শরিয়া আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ তালিবান সরকারের

- আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 25
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইসলামি আমিরাত অফ আফগানিস্তানে পরিপূর্ণ শরিয়া আইন বাস্তবায়নে দেশের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা। বিচারক দলের সাথে দেখা করার পর তিনি এ নির্দেশ দেন। তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আফগান বিচারকদের দেশে পরিপূর্ণ ইসলামিক আইন প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে অপরাধের ঘটনা কমাতেই ইসলামি আইন প্রয়োগ করতে চাইছে ক্ষমতাসীন তালিবান। ইসলামি আইনের অধীনে ‘হুদুদ’ বলতে সাধারণত সেসব অপরাধকে বোঝায় যেগুলোতে নির্দিষ্ট ধরনের শাস্তি বাধ্যতামূলক। এ ধরনের অপরাধের মধ্যে রয়েছে হত্যা, ব্যভিচার, মিথ্যা অভিযোগ, মদ্যপান, চুরি, অপহরণ, ধর্মত্যাগ ও বিদ্রোহ। শরিয়া আইন অনুযায়ী, এসব ক্ষেত্রে শাস্তি প্রদানের জন্য যথাযথ প্রমাণের দরকার হয়।
১৯৯৬-২০০১ তালিবান শাসনের প্রথম দফায় আফগানিস্তানে বেশ কঠোরভাবেই শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আর এবার আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের পর দেশে ফের একবার শরিয়া আইন জারি করতে চায় তালিবান। গত বছরের আগস্টে তালিবান কাবুলের ক্ষমতা দখল করে। এরপর এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কোনও দেশ এখন পর্যন্ত তালিবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা বাধার মুখে পড়ছে। এর ফলে দেশে যেমন দারিদ্র্য বাড়ছে, তেমনই দেশের মানুষ সংকটের মুখে পড়ছে। তালিবান অবশ্য অভ্যন্তরীণ ভাবেই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।