০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ ৫ বিজেপি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ সোরেন সরকারের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ জুন ২০২২, বুধবার
  • / 44

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ঝাড়খণ্ড সরকার রাজ্যের পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস-সহ তৎকালীন পাঁচজন বিজেপি  মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রঘুবর দাস  ছাড়াও ওই তালিকায় নাম  রয়েছে, নিরা যাদব, রণধীর কুমার সিং,  নীলকান্ত সিং মুন্ডে,  অমর কুমার বাউরি ও লুইস মারান্ডির।

বিজেপি শাসনামলে ২০১৬ সালে রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের সময় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। তখনও তদন্তের মুখে পড়তে হয় বিজেপি সরকারকে।

আরও পড়ুন: পণ্ডিতরা কাশ্মীর ফিরুক, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

এর আগে রাজ্যের নতুন বিধানসভা ভবন ও হাই কোর্ট নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় গত মে মাসেই বিচারবিভাগীয় কমিশন গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হেমন্ত সোরেন সরকার।

আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ, ইইওসির তদন্তের মুখে টিসিএস

৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিন তলা বিধানসভা ভবনটি বিহারে তৈরি হওয়ার ১৯ বছর পরে গত ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছিলেন। ২০১৫ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।

আরও পড়ুন: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি, ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দাবি বাঘেলের

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সোরেন সরকার জানিয়েছে, হাই কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, এই সমস্তই রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়। বদলার রাজনীতি করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির অবস্থা যে টালমাটাল সে কথাই উঠে আসছে। আর বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চিন্তা আরও নতুন করে বাড়িয়ে দিল।

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রঘুবর দাসকে ক্ষমতাচ্যুত করে  আসন দখল করেন জেএমএম দলের প্রধান হেমন্ত সোরেন। বিজেপিকে হারাতে তিনিই কংগ্রেস ও আরজেডির সমন্বয়ের জোটের নেতা হন।

 

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ ৫ বিজেপি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ সোরেন সরকারের

আপডেট : ১ জুন ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ঝাড়খণ্ড সরকার রাজ্যের পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস-সহ তৎকালীন পাঁচজন বিজেপি  মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রঘুবর দাস  ছাড়াও ওই তালিকায় নাম  রয়েছে, নিরা যাদব, রণধীর কুমার সিং,  নীলকান্ত সিং মুন্ডে,  অমর কুমার বাউরি ও লুইস মারান্ডির।

বিজেপি শাসনামলে ২০১৬ সালে রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের সময় আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। তখনও তদন্তের মুখে পড়তে হয় বিজেপি সরকারকে।

আরও পড়ুন: পণ্ডিতরা কাশ্মীর ফিরুক, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

এর আগে রাজ্যের নতুন বিধানসভা ভবন ও হাই কোর্ট নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় গত মে মাসেই বিচারবিভাগীয় কমিশন গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হেমন্ত সোরেন সরকার।

আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ, ইইওসির তদন্তের মুখে টিসিএস

৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিন তলা বিধানসভা ভবনটি বিহারে তৈরি হওয়ার ১৯ বছর পরে গত ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছিলেন। ২০১৫ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।

আরও পড়ুন: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি, ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দাবি বাঘেলের

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সোরেন সরকার জানিয়েছে, হাই কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, এই সমস্তই রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়। বদলার রাজনীতি করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির অবস্থা যে টালমাটাল সে কথাই উঠে আসছে। আর বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চিন্তা আরও নতুন করে বাড়িয়ে দিল।

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রঘুবর দাসকে ক্ষমতাচ্যুত করে  আসন দখল করেন জেএমএম দলের প্রধান হেমন্ত সোরেন। বিজেপিকে হারাতে তিনিই কংগ্রেস ও আরজেডির সমন্বয়ের জোটের নেতা হন।