০৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলে  ‘ফাঁকিবাজি’ শিক্ষকদের! ঠেকাতে নয়া নির্দেশিকা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 18

পুবের কলম প্রতিবেদক: স্কুলের  পড়ুয়ারা হইচই করে। আর শিক্ষকরা আড্ডাবাজি করেন। প্রাথমিক থেকে হাইস্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে বারবারই।

শুধু তাই  নয়, স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্টির মিটিং-মিছিলে ছুটতে দেখা যায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পড়ুয়াদের স্বার্থে শিক্ষকশিক্ষিকাদের ফাঁকিবাজি রুখতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে  শিক্ষা দফতর।

আরও পড়ুন: যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ

দেরি করে স্কুলে যাওয়া, আগে বেরিয়ে পড়া, এটাই যেন অলিখিত নিয়ম একাধিক স্কুলে।

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

এমনকী রাজ্যের বহু স্কুলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষক আসেন দুপুর সাড়ে ১২টার সময়। এরপর কোনওরকমে হাজিরা খাতায় সই করেই  বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। এর সঙ্গেই আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

তবে এবার দেরিতে হলেও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে কড়া নির্দেশ জারি করল সরকার।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের জন্য এই নির্দেশ জারি করেছে। এদিকে স্কুলে এখন গরমের ছুটি। নিশ্চিন্তে ছুটি কাটাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু গরমের ছুটি মিটলেই এবার তাঁদের নয়া নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সময় মেনে চলতে হবে শিক্ষক, শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের। স্কুলে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বৃদ্ধির জন্য এই নয়া নির্দেশ। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে স্কুল শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে। এদিকে কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী যদি অনুপস্থিত থাকেন তবে প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষক বা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা নিয়ে ‘শিক্ষক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষকদের একাংশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেক্ষেত্রে তারা বেশিরভাগ সময়ই দলের কাজে ব্যস্ত। তার মাঝে সময় পেলে স্কুলে বুড়ি ছোঁয়া করে এসেই ফের বেরিয়ে পড়েন।

এদিকে অভিভাবকদের একাংশের দাবি, টিফিনের নাম করে অনেক সময় শিক্ষক শিক্ষিকারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন। এমনকী টিফিন আনতে বাইরে বেরিয়ে যান। এরপর ঢোকেন অনেক দেরিতে। এনিয়ে বহু ক্ষেত্রে নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেই শিক্ষা দফতরের। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রথা শিক্ষক শিক্ষিকারা চালাচ্ছেন  বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্কুলে  ‘ফাঁকিবাজি’ শিক্ষকদের! ঠেকাতে নয়া নির্দেশিকা

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: স্কুলের  পড়ুয়ারা হইচই করে। আর শিক্ষকরা আড্ডাবাজি করেন। প্রাথমিক থেকে হাইস্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে বারবারই।

শুধু তাই  নয়, স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্টির মিটিং-মিছিলে ছুটতে দেখা যায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পড়ুয়াদের স্বার্থে শিক্ষকশিক্ষিকাদের ফাঁকিবাজি রুখতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে  শিক্ষা দফতর।

আরও পড়ুন: যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ

দেরি করে স্কুলে যাওয়া, আগে বেরিয়ে পড়া, এটাই যেন অলিখিত নিয়ম একাধিক স্কুলে।

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

এমনকী রাজ্যের বহু স্কুলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষক আসেন দুপুর সাড়ে ১২টার সময়। এরপর কোনওরকমে হাজিরা খাতায় সই করেই  বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। এর সঙ্গেই আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের মারে দৃষ্টিশক্তি হারাল এক খুদে পড়ুয়া, কর্নাটকের সরকারি স্কুলের ঘটনা

তবে এবার দেরিতে হলেও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে কড়া নির্দেশ জারি করল সরকার।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের জন্য এই নির্দেশ জারি করেছে। এদিকে স্কুলে এখন গরমের ছুটি। নিশ্চিন্তে ছুটি কাটাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু গরমের ছুটি মিটলেই এবার তাঁদের নয়া নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সময় মেনে চলতে হবে শিক্ষক, শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীদের। স্কুলে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বৃদ্ধির জন্য এই নয়া নির্দেশ। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে স্কুল শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে। এদিকে কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী যদি অনুপস্থিত থাকেন তবে প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষক বা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা নিয়ে ‘শিক্ষক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষকদের একাংশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেক্ষেত্রে তারা বেশিরভাগ সময়ই দলের কাজে ব্যস্ত। তার মাঝে সময় পেলে স্কুলে বুড়ি ছোঁয়া করে এসেই ফের বেরিয়ে পড়েন।

এদিকে অভিভাবকদের একাংশের দাবি, টিফিনের নাম করে অনেক সময় শিক্ষক শিক্ষিকারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন। এমনকী টিফিন আনতে বাইরে বেরিয়ে যান। এরপর ঢোকেন অনেক দেরিতে। এনিয়ে বহু ক্ষেত্রে নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেই শিক্ষা দফতরের। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রথা শিক্ষক শিক্ষিকারা চালাচ্ছেন  বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।