অভিযান চলবে পুতিন – নিরাপদ এলাকা’ প্রতিষ্ঠায় সম্মত ইউক্রেন-রাশিয়া

- আপডেট : ৪ মার্চ ২০২২, শুক্রবার
- / 14
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পশ্চিমাদের তৈরি ‘রুশ বিরোধী’দের ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অভিযান তাঁর পরিকল্পনামতোই চলছে। পুতিন এক ভাষণে বলেন, রুশ সেনা পারমাণবিক অস্ত্র-সহ সকল হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং এই আক্রমণ ঠিকই চলছে। আরও বলেন, ‘বিশেষ সামরিক অভিযান সময়সূচির সঙ্গে সংগতি রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে সমস্ত উদ্দেশ্য সফলভাবে পূরণ করা হচ্ছে।’ এর আগে পশ্চিমারা রাশিয়ার আক্রমণের ব্যপারে দাবি করে, যোগাযোগ সমস্যা কৌশলগত ভুল এবং অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধের মুখে হোঁচট খেয়েছে রাশিয়া। সেই দাবিগুলিকেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন পুতিন।
বলেছেন এসব কিছুই নাকি হয়নি। ইউক্রেন সরকারের দাবি, রাশিয়া সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও সেনা পাঠানোর পর থেকে ২ হাজারেরও বেশি অসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এই অভিযোগে পর ব্রিটেন জার্মানি এবং ফ্রান্স-সহ ৩৯টি দেশের আবেদনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আদালতের এক আইনজীবী ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের বাহিনী অসামরিক মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে এবং বিদেশিদের বন্দি করছে। ভাষণ পুতিন বলেন, ‘এখন ইউক্রেনের ভূখণ্ডে আমাদের সৈন্য এবং অফিসাররা রাশিয়ার জন্য ডনবাসের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য ও ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য লড়াই করছে। এ দিকে বেলারুশে বৈঠকের আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন যে, রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ করবে না সেটি হচ্ছে প্রধানত ‘ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ’। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয়রা সরকার বেছে নেবে।
এ দিকে অসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইউক্রেনে মানবিক করিডর বা নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারী রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। উভয় দেশের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পোডোলিয়াক বলেন ‘দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত ইউক্রেন এখনও সেই ফলাফল পায়নি যেটি তার প্রয়োজন। শুধু মানবিক করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।’ রাশিয়ার প্রধান আলোচক ভ্লাদিমির মেডিনস্কিও করিডর নিয়ে সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আলোচনাকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে বর্ণনা করে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির কথাও বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এখানেও তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য হল দেশটির নিরস্ত্রীকরণ করা এবং দেশটিকে জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।