১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সার্ক সম্মেলন আয়োজনের দাবি তুললেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 118

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর: বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের পরিবর্তন হয়েছে, সেটা মেনে নিয়েই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রবিবার তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি সব সময় বলে এসেছি, কোনো সমস্যার সমাধান করতে হলে স্বীকার করতে হবে যে সমস্যাটা আছে। এবং আমাদের একইভাবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে ৫ আগস্টের আগে ও পরে সম্পর্কের নিশ্চয়ই গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদের সম্পর্কে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক শুরুর বিষয়ে আমি প্রস্তাব করেছিলাম।’
বর্তমান টানাপোড়েন দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে বিদেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই যে দুই–তিন মাস যাবৎ যে মন্দা যাচ্ছে, সেটা কি শুধু বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে? শুধু বাংলাদেশকে এটা প্রভাবিত করছে না। এত বড় অর্থনীতির দেশ ভারতের ওপরও এর প্রভাব পড়ছে। পরিমাণটা হয়তো অত বেশি না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা আশা করব যে অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যোগাযোগ, পারস্পরিক দেখা–সাক্ষাৎ। আগামীকাল এখানে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আসছেন। পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকটি নিয়মিত বিষয়, অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি আশা করব যে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করবেন।’

সার্কে এক দশক ধরে অচলাবস্থার প্রসঙ্গ টেনে তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবছর শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। গত ১০ বছর যাবৎ কোনো শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না, সেটা সবাই জানেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সার্কের পুনর্জাগরণ চান, এ কথা জানিয়ে তৌহিদ বলেন, সার্ক সম্মেলন হচ্ছে না। শুরু করতে হবে। একবারেই সবকিছু করে ফেলব, তা চিন্তা না করাই ভালো। চারটা ধাপ আছে সার্কের। সংকটের উত্তরণ করতে হলে প্রথম যে ধাপ অর্থাৎ আমাদের বিদেশ সচিবদের ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক করতে হবে। আমরা এখন চেষ্টা করব সবাইকে আহ্বান জানাব, সেটা করা যায় কি না। আমরা যদি প্রথমে বিদেশ সচিব পর্যায়ে বৈঠক করে ফেলতে পারি, তাহলে আমরা সার্ককে অনেকখানি সক্রিয় করে ফেলতে পারি।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সার্ক সম্মেলন আয়োজনের দাবি তুললেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর: বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের পরিবর্তন হয়েছে, সেটা মেনে নিয়েই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রবিবার তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি সব সময় বলে এসেছি, কোনো সমস্যার সমাধান করতে হলে স্বীকার করতে হবে যে সমস্যাটা আছে। এবং আমাদের একইভাবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে ৫ আগস্টের আগে ও পরে সম্পর্কের নিশ্চয়ই গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদের সম্পর্কে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক শুরুর বিষয়ে আমি প্রস্তাব করেছিলাম।’
বর্তমান টানাপোড়েন দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে বিদেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই যে দুই–তিন মাস যাবৎ যে মন্দা যাচ্ছে, সেটা কি শুধু বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে? শুধু বাংলাদেশকে এটা প্রভাবিত করছে না। এত বড় অর্থনীতির দেশ ভারতের ওপরও এর প্রভাব পড়ছে। পরিমাণটা হয়তো অত বেশি না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা আশা করব যে অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যোগাযোগ, পারস্পরিক দেখা–সাক্ষাৎ। আগামীকাল এখানে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আসছেন। পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকটি নিয়মিত বিষয়, অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি আশা করব যে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করবেন।’

সার্কে এক দশক ধরে অচলাবস্থার প্রসঙ্গ টেনে তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবছর শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। গত ১০ বছর যাবৎ কোনো শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না, সেটা সবাই জানেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সার্কের পুনর্জাগরণ চান, এ কথা জানিয়ে তৌহিদ বলেন, সার্ক সম্মেলন হচ্ছে না। শুরু করতে হবে। একবারেই সবকিছু করে ফেলব, তা চিন্তা না করাই ভালো। চারটা ধাপ আছে সার্কের। সংকটের উত্তরণ করতে হলে প্রথম যে ধাপ অর্থাৎ আমাদের বিদেশ সচিবদের ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক করতে হবে। আমরা এখন চেষ্টা করব সবাইকে আহ্বান জানাব, সেটা করা যায় কি না। আমরা যদি প্রথমে বিদেশ সচিব পর্যায়ে বৈঠক করে ফেলতে পারি, তাহলে আমরা সার্ককে অনেকখানি সক্রিয় করে ফেলতে পারি।