২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাদাখ থেকে সেনা সরলেই উত্তেজনা কমবে!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 183

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদক: শুক্রবার ভারত সফরে আসেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াই ইয়ে। এদিন দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। চিনের বিদেশমন্ত্রীকে ডোভাল বলেন, লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমবে। এছাড়াও, দুই দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও দু’দেশের শীর্ষকর্তার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দু’জনই এই বক্তব্যে সম্মত হয়েছেন যে, অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। সমগ্র বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য দোভালকে বেজিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ওয়াই ইয়ে।

 

আরও পড়ুন: বিরোধী দলনেতার আইনি রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট, ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে

পালটা দোভাল তাঁকে জানিয়েছেন, উদ্ভূত সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান হলে তবেই তিনি চিনে যেতে পারেবন। দোভাল এদিন চিনা বিদেশমন্ত্রীকে বলেন, শীঘ্রই ভারতীয় ভূখণ্ডের বিভিন্ন অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে কারও লাভ হবে না। শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরে এলে তা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে দুই দেশের শীর্ষ কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়াটা অত্যন্ত দরকার। এভাবেই কাজ করতে করতে দুই দেশের মধ্যে চলা যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, জারি কার্ফু

 

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সঙ্গে থাকছেন অজিত ডোভাল ও রাজনাথ সিং

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও ওয়াই ইয়ের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা, আফগানিস্তান ইস্যু এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘাতের পর এই প্রথম চিনের কোনও শীর্ষ মন্ত্রী ভারত সফরে এলেন।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লাদাখ থেকে সেনা সরলেই উত্তেজনা কমবে!

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: শুক্রবার ভারত সফরে আসেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াই ইয়ে। এদিন দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। চিনের বিদেশমন্ত্রীকে ডোভাল বলেন, লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার হলেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমবে। এছাড়াও, দুই দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও দু’দেশের শীর্ষকর্তার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দু’জনই এই বক্তব্যে সম্মত হয়েছেন যে, অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। সমগ্র বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য দোভালকে বেজিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ওয়াই ইয়ে।

 

আরও পড়ুন: বিরোধী দলনেতার আইনি রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট, ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে

পালটা দোভাল তাঁকে জানিয়েছেন, উদ্ভূত সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান হলে তবেই তিনি চিনে যেতে পারেবন। দোভাল এদিন চিনা বিদেশমন্ত্রীকে বলেন, শীঘ্রই ভারতীয় ভূখণ্ডের বিভিন্ন অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে কারও লাভ হবে না। শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরে এলে তা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে দুই দেশের শীর্ষ কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়াটা অত্যন্ত দরকার। এভাবেই কাজ করতে করতে দুই দেশের মধ্যে চলা যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, জারি কার্ফু

 

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সঙ্গে থাকছেন অজিত ডোভাল ও রাজনাথ সিং

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও ওয়াই ইয়ের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা, আফগানিস্তান ইস্যু এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘাতের পর এই প্রথম চিনের কোনও শীর্ষ মন্ত্রী ভারত সফরে এলেন।