পুবের কলম প্রতিবেদক: যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল আদালতে, অভিযোগ খারিজ করে জানালেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার৷ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ যার জেরে চাকরি হারাতে চলেছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন চাকরিপ্রার্থী৷ হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ বৃহস্পতিবার এবিষয়ে নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমজার৷
হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করেছে এসএসসি। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য সরকারও। শীর্ষ আদালতে পৃথক ভাবে মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আদালতের তরফে এসএসসি-র বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে এসএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ১৩ ডিসেম্বর প্রথম হলফনামা দেওয়া হয়। সেখানে থাকা একটি পয়েন্টে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। আবারও হলফনামা দিতে বলা হয়। পরবর্তীতে ১৮ ডিসেম্বর আরও একটি হলফনামা দেন তিনি। তাতে নবম-দশমে ৭৭৫ জনের সুপারশিপত্র রুল ১৭ প্রয়োগ করে প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছিল, সেই তালিকাও নাকি দেওয়া হয়। খোদ এসএসসি চেয়ারম্যান হাই কোর্টে উপস্থিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে একটি স্ট্যাটেসটিক্যাল রিপোর্ট দেওয়া হয়।
সিদ্ধার্থবাবু জানান, ওই রিপোর্টে ৭৭৫ জনের নাম তো ছিলই। আরও ৩৩ জন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়নি। ওএমআর শিট নিয়ে সমস্যা ছিল, তাঁদের নাম, রোল নম্বর জমা করা হয়। নবম-দশমের আরও ১৮৩ জনের নাম দেওয়া হয়, যাদের কিছু সমস্যা ছিল। এদিকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির যে ৭৭১ জনের বিভিন্নরকম ইস্যু ছিল, তাঁদের নামও জমা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এসএসসির দাবি, এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দিয়েছিল। কিন্তু আদালত তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। যার পরিণতিতে এই চাকরি বাতিল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরফে ৫৩০০ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল৷ যাঁকা ‘অযোগ্য’ বা বিতর্কিত৷ এর মধ্যে অযোগ্যদের সংখ্যাটাই বেশি৷ আদালতকে সম্মান করেছি। কিন্তু অনেকে যে বলছে এসএসসি কোনও তথ্য দেয়নি, সেটা ঠিক তথ্য নয়৷’