টুইন টাওয়ারের বিরুদ্ধে লড়াই, নেতৃত্ব দেওয়া ৪ প্রবীণের গল্প

- আপডেট : ২৯ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
- / 33
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নয়ডার ১০০ মিটার উঁচু টুইন টাওয়ার এখন ধ্বংসাবশেষ মাত্র। এত বড় সংস্থার সঙ্গে লড়াই করে ন্যায় পাওয়া অসম্ভব বলে ধরে নিয়েছিলেন, নয়ডার সেক্টর ৯৩ – এ এর বাসিন্দারা। সেই আশাহত পরিস্থিতিতে যারা লড়াই এর সাহস জুগিয়ে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই চারজনই প্রবীণ নাগরিক। নয়ডার মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে এই চার প্রবীণ যুবকের গল্প।
উদয় ভান সিং, এস কে শর্মা, রবি বজাজ, এম কে জৈন এই চারজন প্রবীণ নাগরিক মিলে প্রথমবার আদালতের দ্বারস্থ হন সুপারটেকের বিরুদ্ধে। টানা দশ বছরের লড়াইয়ে কখনও পিছু পা হননি এই চার প্রবীণ। দশ বছরের লড়াইয়ের পর যখন জয় এর মুখ দেখলো সেক্টর ৯৩ এর বাসিন্দারা তখন অবশ্য নেই এই লড়াইয়ের অন্যতম মুখ এম কে জৈন। গত বছর সেক্টর ৯৩-এ এর বাসিন্দা ৫৯ সালের এম কে জৈন কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নয়ডায় তাঁর ইলেকট্রিসিটির সরঞ্জাম তৈরির কারখানা ছিল।
এই লড়ায়ে প্রথম যিনি এগিয়ে আসেন, তিনি ৭৯ বছরের উদয় ভান সিং তেওতিয়া। তিনিও ৯৩-এ এর বাসিন্দা। এমারেল্ড কোর্ট রেসিডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি। উদয় ভান সিং জানিয়েছেন, টুইন টাওয়ারের নির্মাতারা প্রথমে বিল্ডিং এর প্ল্যান ও দেননি। তারা পার্কের জমিতে এই জোড়া ভবন নির্মাণ করে। তিনি বলেন, ১০ বছরের লড়াইয়ের পর মামলা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছিল। এই নির্মাণের সঙ্গে নয়ডা অথরিটির যে কর্মকর্তারা জড়িয়ে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রবীণদের অন্যতম ৭৪ বছরের এস কে শর্মা। টেলিকম বিভাগের ডেপুটি ডিজি হিসেবে অবসর নিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে গাছপালা কেটে সুপারটেক প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি সাধন করেছিল। তারা কোনো ধরণের প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি।
এই তিনজনের সঙ্গে ছিলেন ৬৫ বছরের রবি বাজাজ। অয়কর বিভাগের প্রাক্তন এই আধিকারিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন তাঁর অন্য সহযোদ্ধাদের সঙ্গে।
এই লড়াই কখনই সহজ ছিল না। কিন্তু এই চারজন প্রবীণ নাগরিক একজোট হয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন। নির্মাতাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই চারজন প্রবীণ একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। কিমিটির ৪০ জন সদস্য মিলে অনুদান সংগ্রহ করে এই লড়াই চালিয়ে গেছেন। যার সুফল পেয়েছে নয়ডার ৯৩-এ এর বাসিন্দারা।