০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলে ভাঙন দুর্গতরা, চালু হয় নি মালদার স্কুল

রেজাউল করিম, বৈষ্ণবনগর:  বহুদিন পর খুলল স্কুল। কিন্তু অন্যরকম এক ছবি গঙ্গার ভাঙন এলাকায়। কালিয়াচক- ৩ ব্লকের চামাগ্রাম হাই স্কুলে গত দু’মাস থেকে  স্কুলেই আশ্রয় নিয়ে আছেন প্রায় শতাধিক গঙ্গার ভাঙন দুর্গত পরিবার। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গতরা থাকার ফলে স্কুলে পঠনপাঠন চালু হয়নি।   প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।  আর দুর্গতদের  বক্তব্য,  আমাদের ভিটেমাটি সবই তো গঙ্গায়। আমরা সর্বস্ব হারিয়ে এখানে বাধ্য হয়েই আশ্রয় নিয়েছি।  সংশ্লিষ্ট ব্লকের বীরনগর -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দটোলা, ঘোষপাড়া ও সরকারটোলার একাংশের  কয়েকশো পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্বংসী ভাঙনে গঙ্গায় তলিয়ে যায়। এই ভাঙন দুর্গতরা  কেউ আশ্রয় নেন  আত্মীয়- পরিজনদের বাড়িতে বা কেউ আশ্রয় নেন অন্যের জমিতে, সেখানেই অস্থায়ী আস্তানা গড়ে তোলেন। তবে বহু  ভাঙন দুর্গত পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয় নেন  চামাগ্রাম হাইস্কুলে।  স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘর ও অফিসরুম বাদে দ্বিতল ভবনে ১৬টি ক্লাসরুম রয়েছে এবং সব ক্লাসরুমেই ভাঙন দুর্গতরা  রয়েছেন। একেকটি ঘরে অন্তত চার থেকে পাঁচটি করে পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। ওই পরিবারগুলি এখনও স্কুলে থাকায়  মঙ্গলবার স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে এদিন যথারীতি সব  শিক্ষক-শিক্ষিকা পাশাপাশি হাতে গোনা   কিছু ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হয়েছিল।   স্কুলের প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ সরকার বলেন, “নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে আমাদের স্কুলে। মোট ছাত্র ছাত্রী ১৬০০ জন।কিন্তু গোটা স্কুলভবনে গঙ্গা ভাঙন দুর্গতরা আশ্রয় নিয়ে থাকায় আমরা ক্লাস চালু করতে পারছি না। ভাঙনদুর্গতরা ক্লাসঘরে থাকায় স্কুল ভবনে স্যানিটাইজেশন করাও হয়নি। পুরো বিষয়টি আমরা  প্রশাসনকে জানিয়েছি। এদিন মাত্র ৩৫ জন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হন।” 

শিয়ালের দলের হানায় জখম ৪০, গণপ্রহারে মৃত্যু দুই শিয়ালের

মুসরত আরা পারভিন, চাঁচল: বৃহস্পতিবার কাকভোরে শিয়ালের দলের অতর্কিত হামলায় জখম হলেন কমপক্ষে ৪০ জন গ্রামবাসী। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ২০ জন। এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাজুড়ে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার হরদম নগর গ্রামের ঘটনা। বেশ কয়েকদিন যাবৎ হরিশ্চন্দ্রপুরজুড়ে একের পর এক শিয়ালের হানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছিল এলাকায়। আর এরইমধ্যে কাকভোরে একসঙ্গে এতজন গ্রামবাসী শিয়ালের দলের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় ভয়ে সিঁটকে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর। এদিকে গ্রামবাসীদের রোষের মুখ থেকে ছাড়া পায়নি শিয়ালের দলটিও। ঘটনাস্থলেই দুই শিয়ালকে গ্রামবাসীরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে খবর।

পথ অবরোধে আটকে শিশুর মৃত্যু, কি বলছে মৃতের পরিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, মোথাবাড়ি: পথ অবরোধে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু হল মালদার এক শিশুর। মৃত শিশুর বাড়ি  মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলার জোত অনন্তপুর গ্রামে। মালদা থেকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে  কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।পথে নদিয়ায় রাস্তা অবরোধে আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্স। পথেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর।  প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মৃত শিশুর নাম সাকিবুল শেখ(৭)। সে এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার বাড়িতে ছাদে খেলছিল এবং ছাদ থেকে পড়ে যায় সে। আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আনা হলে মেডিক্যালের কর্তব্যরত  চিকিৎসকেরা তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তারা এখান থেকে রওনা হয় কলকাতার উদ্দ্যোশে। 

চিনা টুনিলাইট ও সরিষার তেলের দাম বাড়ায় দীপাবলিতে কমেছে মাটির প্রদীপের চাহিদা

মুসরত আরা পারভিন, চাঁচলঃ আর কয়েকদিন পরে শুরু আলোর উৎসব দীপাবলি। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আলোকমালায় সেজে ওঠবে গোটা দেশ। ছোট থেকে বড় সবাই মেতে উঠবে আলোর পার্বণে। তবে এই অগ্নিমূল্যের বাজারেও রংবেরঙের চায়না টুনি লাইটের ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি সরিষার তেলের দাম বাড়ার ফলেও  কমেছে মাটির প্রদীপের চাহিদা। ফলে মাথায় হাত পড়েছে মৃৎশিল্পীদের।  যদিও মাত্র কয়েক বছর পেছনে ফিরে তাকালে মনে পড়বে আলোর পার্বণের কথা। যখন সামান্য মাটির প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে থাকত পুরো পাড়া। গ্রাম থেকে শহর, বাসভবন থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দরজার সামনে ছোট ছোট মাটির প্রদীপের উজ্জ্বল আলো টিমটিম করে জ্বলতো। কিন্তু বদলেছে সময়। সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে মানুষের পছন্দ। এখন বিজলি বাতির আলো ও নানা ধরনের চিনা টুনি বাল্বের আলো। তার ওপর অগ্নিমূল্য সরিষার তেলও। কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপের আলো। 

গৃহকর্তা ক্যানসার আক্রান্ত, তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে অনটনে দিন কাটছে নুরগেস বানুর

মুসরত আরা পারভিন, চাঁচল: পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ক্যানসারে আক্রান্ত। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে তিন ছেলেমেয়ে। একদিকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সেখ আপা। অন্যদিকে, জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে নুরগেশ বানু। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পেমা গ্রামের বাসিন্দা। চিকিৎসার খরচ সহ দুমুঠো ভাত  জোগাড়ের আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন স্ত্রী নুরগেশ বানু। সেখ আপার স্ত্রী নুরগেশ বানু জানান, তার স্বামী প্রায় ছয় মাস ধরে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। তার ওরাল ক্যানসার হয়েছে। টাকার অভাবে থমকে রয়েছে চিকিৎসা। দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের রেজিষ্ট্রেশন করালেও সেটা এখনো হাতে পায়নি। এদিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে যৎসামান্য জমানো টাকাও ফুরিয়েছে। পরিবারে এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এখন সরকারি সাহায্যের আশায় দিন গুনছে পরিবার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder