১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ মে ২০২৩, শুক্রবার
  • / 82

পারিজাত মোল্লা: কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয় অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন মামলাকারী হিসাবে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের এক ব্যক্তির দাখিল মামলায় বড়সড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ  উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে বিস্তারিত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

রাজ্য  পঞ্চায়েত দফতরের সচিবের নজরদারিতে এই  অনুসন্ধানের নির্দেশ। নির্দিষ্ট সময় পরপর পঞ্চায়েত সচিবকে রিপোর্ট পাঠাবেন জেলাশাসক বলে আদালত জানিয়েছে । দু’মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের।

আরও পড়ুন: ১৭১টি ভুয়ো এনকাউন্টার অসমে, রাজ্য এইচআরসিকে তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত

যদি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকেই টাকা উদ্ধার হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

শুক্রবার এই মামলার  পর্যবেক্ষণে জানাল, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সূত্রে প্রকাশ, মনরেগা প্রকল্পের টাকা তছরূপের অভিযোগে ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তর দিনাজপুরের এক বাসিন্দা। গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

অনুসন্ধানের পর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩টি প্রকল্পের থেকে তালিকা প্রকাশ করেন জেলাশাসক এবং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দেন জেলাশাসক।

অনুসন্ধানে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী।আদালতের আগের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন হয়নি বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিশদ অনুসন্ধান করেননি জেলাশাসক। এমনই মনে করছে  আদালত। শুধুমাত্র তিনটি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য কেন সামনে আনা হল?  জেলাশাসকের অধীনে তো আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে! সেগুলির ক্ষেত্রে কী অনুসন্ধান হয়েছে? এদিন এজলাসে জানান প্রশ্ন বিচারপতি।সেই মামলায় জেলাশাসককে বিস্তারিত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট : ৫ মে ২০২৩, শুক্রবার

পারিজাত মোল্লা: কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয় অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন মামলাকারী হিসাবে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের এক ব্যক্তির দাখিল মামলায় বড়সড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ  উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে বিস্তারিত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

রাজ্য  পঞ্চায়েত দফতরের সচিবের নজরদারিতে এই  অনুসন্ধানের নির্দেশ। নির্দিষ্ট সময় পরপর পঞ্চায়েত সচিবকে রিপোর্ট পাঠাবেন জেলাশাসক বলে আদালত জানিয়েছে । দু’মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের।

আরও পড়ুন: ১৭১টি ভুয়ো এনকাউন্টার অসমে, রাজ্য এইচআরসিকে তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত

যদি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকেই টাকা উদ্ধার হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

শুক্রবার এই মামলার  পর্যবেক্ষণে জানাল, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সূত্রে প্রকাশ, মনরেগা প্রকল্পের টাকা তছরূপের অভিযোগে ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তর দিনাজপুরের এক বাসিন্দা। গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

অনুসন্ধানের পর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩টি প্রকল্পের থেকে তালিকা প্রকাশ করেন জেলাশাসক এবং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দেন জেলাশাসক।

অনুসন্ধানে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী।আদালতের আগের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন হয়নি বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিশদ অনুসন্ধান করেননি জেলাশাসক। এমনই মনে করছে  আদালত। শুধুমাত্র তিনটি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য কেন সামনে আনা হল?  জেলাশাসকের অধীনে তো আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে! সেগুলির ক্ষেত্রে কী অনুসন্ধান হয়েছে? এদিন এজলাসে জানান প্রশ্ন বিচারপতি।সেই মামলায় জেলাশাসককে বিস্তারিত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।