০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্যাট্রিক লিওয়া হত্যা ­ আততায়ী পুলিশের নাম সামনে আনা হোক, দাবি পরিবারের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 13

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কৃষনাঙ্গ প্যাট্রিক লিওয়াকে(২৬)। কঙ্গোর বাসিন্দা লিওয়া গত পাঁচবছর ধরে সপরিবারে থাকতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান শহরের গ্রান্ড রেপিড শহরে। অভিযোগ সেখানেই বাড়ির সামনে থেকেই তাঁর মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। মিশিগান পুলিশ এই সপ্তাহে একটি ভিডিও সামনে এনেছে। পরিবারে লোকের দাবি, যে পুলিশ এই হত্যা করেছে তাকে সামনে আনা হোক। মঙ্গলবার মিডিয়ার সামনে এই দাবি জানান তাঁরা। স্টেট পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তোলপাড় এলাকা।

 

ওয়েস্ট ডেট্রয়েড থেকে ১৫০ মাইল দূরে এই ঘটনা ঘটে। ৪ এপ্রিলের যে ফুটেজ সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে লিওয়া ট্র্যাফিক স্টপের কাছ থেকে ওই পুলিশ অফিসারের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পুলিশের হাতে ছিল চেতনানাশক বন্দুক। দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি চলছিল। অন্তত ফুটেজ সে কথাই বলছে। মাথায় গুলি করা আগে পুলিশটি লিওয়ার মাথা মাটিতে চেপে ধরেন। শহরের নতুন পুলিশ প্রধান এরিক উইনস্ট্রম এই ফুটেজ সামনে আনেন। তিনি চেয়েছেন সবটাতেই স্বচ্ছতা থাক। তিনি বলেছিলেন যে এটি তার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ।

 

ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে পুলিশ প্রথমে তাঁর গাড়ি থামান। তারপর তাঁর কাছে লাইসেন্স দেখতে চান। জানতে চান লিওয়া ইংরেজি বলতে পারে কিনা। সম্মতি জানান লিওয়া। ফুটেজ দেখা যায় দু’জনের কথা হচ্ছিল । পরে তা বচসায় পরিণত হয়। এর পর হাতাহাতি। লিওয়াকে মাটিতে ফেলে তাঁর পিঠ হাঁটু দিয়ে চেপে রাখেন ওই পুলিশ। মাথার কাছে চেতনানাশক বন্দুক নিয়ে যান দুবার। তখনও ফায়ার করেননি। এ পর্যন্ত ফুটেজ স্পষ্ট। পরের ফুটেজে সমস্যা রয়েছে। এই ঝগড়ার সময় অফিসার ঘটনাক্রমে তার বডি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়। এমনটাই দাবি পুলিশের। যদিও অনেকেই সেখানেই সন্দেহ করছেন। যখন গুলি করে মারা হয়েছে তখনই বডি ক্যামেরা ইচ্ছাকৃত অফ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে। তবে এক্ষেত্রে পুলিশের ফুটেজ ছাড়াও অন্য ফুটেজ মিলেছে। লিওয়ার গাড়িতে থাকা এক যাত্রী তাঁর মোবাইল ফোন থেকে সবটা রেকর্ড করেন। যাতে দেখা যাচ্ছে যে ওই পুলিশ অফিসার লিওয়ার মাথার পিছনে গুলি করছেন।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর এমন নিগ্রহ এই প্রথম নয়। আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেয়াপলিসের সড়কে এর আগে গ্রেফতার করা হয় জর্জ ফ্লয়েডকে। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ডেরেক শভিন নামে এক পুলিশ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে ফ্লয়েডকে বার বার বলতে শোনা যায়, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। শভিনও কোনো নমনীয়তা দেখাননি। শেষে ওই খানেই দমবন্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড। এই হত্যার দায়ে ডেরেক শভিনকে ২২ বছরের বেশি কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্যাট্রিক লিওয়া হত্যা ­ আততায়ী পুলিশের নাম সামনে আনা হোক, দাবি পরিবারের

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কৃষনাঙ্গ প্যাট্রিক লিওয়াকে(২৬)। কঙ্গোর বাসিন্দা লিওয়া গত পাঁচবছর ধরে সপরিবারে থাকতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান শহরের গ্রান্ড রেপিড শহরে। অভিযোগ সেখানেই বাড়ির সামনে থেকেই তাঁর মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। মিশিগান পুলিশ এই সপ্তাহে একটি ভিডিও সামনে এনেছে। পরিবারে লোকের দাবি, যে পুলিশ এই হত্যা করেছে তাকে সামনে আনা হোক। মঙ্গলবার মিডিয়ার সামনে এই দাবি জানান তাঁরা। স্টেট পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তোলপাড় এলাকা।

 

ওয়েস্ট ডেট্রয়েড থেকে ১৫০ মাইল দূরে এই ঘটনা ঘটে। ৪ এপ্রিলের যে ফুটেজ সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে লিওয়া ট্র্যাফিক স্টপের কাছ থেকে ওই পুলিশ অফিসারের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পুলিশের হাতে ছিল চেতনানাশক বন্দুক। দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি চলছিল। অন্তত ফুটেজ সে কথাই বলছে। মাথায় গুলি করা আগে পুলিশটি লিওয়ার মাথা মাটিতে চেপে ধরেন। শহরের নতুন পুলিশ প্রধান এরিক উইনস্ট্রম এই ফুটেজ সামনে আনেন। তিনি চেয়েছেন সবটাতেই স্বচ্ছতা থাক। তিনি বলেছিলেন যে এটি তার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ।

 

ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে পুলিশ প্রথমে তাঁর গাড়ি থামান। তারপর তাঁর কাছে লাইসেন্স দেখতে চান। জানতে চান লিওয়া ইংরেজি বলতে পারে কিনা। সম্মতি জানান লিওয়া। ফুটেজ দেখা যায় দু’জনের কথা হচ্ছিল । পরে তা বচসায় পরিণত হয়। এর পর হাতাহাতি। লিওয়াকে মাটিতে ফেলে তাঁর পিঠ হাঁটু দিয়ে চেপে রাখেন ওই পুলিশ। মাথার কাছে চেতনানাশক বন্দুক নিয়ে যান দুবার। তখনও ফায়ার করেননি। এ পর্যন্ত ফুটেজ স্পষ্ট। পরের ফুটেজে সমস্যা রয়েছে। এই ঝগড়ার সময় অফিসার ঘটনাক্রমে তার বডি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়। এমনটাই দাবি পুলিশের। যদিও অনেকেই সেখানেই সন্দেহ করছেন। যখন গুলি করে মারা হয়েছে তখনই বডি ক্যামেরা ইচ্ছাকৃত অফ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে। তবে এক্ষেত্রে পুলিশের ফুটেজ ছাড়াও অন্য ফুটেজ মিলেছে। লিওয়ার গাড়িতে থাকা এক যাত্রী তাঁর মোবাইল ফোন থেকে সবটা রেকর্ড করেন। যাতে দেখা যাচ্ছে যে ওই পুলিশ অফিসার লিওয়ার মাথার পিছনে গুলি করছেন।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর এমন নিগ্রহ এই প্রথম নয়। আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেয়াপলিসের সড়কে এর আগে গ্রেফতার করা হয় জর্জ ফ্লয়েডকে। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ডেরেক শভিন নামে এক পুলিশ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে ফ্লয়েডকে বার বার বলতে শোনা যায়, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। শভিনও কোনো নমনীয়তা দেখাননি। শেষে ওই খানেই দমবন্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড। এই হত্যার দায়ে ডেরেক শভিনকে ২২ বছরের বেশি কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।