১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরিয়া আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ তালিবান সরকারের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 25

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইসলামি আমিরাত অফ আফগানিস্তানে পরিপূর্ণ শরিয়া আইন বাস্তবায়নে দেশের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা। বিচারক দলের সাথে দেখা করার পর তিনি এ নির্দেশ দেন। তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আফগান বিচারকদের দেশে পরিপূর্ণ ইসলামিক আইন প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে অপরাধের ঘটনা কমাতেই ইসলামি আইন প্রয়োগ করতে চাইছে ক্ষমতাসীন তালিবান। ইসলামি আইনের অধীনে ‘হুদুদ’ বলতে সাধারণত সেসব অপরাধকে বোঝায় যেগুলোতে নির্দিষ্ট ধরনের শাস্তি বাধ্যতামূলক। এ ধরনের অপরাধের মধ্যে রয়েছে হত্যা, ব্যভিচার, মিথ্যা অভিযোগ, মদ্যপান, চুরি, অপহরণ, ধর্মত্যাগ ও বিদ্রোহ। শরিয়া আইন অনুযায়ী, এসব ক্ষেত্রে শাস্তি প্রদানের জন্য যথাযথ প্রমাণের দরকার হয়।

১৯৯৬-২০০১ তালিবান শাসনের প্রথম দফায় আফগানিস্তানে বেশ কঠোরভাবেই শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আর এবার আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের পর দেশে ফের একবার শরিয়া আইন জারি করতে চায় তালিবান। গত বছরের আগস্টে তালিবান কাবুলের ক্ষমতা দখল করে। এরপর এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কোনও দেশ এখন পর্যন্ত তালিবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা বাধার মুখে পড়ছে। এর ফলে দেশে যেমন দারিদ্র্য বাড়ছে, তেমনই দেশের মানুষ সংকটের মুখে পড়ছে। তালিবান অবশ্য অভ্যন্তরীণ ভাবেই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

 

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শরিয়া আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ তালিবান সরকারের

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইসলামি আমিরাত অফ আফগানিস্তানে পরিপূর্ণ শরিয়া আইন বাস্তবায়নে দেশের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা। বিচারক দলের সাথে দেখা করার পর তিনি এ নির্দেশ দেন। তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আফগান বিচারকদের দেশে পরিপূর্ণ ইসলামিক আইন প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে অপরাধের ঘটনা কমাতেই ইসলামি আইন প্রয়োগ করতে চাইছে ক্ষমতাসীন তালিবান। ইসলামি আইনের অধীনে ‘হুদুদ’ বলতে সাধারণত সেসব অপরাধকে বোঝায় যেগুলোতে নির্দিষ্ট ধরনের শাস্তি বাধ্যতামূলক। এ ধরনের অপরাধের মধ্যে রয়েছে হত্যা, ব্যভিচার, মিথ্যা অভিযোগ, মদ্যপান, চুরি, অপহরণ, ধর্মত্যাগ ও বিদ্রোহ। শরিয়া আইন অনুযায়ী, এসব ক্ষেত্রে শাস্তি প্রদানের জন্য যথাযথ প্রমাণের দরকার হয়।

১৯৯৬-২০০১ তালিবান শাসনের প্রথম দফায় আফগানিস্তানে বেশ কঠোরভাবেই শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আর এবার আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের পর দেশে ফের একবার শরিয়া আইন জারি করতে চায় তালিবান। গত বছরের আগস্টে তালিবান কাবুলের ক্ষমতা দখল করে। এরপর এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কোনও দেশ এখন পর্যন্ত তালিবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা বাধার মুখে পড়ছে। এর ফলে দেশে যেমন দারিদ্র্য বাড়ছে, তেমনই দেশের মানুষ সংকটের মুখে পড়ছে। তালিবান অবশ্য অভ্যন্তরীণ ভাবেই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

 

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

আরও পড়ুন: চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, ১০ শতাংশের সীমা প্রত্যাহার ইউজিসির