০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুধবারেও বিবিসির দিল্লি-মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান অব্যাহত  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 66

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও বন্ধ হয়নি  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’-র দিল্লি ও মুম্বই অফিসে  আয়কর দফতরের তল্লাশি  অভিযান। জানা গেছে, মঙ্গলবার আইকর দফতরের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ফোন ও  ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। যদিও এই অভিযানকে সমীক্ষার কাজ বলে দাবি করেছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বিবিসি-র অফিসে আয়কর দফতরের এই সমীক্ষা ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দিনে শুরু হয়েছিল ‘সার্ভে’। সেই সার্ভে চলেছে রাতভর।  এই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও বিবিসির অফিস থেকে কোনো নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। শুধু জানা গেছে ২০১২ সাল থেকে বিবিসির সমস্ত লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: SBI fraud case: ED-র পরে এ বার CBI-এর নজরে অনিল আম্বানি

উল্লেখ্য,  মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসি-র অফিসে হানা দেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। একটি টুইটের মাধ্যমে গতকাল গভীর রাতে বিবিসি জানায়,‘দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে এখনও রয়েছেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। অনেক কর্মী বাড়ি চলে গিয়েছেন। আবার অনেকে অফিসেই  আছেন এবং তারা আয়কর দফতরের কর্মকর্তাকে সাহায্য করছে।  এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের  কর্মচারীদের যথা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ভারতে আমরা আমাদের খবর পরিবেশন করে যাবো বলেও আশ্বস্ত করেন সংস্থার মুখ্য আধিকারিক।

আরও পড়ুন: উজান ও নিম্ন অসমে অব্যাহত বন্যার তাণ্ডব

বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের সার্ভে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি জারি করেছে সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ারও এই সার্ভের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন: গঙ্গার তলা দিয়ে গড়াল না মেট্রো, ট্রায়াল নিয়ে জিইয়ে থাকল জল্পনা

আয়কর দফতরের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা।   কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ”কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।” কার্যতই স্পষ্ট, আয়কর দফতরের এই অভিযানকে সমর্থন করছেন তিনি।

এদিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী  থারুরের মতে, ‘কোনও প্রতিষ্ঠানই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু বিবিসির দিল্লি ও মুম্বই অফিস ও স্টুডিওয় ২০ জন আয়কর কর্মকর্তার অভিযান দুঃখজনক ভাবেই আত্মঘাতী গোল।

এই ঘটনাকে গোটা বিশ্ব বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে  ক্ষুণ্ণ করতে বিজেপি সরকারের চেষ্টা হিসেবেই দেখবে।’ টুইটারে একটি পোস্টে এভাবেই তিনি কটাক্ষ করেছেন । সব মিলিয়ে বিবিসির অফিসে আয়কর হানা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বুধবারেও বিবিসির দিল্লি-মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান অব্যাহত  

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও বন্ধ হয়নি  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’-র দিল্লি ও মুম্বই অফিসে  আয়কর দফতরের তল্লাশি  অভিযান। জানা গেছে, মঙ্গলবার আইকর দফতরের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ফোন ও  ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। যদিও এই অভিযানকে সমীক্ষার কাজ বলে দাবি করেছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বিবিসি-র অফিসে আয়কর দফতরের এই সমীক্ষা ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দিনে শুরু হয়েছিল ‘সার্ভে’। সেই সার্ভে চলেছে রাতভর।  এই ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও বিবিসির অফিস থেকে কোনো নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। শুধু জানা গেছে ২০১২ সাল থেকে বিবিসির সমস্ত লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: SBI fraud case: ED-র পরে এ বার CBI-এর নজরে অনিল আম্বানি

উল্লেখ্য,  মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসি-র অফিসে হানা দেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। একটি টুইটের মাধ্যমে গতকাল গভীর রাতে বিবিসি জানায়,‘দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে এখনও রয়েছেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। অনেক কর্মী বাড়ি চলে গিয়েছেন। আবার অনেকে অফিসেই  আছেন এবং তারা আয়কর দফতরের কর্মকর্তাকে সাহায্য করছে।  এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের  কর্মচারীদের যথা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ভারতে আমরা আমাদের খবর পরিবেশন করে যাবো বলেও আশ্বস্ত করেন সংস্থার মুখ্য আধিকারিক।

আরও পড়ুন: উজান ও নিম্ন অসমে অব্যাহত বন্যার তাণ্ডব

বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের সার্ভে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি জারি করেছে সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ারও এই সার্ভের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন: গঙ্গার তলা দিয়ে গড়াল না মেট্রো, ট্রায়াল নিয়ে জিইয়ে থাকল জল্পনা

আয়কর দফতরের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা।   কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ”কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।” কার্যতই স্পষ্ট, আয়কর দফতরের এই অভিযানকে সমর্থন করছেন তিনি।

এদিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী  থারুরের মতে, ‘কোনও প্রতিষ্ঠানই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু বিবিসির দিল্লি ও মুম্বই অফিস ও স্টুডিওয় ২০ জন আয়কর কর্মকর্তার অভিযান দুঃখজনক ভাবেই আত্মঘাতী গোল।

এই ঘটনাকে গোটা বিশ্ব বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে  ক্ষুণ্ণ করতে বিজেপি সরকারের চেষ্টা হিসেবেই দেখবে।’ টুইটারে একটি পোস্টে এভাবেই তিনি কটাক্ষ করেছেন । সব মিলিয়ে বিবিসির অফিসে আয়কর হানা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।