৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭০০ ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগের অভিযোগ তদন্তে তেহরান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 47

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ইরানের কোম শহরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে ৭০০ ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। গত নভেম্বরে এই ঘটনার সূত্রপাত।  বিষক্রিয়ায় কোনও শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়নি। তবে তাদের অনেকেই শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ক্লান্তিতে ভুগছে বলে অভিযোগ।

এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে তেহরান সরকার। ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের শিক্ষা বন্ধের উদ্দেশ্যে কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল জানান, একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বলেন, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি ‘অপরাধমূলক এবং পূর্বপরিকল্পিত’ ঘটনা।

প্রথম বিষক্রিয়ার ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ নভেম্বর। সেসময় ধর্মীয় শহর কোমের নুর টেকনিক্যাল স্কুলের ১৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই প্রদেশজুড়ে আরও ১০ স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় লোরেস্তান প্রদেশের বোরুজার্দ শহরের চারটি স্কুলে গত সপ্তাহে অন্তত ১৯৪ জন ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার রাজধানী তেহরানের কাছে পারদিসের খৈয়াম গার্লস স্কুলে আরও ৩৭ জন ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগ করার ঘটনা ঘটে।

এভাবে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৭০০-র মতো শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ার আগে ট্যানজারিন বা পঁচা মাছের গন্ধের কথা জানিয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। অভিভাবকরা অভিযোগে বলেন, তাদের সন্তানদের স্কুল বন্ধ করতেই এমন কাজ করা হয়েছে। ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৭০০ ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগের অভিযোগ তদন্তে তেহরান

আপডেট : ১ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ইরানের কোম শহরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে ৭০০ ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। গত নভেম্বরে এই ঘটনার সূত্রপাত।  বিষক্রিয়ায় কোনও শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়নি। তবে তাদের অনেকেই শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ক্লান্তিতে ভুগছে বলে অভিযোগ।

এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে তেহরান সরকার। ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের শিক্ষা বন্ধের উদ্দেশ্যে কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল জানান, একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বলেন, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি ‘অপরাধমূলক এবং পূর্বপরিকল্পিত’ ঘটনা।

প্রথম বিষক্রিয়ার ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ নভেম্বর। সেসময় ধর্মীয় শহর কোমের নুর টেকনিক্যাল স্কুলের ১৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই প্রদেশজুড়ে আরও ১০ স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় লোরেস্তান প্রদেশের বোরুজার্দ শহরের চারটি স্কুলে গত সপ্তাহে অন্তত ১৯৪ জন ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার রাজধানী তেহরানের কাছে পারদিসের খৈয়াম গার্লস স্কুলে আরও ৩৭ জন ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগ করার ঘটনা ঘটে।

এভাবে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৭০০-র মতো শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হওয়ার আগে ট্যানজারিন বা পঁচা মাছের গন্ধের কথা জানিয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। অভিভাবকরা অভিযোগে বলেন, তাদের সন্তানদের স্কুল বন্ধ করতেই এমন কাজ করা হয়েছে। ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে।