০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এক্সহ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে প্রথম এআই হাব রাজারহাটে, কর্মসংস্থান হবে ৫০০০ হাজার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 29

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আইটিসি ইনফোটেকের হাত ধরে রাজ্যে প্রথম তৈরি হচ্ছে এআই হাব । এটি তৈরি হবে রাজারহাটে । মঙ্গলবার নিজের এক্সহ্যান্ডেলে পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটি তৈরি হলে আইটিসির প্রায় ৫ হাজারের বেশি পেশাদার কর্মীর কর্মসংস্থান হবে। তারফলে কাজের সুযোগ বাড়বে। অর্থাৎ ৫০০০ কর্মংস্থান হবে।

মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে মমতা লেখেন, ‘‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ) কর্তৃক নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া-থ্রি এলাকায় অবস্থিত আইটিসি লিমিটেডের বিশ্বমানের আইটি অ্যান্ড আইটিইএস (ইনফর্মেশন টেকনোলজি এন্যাবল্ড সার্ভিসেস) ক্যাম্পাসের জন্য ‘অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট’ দেওয়া হচ্ছে। এই সেন্টারটি তৈরি হয়েছে হিডকোর বরাদ্দ করা ১৭ একর জমিতে।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘এটি বাংলার একটি মাইলফলক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগে বিনিয়োগের জন্য এটি অন্যতম গন্তব্য হতে চলেছে। যা পশ্চিমবঙ্গের উত্থানকে আরও ত্বরাণ্বিত করবে।’’

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের জরুরী ভিত্তিতে ছুটি বাতিল

উল্লেখ্য, অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট হল স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষের জারি করা কোনও নথি, যা কোনও ভবন বা নির্মাণের পরিকল্পনা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত মানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্মাণকাজ করার জন্য পুরসভার সম্মতি নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, ভবন বা নির্মাণটি বসবাসের জন্য নিরাপদ এবং তা পুরসভার সমস্ত নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ, শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর

 

আরও পড়ুন: চূড়ান্ত হল মোহনবাগানের এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং

এই ক্যাম্পাসটিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন রয়েছে। একটি উচ্চ অফিস টাওয়ার, একটি ব্যবসায়িক সহায়তা কেন্দ্র এবং একটি নলেজ ক্যাম্পাস। ১৪.৫ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি জায়গা নিয়ে ক্যাম্পাসটি তৈরি হচ্ছে। প্রায় ১,২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে করা হয়েছে। এটি তৈরির ফলে কর্ম সংস্থানের সুযোগ বাড়বে। প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি পেশাদারের জন্য সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এটি বাংলার কাছে একটি মাইলফলক।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন থেকে গ্লোবাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এটিই প্রথম ‘এআই হাব’। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, রাজারহাটে এআই সেন্টারটি তৈরি করেছে আইটিসি ইনফোটেক। বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে দ্রুতই প্রসার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টের (এআই)। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। গত বছর শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাব। আইটিসি এআই-এর উপর একটি গ্লোবাল হাব তৈরি করতে চায়। ওদের ভবন প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। আইটিসির আরও দু’টি প্রকল্প রেডি রয়েছে।

জানা গিয়েছে, এই এআই হাব থেকে ৪০টি দেশের ক্লায়েন্টদের পরিষেবা দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ২০২৫ সালের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইটিসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশ বিনিয়োগই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কারণ, বাংলায় ‘অপারেশন কস্ট’ যেমন কম, তেমনই সুবিধাজনক কাজের পরিবেশ এবং প্রশাসনিক সাহায্য মেলে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এক্সহ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে প্রথম এআই হাব রাজারহাটে, কর্মসংস্থান হবে ৫০০০ হাজার

আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আইটিসি ইনফোটেকের হাত ধরে রাজ্যে প্রথম তৈরি হচ্ছে এআই হাব । এটি তৈরি হবে রাজারহাটে । মঙ্গলবার নিজের এক্সহ্যান্ডেলে পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটি তৈরি হলে আইটিসির প্রায় ৫ হাজারের বেশি পেশাদার কর্মীর কর্মসংস্থান হবে। তারফলে কাজের সুযোগ বাড়বে। অর্থাৎ ৫০০০ কর্মংস্থান হবে।

মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে মমতা লেখেন, ‘‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ) কর্তৃক নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া-থ্রি এলাকায় অবস্থিত আইটিসি লিমিটেডের বিশ্বমানের আইটি অ্যান্ড আইটিইএস (ইনফর্মেশন টেকনোলজি এন্যাবল্ড সার্ভিসেস) ক্যাম্পাসের জন্য ‘অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট’ দেওয়া হচ্ছে। এই সেন্টারটি তৈরি হয়েছে হিডকোর বরাদ্দ করা ১৭ একর জমিতে।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘এটি বাংলার একটি মাইলফলক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের ডিজিটাল এবং প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগে বিনিয়োগের জন্য এটি অন্যতম গন্তব্য হতে চলেছে। যা পশ্চিমবঙ্গের উত্থানকে আরও ত্বরাণ্বিত করবে।’’

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের জরুরী ভিত্তিতে ছুটি বাতিল

উল্লেখ্য, অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট হল স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষের জারি করা কোনও নথি, যা কোনও ভবন বা নির্মাণের পরিকল্পনা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত মানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্মাণকাজ করার জন্য পুরসভার সম্মতি নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়, ভবন বা নির্মাণটি বসবাসের জন্য নিরাপদ এবং তা পুরসভার সমস্ত নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ, শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর

 

আরও পড়ুন: চূড়ান্ত হল মোহনবাগানের এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং

এই ক্যাম্পাসটিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন রয়েছে। একটি উচ্চ অফিস টাওয়ার, একটি ব্যবসায়িক সহায়তা কেন্দ্র এবং একটি নলেজ ক্যাম্পাস। ১৪.৫ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি জায়গা নিয়ে ক্যাম্পাসটি তৈরি হচ্ছে। প্রায় ১,২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে করা হয়েছে। এটি তৈরির ফলে কর্ম সংস্থানের সুযোগ বাড়বে। প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি পেশাদারের জন্য সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এটি বাংলার কাছে একটি মাইলফলক।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন থেকে গ্লোবাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এটিই প্রথম ‘এআই হাব’। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, রাজারহাটে এআই সেন্টারটি তৈরি করেছে আইটিসি ইনফোটেক। বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে দ্রুতই প্রসার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টের (এআই)। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। গত বছর শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাব। আইটিসি এআই-এর উপর একটি গ্লোবাল হাব তৈরি করতে চায়। ওদের ভবন প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। আইটিসির আরও দু’টি প্রকল্প রেডি রয়েছে।

জানা গিয়েছে, এই এআই হাব থেকে ৪০টি দেশের ক্লায়েন্টদের পরিষেবা দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ২০২৫ সালের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইটিসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশ বিনিয়োগই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কারণ, বাংলায় ‘অপারেশন কস্ট’ যেমন কম, তেমনই সুবিধাজনক কাজের পরিবেশ এবং প্রশাসনিক সাহায্য মেলে।