০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার
  • / 65

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বাঁধ সংস্কারে এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সাইক্লোন-বন্যা ও ধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠকে ডিভিসি, আলিপুর আবহাওয়া অফিস, কলকাতা বন্দর, কেন্দ্রীয় জল কমিশন-সেনা-সহ সংশিষ্ট কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য সরকারের দফতরগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বন্যা ও সাইক্লোন পরিস্থিতির পূর্বাভাস ও সেই মতো ত্রাণ ও পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন: ৮ এপ্রিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক, নজরে হুইপ অমান্যকারী বিধায়করা

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্যগুলির বন্য পরিস্থিতি ও জলাধারগুলির জলের পরিমান নিয়ে ডিভিসির সঙ্গে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতরকে। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিব বৈঠকে ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে চায়। যাতে জল ছাড়ার বিষয়টি রাজ্যের নজর অনেক আগে থেকে থাকে।

আরও পড়ুন: অভিষেকের বৈঠকে বিশেষ নজর ‘ভূতুড়ে’ ভোটার তালিকায়

সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। সেই মতো বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে সম্ভব। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে। রাজ্য্য সময়মতো জানতে না পারার জন্য এই সমস্যা হয়। জলধার বা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কথা কিছুটা আগাম সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: ৪০-এর রোনাল্ডোর সঙ্গে নতুন চুক্তি আল নাসরের

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ডিভিসির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জল ছাড়া নিয়ে। বিশেষত না জানিয়ে ডিভিসি জল ছেড়ে রাজ্যে বন্যা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে। তাই মনে করা হচ্ছে ওই দিনের বৈঠকে আগেভাগেই ডিভিসিকে সতর্ক করে দিতে পারে ফের রাজ্যের তরফে। তারই সঙ্গে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি হলে কিভাবে আগেভাগে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তারও আগাম নির্দেশ ওই দিনের বৈঠকে দেওয়া হতে পারে। জলধারগুলি যাতে সংস্কার হয় সেই বিষয় নিয়েও আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বাঁধ সংস্কারে এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সাইক্লোন-বন্যা ও ধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠকে ডিভিসি, আলিপুর আবহাওয়া অফিস, কলকাতা বন্দর, কেন্দ্রীয় জল কমিশন-সেনা-সহ সংশিষ্ট কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য সরকারের দফতরগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বন্যা ও সাইক্লোন পরিস্থিতির পূর্বাভাস ও সেই মতো ত্রাণ ও পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন: ৮ এপ্রিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক, নজরে হুইপ অমান্যকারী বিধায়করা

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্যগুলির বন্য পরিস্থিতি ও জলাধারগুলির জলের পরিমান নিয়ে ডিভিসির সঙ্গে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতরকে। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিব বৈঠকে ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে চায়। যাতে জল ছাড়ার বিষয়টি রাজ্যের নজর অনেক আগে থেকে থাকে।

আরও পড়ুন: অভিষেকের বৈঠকে বিশেষ নজর ‘ভূতুড়ে’ ভোটার তালিকায়

সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। সেই মতো বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে সম্ভব। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে। রাজ্য্য সময়মতো জানতে না পারার জন্য এই সমস্যা হয়। জলধার বা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কথা কিছুটা আগাম সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: ৪০-এর রোনাল্ডোর সঙ্গে নতুন চুক্তি আল নাসরের

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ডিভিসির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জল ছাড়া নিয়ে। বিশেষত না জানিয়ে ডিভিসি জল ছেড়ে রাজ্যে বন্যা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে। তাই মনে করা হচ্ছে ওই দিনের বৈঠকে আগেভাগেই ডিভিসিকে সতর্ক করে দিতে পারে ফের রাজ্যের তরফে। তারই সঙ্গে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি হলে কিভাবে আগেভাগে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তারও আগাম নির্দেশ ওই দিনের বৈঠকে দেওয়া হতে পারে। জলধারগুলি যাতে সংস্কার হয় সেই বিষয় নিয়েও আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।