২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় ইসলামি অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল: বিশেষজ্ঞ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 148

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো সহ বেশকিছু  অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ইসলামি অর্থনৈতিক প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ইসলামি অনুশীলন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসব প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। রাশিয়া জানায়, প্রাথমিকভাবে দাগেস্তান, বাশখেরিয়া ও তাতারস্তানে পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রম চলবে। এর মেয়াদ হবে ২ বছর। পরবর্তী সময়ে এর সফলতার ওপর নির্ভর করে রাশিয়ার জন্য উপযুক্ত একটি ইসলামিক মডেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। ‘দ্য রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপার্ট ইন ইসলামিক ফাইন্যান্স’-এর সিনিয়র বিশেষজ্ঞ আলেকজেন্ডার কাজাকভ বলেন, ‘পশ্চিমা অর্থনৈতিক বাজার ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে। এখন সময় আরব ও এশিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় করার দিকে মনোযোগ দেওয়ার।’ তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সাথে সংঘাতের জেরে রাশিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের সেন্টারগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাণিজ্য সচল রাখতে আমাদের সামনে অন্য কোনও সহজলভ্য বিকল্প অনুসন্ধান করতেই হতো। এখন আমাদেরকে ওয়াশিংটন, লন্ডনের অস্তিত্ব ভুলে যেতে হবে। বরং এখন আমাদের বেজিং, নয়া দিল্লি, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর ও উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।’ জানা গেছে, রুশ সংসদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ‘অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের’ বিষয়টি অনুমোদন করেছে, যা ইসলামি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামি নীতিমালার ভিত্তিতে বিনিয়োগ বিষয়টি বোঝাতে এই ‘অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের’ বিষয়টি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ইসলামী অর্থনীতি কি পশ্চিমা অর্থনীতির বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আলেকজেন্ডার কাজাকভ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অপেক্ষা করব ও দেখব। পশ্চিমা অর্থনীতি নিজেই এখন মারাত্মক সংকটের মধ্যে আছে। আগামী দিনে কী হবে, তা নির্ভর করছে পশ্চিমা অর্থনীতি কতটা সফলভাবে সংকট মোকাবিলা করতে পারল এবং কিভাবে টিকে থাকল তার ওপর।’ ইসলামি অর্থনীতির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ায় বর্তমানে বেশ কিছু ছোট ছোট ইসলামি আর্থিক সংস্থা কাজ করছে। তারা সফলতা পাচ্ছে।’ আর ২ কোটি রুশ মুসলিমের চাহিদার দিকে লক্ষ্য করলে বলতেই হবে রাশিয়ায় ইসলামি অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাশিয়ায় ইসলামি অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল: বিশেষজ্ঞ

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো সহ বেশকিছু  অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ইসলামি অর্থনৈতিক প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ইসলামি অনুশীলন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসব প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। রাশিয়া জানায়, প্রাথমিকভাবে দাগেস্তান, বাশখেরিয়া ও তাতারস্তানে পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রম চলবে। এর মেয়াদ হবে ২ বছর। পরবর্তী সময়ে এর সফলতার ওপর নির্ভর করে রাশিয়ার জন্য উপযুক্ত একটি ইসলামিক মডেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। ‘দ্য রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপার্ট ইন ইসলামিক ফাইন্যান্স’-এর সিনিয়র বিশেষজ্ঞ আলেকজেন্ডার কাজাকভ বলেন, ‘পশ্চিমা অর্থনৈতিক বাজার ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে। এখন সময় আরব ও এশিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় করার দিকে মনোযোগ দেওয়ার।’ তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সাথে সংঘাতের জেরে রাশিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের সেন্টারগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাণিজ্য সচল রাখতে আমাদের সামনে অন্য কোনও সহজলভ্য বিকল্প অনুসন্ধান করতেই হতো। এখন আমাদেরকে ওয়াশিংটন, লন্ডনের অস্তিত্ব ভুলে যেতে হবে। বরং এখন আমাদের বেজিং, নয়া দিল্লি, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর ও উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।’ জানা গেছে, রুশ সংসদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ‘অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের’ বিষয়টি অনুমোদন করেছে, যা ইসলামি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামি নীতিমালার ভিত্তিতে বিনিয়োগ বিষয়টি বোঝাতে এই ‘অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের’ বিষয়টি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ইসলামী অর্থনীতি কি পশ্চিমা অর্থনীতির বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আলেকজেন্ডার কাজাকভ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অপেক্ষা করব ও দেখব। পশ্চিমা অর্থনীতি নিজেই এখন মারাত্মক সংকটের মধ্যে আছে। আগামী দিনে কী হবে, তা নির্ভর করছে পশ্চিমা অর্থনীতি কতটা সফলভাবে সংকট মোকাবিলা করতে পারল এবং কিভাবে টিকে থাকল তার ওপর।’ ইসলামি অর্থনীতির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ায় বর্তমানে বেশ কিছু ছোট ছোট ইসলামি আর্থিক সংস্থা কাজ করছে। তারা সফলতা পাচ্ছে।’ আর ২ কোটি রুশ মুসলিমের চাহিদার দিকে লক্ষ্য করলে বলতেই হবে রাশিয়ায় ইসলামি অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল।