০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনিয়ম ধরা পড়লেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্লক হয়ে যাবে,জানাল স্বাস্থ্য দফতর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩, বুধবার
  • / 7

পুবের কলম প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। কার্যত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতি রুখতেই এই কঠোর পদক্ষেপ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। স্থির হয়েছে, এক বছরে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ১০ বার স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত অনিয়ম ধরা পড়লে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই স্বাস্থ্যসাথী  ‘ব্লক’হয়ে যাবে।

অর্থাৎ, সেখানে আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আর পরিষেবা মিলবে না। স্বাস্থ্যসাথীর প্রযুক্তির সফটওয়্যারে এমনই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হচ্ছে চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও। স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবায় জড়িত কোনও চিকিৎসকের তরফে বারবার অনিয়ম ধরা পড়লে তিনিও আর স্বাস্থ্যসাথী রোগীর চিকিৎসা করতে পারবেন না।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে সামনে রেখে রাজ্যের এক শ্রেণির হাসপাতাল ও নার্সিংহোম ব্যাপক খরচ দেখাচ্ছে। ভুয়ো রোগী বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর থেকে দেদার টাকা তুলে নিচ্ছে।

এহেন বেআইনি কাজ রুখতে জেলাভিত্তিক নজরদারি দল রয়েছে। তাতে কিছুটা কাজ হলেও স্বাস্থ্যসাথীকে সামনে রেখে বেআইনি কাজ একেবারে বন্ধ করা যায়নি। তাই স্বাস্থ্য দফতর নতুন  তৈরি করেছে। তাতে অন্তত ২ হাজার বেসরকারি -হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২০০ সরকারি চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির ভুল-ত্রুটি ধরবেন। সর্তক করবেন। আরও প্রায় ২০০ সরকারি চিকিৎসককে আগামী ১৮ তারিখ ভারচুয়াল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩ ধরণের ত্রুটি বা অনিয়ম উল্লেখ্য করা হয়েছে ব্লক  হওয়ার কারণের জন্য। রোগীর বাস্তবিক খরচ বিকৃত করে মনগড়া খরচ দেখানো হলে বা চিকিৎসা ও ভর্তির দিন-তারিখ বদল করা হলে এবং বারবার একই খরচ দেখানো হলে তা দুর্নীতি হিসাবেই চিহ্নিত হবে।

এই ধরণের অনিয়মের ক্ষেত্রে লাল তালিকাভুক্ত করা হবে হাসপাতালকে। এইসব হাসপাতালকে ৭ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। একইরকমভাবে হলুদ ও সবুজ তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে সেইসব হাসপাতাল বা নার্সিংহোমকে যেগুলি তুলনামূলকভাবে কম অনিয়ম করেছে। ত্রুটি ধরা পড়লে এদেরও সরকারি কোষাগারে স্বাস্থ্যসাথী টাকা ফেরত দিতে হবে। তবে একই অনিয়ম বছরে ১০ বার করলে সেই হাসপাতাল আর স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা দিতে পারবে না।

 


                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অনিয়ম ধরা পড়লেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্লক হয়ে যাবে,জানাল স্বাস্থ্য দফতর

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। কার্যত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতি রুখতেই এই কঠোর পদক্ষেপ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। স্থির হয়েছে, এক বছরে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ১০ বার স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত অনিয়ম ধরা পড়লে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই স্বাস্থ্যসাথী  ‘ব্লক’হয়ে যাবে।

অর্থাৎ, সেখানে আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আর পরিষেবা মিলবে না। স্বাস্থ্যসাথীর প্রযুক্তির সফটওয়্যারে এমনই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হচ্ছে চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও। স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবায় জড়িত কোনও চিকিৎসকের তরফে বারবার অনিয়ম ধরা পড়লে তিনিও আর স্বাস্থ্যসাথী রোগীর চিকিৎসা করতে পারবেন না।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে সামনে রেখে রাজ্যের এক শ্রেণির হাসপাতাল ও নার্সিংহোম ব্যাপক খরচ দেখাচ্ছে। ভুয়ো রোগী বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর থেকে দেদার টাকা তুলে নিচ্ছে।

এহেন বেআইনি কাজ রুখতে জেলাভিত্তিক নজরদারি দল রয়েছে। তাতে কিছুটা কাজ হলেও স্বাস্থ্যসাথীকে সামনে রেখে বেআইনি কাজ একেবারে বন্ধ করা যায়নি। তাই স্বাস্থ্য দফতর নতুন  তৈরি করেছে। তাতে অন্তত ২ হাজার বেসরকারি -হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২০০ সরকারি চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির ভুল-ত্রুটি ধরবেন। সর্তক করবেন। আরও প্রায় ২০০ সরকারি চিকিৎসককে আগামী ১৮ তারিখ ভারচুয়াল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩ ধরণের ত্রুটি বা অনিয়ম উল্লেখ্য করা হয়েছে ব্লক  হওয়ার কারণের জন্য। রোগীর বাস্তবিক খরচ বিকৃত করে মনগড়া খরচ দেখানো হলে বা চিকিৎসা ও ভর্তির দিন-তারিখ বদল করা হলে এবং বারবার একই খরচ দেখানো হলে তা দুর্নীতি হিসাবেই চিহ্নিত হবে।

এই ধরণের অনিয়মের ক্ষেত্রে লাল তালিকাভুক্ত করা হবে হাসপাতালকে। এইসব হাসপাতালকে ৭ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। একইরকমভাবে হলুদ ও সবুজ তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে সেইসব হাসপাতাল বা নার্সিংহোমকে যেগুলি তুলনামূলকভাবে কম অনিয়ম করেছে। ত্রুটি ধরা পড়লে এদেরও সরকারি কোষাগারে স্বাস্থ্যসাথী টাকা ফেরত দিতে হবে। তবে একই অনিয়ম বছরে ১০ বার করলে সেই হাসপাতাল আর স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা দিতে পারবে না।