২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পা দিয়েই দু’ভাইকে ফোঁটা দিলেন শিক্ষিকা

পুবের কলম প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ: অন্যান্য বছরের মতো এবারেও পা দিয়েই তার দুই ভাইকে ফোঁটা দিয়ে যমের দুয়ারে কাটা ফেললেন রায়গঞ্জের বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষিকা শোভা মজুমদার। নিজের দুই ভাই বিকাশ ও পার্থকে শুভকামনা  দেওয়ার পাশাপাশি জন্মসূত্রে নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দূরে সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র ইচ্ছেশক্তির সাহায্যে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন রায়গঞ্জের এই শিক্ষিকা।  অসংখ্য শিশুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার মহান কাজে ব্রতী হয়েছেন তিনি। যদিও হাত নয়, পা দিয়ে লিখে ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েদের জীবনের প্রথম পাঠ দিচ্ছেন তিনি। আর পাঁচটা শিক্ষক-শিক্ষিকার মতো হাতে লিখে স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা করাতে না পারলেও, ‘শোভা ম্যাডাম’ আজ কচিকাঁচাদের কাছে অনুপ্রেরণা। সরকারি সাহায্যে অসংখ্য শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ার কাজ করেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কাশীবাটির শোভা মজুমদার৷ ছোটো থেকেই তার দু’টি হাতেই রয়েছে প্রতিবন্ধকতা।জীবন ধারণের কোনও কাজই ওই দুই হাত দিয়ে করতে পারেন না তিনি। দু’টি হাত অক্ষম শোভা কীভাবে লিখবেন, তা নিয়ে যখন পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত তখন নিজেই নিজের দুই পা ব্যবহার করে লিখতে শুরু করেন। প্রথমদিকে অত্যন্ত কষ্ট হলেও, পরবর্তীকালে পায়ের সাহায্যে পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়ির অন্যান্য কাজও করতে শুরু করেন শোভা৷ মায়ের চেষ্টা ও নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমে একে একে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছেন সফলভাবে।

ভাই ফোঁটা দিতে আসা নন্দিনীর হারানো মোবাইল ফিরিয়ে দিলেন টোটো চালক আতাউল

সফিকুল ইসলাম(দুলাল), বর্ধমান: ভাই ফোঁটার দিন হারানো মোবাইল ফিরিয়ে দিলেন বর্ধমানের টোটো চালক সেখ আতাউল ইসলাম। আর তার এমন কাজে বেশ খুশি হয়েছেন হুগলীর বাসিন্দা নন্দিনী সাউ। টোটো চালাকের সততার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি ও তার মামা। টোটো চালক সেখ আতাউল ইসলামের দৌলতে মোবাইল ফেরত পেলেন ওই মহিলা।  নন্দিনী সাউ জানিয়েছেন, আজ পবিত্র ভাই ফোঁটা দিতে তিনি হুগলির ব্যান্ডেল থেকে তার মামা বাড়ি বর্ধমানে আসেন। বর্ধমান স্টেশনে নেমে টোটো ভাড়া করে বর্ধমানের সিং দরজা এলাকায় মামার বাড়িতে যান। পৌছানো মাত্র টোটো চালককে তার নায্য ভাড়াও দিয়ে দেন। 

বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক, অনাথ শিশু ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের গণ ভাইফোঁটা দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা

ইনামুল হক, বসিরহাট: বৃদ্ধাশ্রমের শতাধিক  আবাসিক, অনাথ আশ্রম এর শিশুদের নিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করল বসিরহাটের নবোদয় সংঘ। সালমা, শুভঙ্কর, অর্পিতা, রেজাউলকে ভাইফোঁটা দিয়ে সম্প্রীতির সূত্রে গাঁথা হল তাদেরকে।শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে মঞ্চে তুলে রীতিমতো প্রদীপ জ্বালিয়ে, দূর্বা, ফুল মিষ্টি নতুন বস্ত্র দিয়ে ভাইফোঁটা হয় সকলের। পাশাপাশি আগামী দিনে যাতে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে তার জন্য খাতা, পেন, বই, চকলেট তুলে দিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দুপুরে মেনু সাজিয়ে ভাত, ডাল, চিকেন দই, রসগোল্লা খাওয়াল। এইসব পেয়ে খুশি রীতিমতো অনাথ আশ্রমের শিশুরা। 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder