০৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ নাগরিক হত্যার ঘটনায় ৩০ সেনার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ শীর্ষকোর্টের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ জুলাই ২০২২, বুধবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং-এ ১৪ জন নির্দোষ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল সেনার গুলিতে। অভিযুক্ত ছিলেন ৩০ জন । ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ এর ডিসেম্বরে। বিনা প্ররোচনায় কেন নির্দোষ গ্রামবাসীদের হত্যা করা হল? তা নিয়ে বার বার প্রতিবাদ হয়েছে নাগাল্যান্ডে। দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। মঙ্গলবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভি. রামাসুব্রমনিয়ানের বেঞ্চ মঙ্গলবার বলেছে ‘সহিংসতার সময় একজন প্যারাট্রুপারের হত্যা তদন্ত এখনও হয়নি। প্যারাট্রুপার, গৌতম লাল,ওই রাতেই ক্ষুব্ধ জনগনের হাতে খুন হন।এনকাউন্টারে তিনি নিহত হননি। এক্ষত্রে দুটি মামলা রয়েছে আদালতে ।

আরও পড়ুন: বিধানসভা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক

অভিযুক্ত সেনা আধিকারিক মেজর অঙ্কুশ গুপ্তার স্ত্রী অঞ্জলি গুপ্ত একটি পৃথক মামলা করেছেন। এই মামলায় ৩০ জনের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত অঙ্কুশ। তাঁর স্ত্রী আদালতে আবদেন বলেন, তাঁর স্বামীর নাম এফআইআর থেকে বাদ দেওয়া হোক। সিট তদন্ত থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। তিনি বলেন, এই আধিকারিকরা আসলে ভারত সরকারের দেওয়া নির্দেশ পালন করছিলেন। সেই নির্দেশ পালন করতে তাঁরা বাধ্য।

আরও পড়ুন: দলিত মহিলাকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে মারধর, বরখাস্ত পুলিশ আধিকারিক

 

আরও পড়ুন: Breaking: লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী

এক্ষেত্রে তাদের করণীয় কিছু ছিল না। এখন নিরপেক্ষ সিট তদন্ত শুরু হয়েছে। সেনা আধিকারিকের স্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, এরা নিজেদের ইচ্ছে মত তদন্ত শুরু করেছে। তাদের এমন তদন্ত বেআইনি, আদালত তা বন্ধ করুক। সেনা আধিকারিকের স্ত্রীর দাবি, স্থানীয় জনগনের ক্ষোভ প্রশমিত করতে তদন্ত হচ্ছে। ফলে হাতের কাছে যা যা মিলছে তাকেই তাঁরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত তথ্য প্রমাণ বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

২০২১ এর সেই রাতে খনির কাজ সেরে একটি পিকআপ ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিকরা। ওটিং-এ সেনা তাঁদেরই জঙ্গি ভেবে গুলি চালায়। তাতে মৃত্যু হয় ৬ জন সাধারণ গ্রামবাসীর। ঘটনার অভিঘাতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক সেনা জওয়ান-সহ আরও কয়েক জনের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

 

অভিযুক্ত সেনা আধিকারিক ও জওয়ানদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে নাগাল্যান্ড সরকার কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছিল । পাশাপাশি নাগাল্যান্ড রাজ্য পুলিশ অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চেয়েও অনুমতি চেয়েছিল তারা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৪ নাগরিক হত্যার ঘটনায় ৩০ সেনার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ শীর্ষকোর্টের

আপডেট : ২০ জুলাই ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং-এ ১৪ জন নির্দোষ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল সেনার গুলিতে। অভিযুক্ত ছিলেন ৩০ জন । ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ এর ডিসেম্বরে। বিনা প্ররোচনায় কেন নির্দোষ গ্রামবাসীদের হত্যা করা হল? তা নিয়ে বার বার প্রতিবাদ হয়েছে নাগাল্যান্ডে। দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। মঙ্গলবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভি. রামাসুব্রমনিয়ানের বেঞ্চ মঙ্গলবার বলেছে ‘সহিংসতার সময় একজন প্যারাট্রুপারের হত্যা তদন্ত এখনও হয়নি। প্যারাট্রুপার, গৌতম লাল,ওই রাতেই ক্ষুব্ধ জনগনের হাতে খুন হন।এনকাউন্টারে তিনি নিহত হননি। এক্ষত্রে দুটি মামলা রয়েছে আদালতে ।

আরও পড়ুন: বিধানসভা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক

অভিযুক্ত সেনা আধিকারিক মেজর অঙ্কুশ গুপ্তার স্ত্রী অঞ্জলি গুপ্ত একটি পৃথক মামলা করেছেন। এই মামলায় ৩০ জনের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত অঙ্কুশ। তাঁর স্ত্রী আদালতে আবদেন বলেন, তাঁর স্বামীর নাম এফআইআর থেকে বাদ দেওয়া হোক। সিট তদন্ত থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। তিনি বলেন, এই আধিকারিকরা আসলে ভারত সরকারের দেওয়া নির্দেশ পালন করছিলেন। সেই নির্দেশ পালন করতে তাঁরা বাধ্য।

আরও পড়ুন: দলিত মহিলাকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে মারধর, বরখাস্ত পুলিশ আধিকারিক

 

আরও পড়ুন: Breaking: লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী

এক্ষেত্রে তাদের করণীয় কিছু ছিল না। এখন নিরপেক্ষ সিট তদন্ত শুরু হয়েছে। সেনা আধিকারিকের স্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, এরা নিজেদের ইচ্ছে মত তদন্ত শুরু করেছে। তাদের এমন তদন্ত বেআইনি, আদালত তা বন্ধ করুক। সেনা আধিকারিকের স্ত্রীর দাবি, স্থানীয় জনগনের ক্ষোভ প্রশমিত করতে তদন্ত হচ্ছে। ফলে হাতের কাছে যা যা মিলছে তাকেই তাঁরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত তথ্য প্রমাণ বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

২০২১ এর সেই রাতে খনির কাজ সেরে একটি পিকআপ ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিকরা। ওটিং-এ সেনা তাঁদেরই জঙ্গি ভেবে গুলি চালায়। তাতে মৃত্যু হয় ৬ জন সাধারণ গ্রামবাসীর। ঘটনার অভিঘাতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক সেনা জওয়ান-সহ আরও কয়েক জনের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

 

অভিযুক্ত সেনা আধিকারিক ও জওয়ানদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে নাগাল্যান্ড সরকার কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছিল । পাশাপাশি নাগাল্যান্ড রাজ্য পুলিশ অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চেয়েও অনুমতি চেয়েছিল তারা।