন, মাঠটি সংস্কার হয়ে গেলে এবং করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে গেলে পুনরায় মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতা ছাড়াও কলকাতার লিগের ফুটবল খেলা করার পরিকল্পনা আছে।‘

বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি, শিল্পপতির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: বিধায়কের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ প্রভাবশালী এক স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ধনেখালি বিধানসভার দাদপুর থানার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নবনির্মিত লজিস্টিক হাব ও রিসর্টে। সেইসঙ্গে ওই প্রকল্পে কর্মরত তিন ইঞ্জিনিয়ারকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল মেইল করে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানান। এমনকি দাদপুর থানাতেও তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহেশ আগরওয়াল নামে ওই শিল্পপতি দাদপুর থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লজিস্টিক হাব ও রিসর্ট নির্মাণ করছেন। ওই প্রকল্পে তিনি কয়েক’শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। মহেশ আগরওয়ালের অভিযোগ, পুজোর সময় স্থানীয় ধনেখালি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা রাজীব বসু রায় ওরফে চ্যাংকা তার কাছে ৫০ হাজার টি-শার্ট দেওয়ার দাবি জানান। এক একটি শার্টের মূল্য ৭০ টাকা করে ধার্য করে। তাহলে ৫০ হাজার শার্টের দাম দাঁড়ায় ৩৫ লক্ষ টাকা। গত ২৮ অক্টোবর কারখানা এলাকায় গিয়ে রাজীব কারখানার মালিকের কাছে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। একদিনের মধ্যে ওই টাকা না দিলে তিনি তার ক্ষমতা দেখিয়ে দেবেন বলে ওই শিল্পপতিকে হুমকি দেন। শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল প্রথমত রাজীবের হুমকিকে পাত্তাই দেননি। রাজীবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু ২৯ অক্টোবর সকালে রাজীব তার দলবল নিয়ে একটি স্করপিও গাড়িতে করে কারখানা এলাকায় পৌঁছান। কারখানার কর্মীদের বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। কারখানার ইঞ্জিনিয়ার পীযূষকান্তি পোড়েল, তন্ময় বারিক ও সুদীপ সরকারকে জোর করে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তাদেরকে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। মহেশ আগারওয়াল জানান, তার কাছে তোলাবাজির টাকা চাইতে গিয়ে এলাকার বিধায়ক অসীমা পত্রের নাম ভাঙায় রাজীব। তার সন্দেহ হয়। তিনি অসীমা পাত্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যোগাযোগ হয়নি। রাজীবসহ দুষ্কৃতীরা মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কের বদনাম করতেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শিল্পপতির অভিযোগ।

ভুয়ো সাংবাদিকদের নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
শুভজিৎ দেবনাথ, জলপাইগুড়ি: এবারে ভুয়ো সাংবাদিকদের নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন বিভিন্ন প্রেস ক্লাবের তরফে সরব হতে দেখা গিয়েছিল এক শ্রেণির মানুষ যেভাবে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জাহির করেছে এমন অভিযোগ বিভিন্ন প্রেস ক্লাবের কাছে এসেছে। একাধিকবার বিভিন্ন প্রেসক্লাবকে যার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তথাপি এদের দৌরাত্ম্য কমাতে পারা যায়নি, উল্টে যত দিন যাচ্ছে আরো বেড়েই চলেছে বলেই অভিযোগ। তবে এবার স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাকা চেকিংয়ের মধ্য দিয়ে সরকারি ভুয়ো গাড়ির উপর নজরদারি চালানোর কথা বলছেন, তেমনি ভুয়ো প্রেস স্টিকার লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের কথা বলেছেন। প্রেসকাব গুলিকেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বলেছেন। স্বাভাবিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রীতিমত খুশি বিভিন্ন প্রেস ক্লাব গুলি। কারণ বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে এক শ্রেণির মানুষ নিজেরাই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিয়ে তারা আবার নিজেরাই নিজেদেরকে স্বঘোষিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের অসহায় মানুষদের বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইলিং তাদেরকে ভয় দেখানো এবং ভীতি প্রদর্শন করে টাকা আত্মসাত করার মতন ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ। তাই এই সমস্ত বিষয় গুলির উপর পুলিশ যাতে কড়া নজরদারি করেন সেই বিষয়ে দাবি সমস্ত প্রেস ক্লাব গুলির। প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত সংবাদমাধ্যদের কর্মীদের যাতে হ্যারেজমেন্ট না হয় সেদিকটাও নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, শিলিগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠক থেকে। প্রসঙ্গত, এর আগে ভুয়ো সাংবাদিক নিয়ে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি প্রেস ক্লাবের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছিল ধূপগুড়ি প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। এছাড়াও ভুয়ো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাব ও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রেসক্লাব। ধূপগুড়ি প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার বলেন , আইনের উর্দ্ধে কেউ না। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ যাদের বলা হয়, তাদের ওপর এই দায়িত্বটা আরো বেশি পড়ে। সুযোগটা অনেকেই নেওয়ার চেষ্টা করে। বর্তমানে যেমন ভুয়ো আইপিএস অফিসার, সিবিআই অফিসার সাজতে পারে, তেমনি ভুয়ো সাংবাদিক সেজে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টাও কেউ করতেই পারে। ফেসবুক পেজ খুলেই নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া অর্থাৎ শুরুটাই তো বাটপারি। আমরাও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবের সম্পাদক সান্তনু কর বলেন, যে সমস্ত স্বঘোষিত সাংবাদিক রয়েছে তারা স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন অনেকেই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিজেদেরকে সাংবাদিক বলে দাবি করছেন। এদের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। প্রশাসনের উচিত এদের বিরুদ্ধে কড়া নজরদারি করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার। না হলে যারা মেইনস্ট্রিমের সাংবাদিক প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক তারাও কলঙ্কিত হচ্ছে এই সমস্ত এক শ্রেণির মানুষদের জন্য। তাই মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেটাকে আমরা সমর্থন করি। জলপাইগুড়ি প্রেসকাবের থেকেও আমরা বিষয়টিকে নিয়ে এসব পদক্ষেপ নেবো, যাতে জেলা পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।কারণ আমরাও শুনেছি বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো প্রেস স্টিকার লাগিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রবণতা রয়েছে কোথাও কোথাও।

ট্যাব-মোবাইল কেনার ভাউচার নিয়ে কি বলছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ
পুবের কলম প্রতিবেদক, মেদিনীপুর: দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার ভাউচারের জন্য প্রধান শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন, এখন বিদ্যালয় বন্ধ। ছাত্রছাত্রী বা অভিভাবকদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সহজ কাজ নয়। শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশিকার ফলে প্রধান শিক্ষকরা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন।