০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই গ্রামে জুতো পরা নিষিদ্ধ! কারণ জানলে চমকে যাবেন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, বুধবার
  • / 97

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  জুতো আবিষ্কার হয়েছে এক যুগ আগে। তারপরেও কেন জুতো পরেনা এই গ্রামের বাসিন্দারা।জানলে অবাক হয়ে যাবেন! কথিত আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। পাহাড়ের কাছে রয়েছে এক গ্রাম। সেটা স্বাভাবিক, কিন্তু অবাক করার বিষয় হল – এই গ্রামের মানুষরা নাকি জুতো পরেনা। শুধু একজন দু’জন না, পুরো গ্রামের মানুষরা কেউই জুতো পরে না। এটাই নাকি এই গ্রামের বিশেষত্ব। তামিলনাড়ুর কোদাইকানালের কাছাকাছি অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম ভেল্লাগাভি।

কথিত আছে গ্রামটি ৩০০ বছরের পুরোনো। বিগত ৩০০ বছর ধরেই এই নিয়ম মেনে আসছে ভেল্লাগাভি গ্রামের বাসিন্দারা। আপনি তামিলনাডু ঘুরতে গেলে, জঙ্গলে সফর করতে বা ট্রেকিংয়ে গেলে, মূলত এই গ্রামের ওপর দিয়েই যেতে হবে। তবে সেই ক্ষত্রেও নিয়মটা একই। তাঁদের কাছে ধর্মীয় বিশ্বাসটা অনেকটা জায়গা দখল করে রয়েছে। আমরা সাধারণত দুই কারণে জুতো পরি- প্রথমত ধুলো-বালি, নংরা থেকে বাঁচতে। দ্বিতীয়ত এটা আজকাল কার ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খানিকটা অবিশ্বাস্য হলেও মানতে হবে এই গ্রামের কেউই আজ পর্যন্তও জুতো পরেনি।

আরও পড়ুন: ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে মানা, দলিত বরের শোভাযাত্রার প্রহরায় ৬০ পুুলিশকর্মী

গ্রামটি একটু দুর্গম প্রকৃতির। এই গ্রামে ১০০ টির মতো পরিবার বসবাস করে। তাঁদের কাছে এই গ্রামে ভগবান থাকেন। গ্রামের বাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে পরপর বানানো হয়েছে। গ্রামে ঢোকার প্রবেশদ্বারে রয়েছ একটি মন্দির। সেই মন্দির পার হওয়ার পর থেকেই আর কেউ গ্রামে জুতা পরেন না। তাই আপনিও পরতে পারবেন না জুতা। এই গ্রামে প্রতি বাড়ি পিছু একটি করে মন্দির রয়েছে। বর্তমানে বাড়ির থেকে মন্দিরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই গ্রামের ভ্রমণে গেলে, আপনি দেখতে কেউ না কেউ নতজানু হয়ে এই মন্দিরে প্রার্থনা করছে।

আরও পড়ুন: ভাইরাল ভিডিয়ো! কলকাতার লোকাল ট্রেনে একদল মহিলার চুলোচুলি, একে অপরকে জুতো দিয়ে পেটালো

এমনকি গ্রামটিতে প্রবেশদ্বারেই লেখা আছে সতর্কবার্তা- ‘গ্রামে প্রবেশের আগে দয়া করে জুতা খুলে দেবেন’। যদিও এই নিয়মটা আগে অনেক কঠোরভাবে পালন করা হত।তবে নিত্যদিনের পর্যটকদের জন্য এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জুতো চুরির অপরাধে  ৭ বছরের জেল দুই ব্যক্তির  

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এই গ্রামে জুতো পরা নিষিদ্ধ! কারণ জানলে চমকে যাবেন

আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, বুধবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  জুতো আবিষ্কার হয়েছে এক যুগ আগে। তারপরেও কেন জুতো পরেনা এই গ্রামের বাসিন্দারা।জানলে অবাক হয়ে যাবেন! কথিত আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। পাহাড়ের কাছে রয়েছে এক গ্রাম। সেটা স্বাভাবিক, কিন্তু অবাক করার বিষয় হল – এই গ্রামের মানুষরা নাকি জুতো পরেনা। শুধু একজন দু’জন না, পুরো গ্রামের মানুষরা কেউই জুতো পরে না। এটাই নাকি এই গ্রামের বিশেষত্ব। তামিলনাড়ুর কোদাইকানালের কাছাকাছি অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম ভেল্লাগাভি।

কথিত আছে গ্রামটি ৩০০ বছরের পুরোনো। বিগত ৩০০ বছর ধরেই এই নিয়ম মেনে আসছে ভেল্লাগাভি গ্রামের বাসিন্দারা। আপনি তামিলনাডু ঘুরতে গেলে, জঙ্গলে সফর করতে বা ট্রেকিংয়ে গেলে, মূলত এই গ্রামের ওপর দিয়েই যেতে হবে। তবে সেই ক্ষত্রেও নিয়মটা একই। তাঁদের কাছে ধর্মীয় বিশ্বাসটা অনেকটা জায়গা দখল করে রয়েছে। আমরা সাধারণত দুই কারণে জুতো পরি- প্রথমত ধুলো-বালি, নংরা থেকে বাঁচতে। দ্বিতীয়ত এটা আজকাল কার ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খানিকটা অবিশ্বাস্য হলেও মানতে হবে এই গ্রামের কেউই আজ পর্যন্তও জুতো পরেনি।

আরও পড়ুন: ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে মানা, দলিত বরের শোভাযাত্রার প্রহরায় ৬০ পুুলিশকর্মী

গ্রামটি একটু দুর্গম প্রকৃতির। এই গ্রামে ১০০ টির মতো পরিবার বসবাস করে। তাঁদের কাছে এই গ্রামে ভগবান থাকেন। গ্রামের বাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে পরপর বানানো হয়েছে। গ্রামে ঢোকার প্রবেশদ্বারে রয়েছ একটি মন্দির। সেই মন্দির পার হওয়ার পর থেকেই আর কেউ গ্রামে জুতা পরেন না। তাই আপনিও পরতে পারবেন না জুতা। এই গ্রামে প্রতি বাড়ি পিছু একটি করে মন্দির রয়েছে। বর্তমানে বাড়ির থেকে মন্দিরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই গ্রামের ভ্রমণে গেলে, আপনি দেখতে কেউ না কেউ নতজানু হয়ে এই মন্দিরে প্রার্থনা করছে।

আরও পড়ুন: ভাইরাল ভিডিয়ো! কলকাতার লোকাল ট্রেনে একদল মহিলার চুলোচুলি, একে অপরকে জুতো দিয়ে পেটালো

এমনকি গ্রামটিতে প্রবেশদ্বারেই লেখা আছে সতর্কবার্তা- ‘গ্রামে প্রবেশের আগে দয়া করে জুতা খুলে দেবেন’। যদিও এই নিয়মটা আগে অনেক কঠোরভাবে পালন করা হত।তবে নিত্যদিনের পর্যটকদের জন্য এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জুতো চুরির অপরাধে  ৭ বছরের জেল দুই ব্যক্তির