২৪ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন দূতাবাসের দেওয়ালে আঁকা হল তালিবানের পতাকা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 26

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তালিবানের দাপটে পালিয়েছে মার্কিন সেনা। রাজধানী কাবুলে এখন গ্রিন জোন বলে কিছু নেই। মার্কিন পতাকাগুলিও নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তার জায়গায় তোলা হয়েছে তালিবানের সাদা পতাকা। এবার কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের দেওয়ালেও তালিবানরা তাদের পতাকা এঁকে দিল। আপাতত মার্কিন দূতাবাস ভবনটি তালিবানের দখলে রয়েছে। দূতাবাসে নেই কোনও মার্কিন কূটনৈতিক। সদর দরজার বাইরে প্রহরা দিচ্ছে তালিবান যোদ্ধারা। এক তালিবান রক্ষী বলেন, ‘আমাদের মূল ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি রাজধানীর পথে ঘাটে তালিবানের বহু পোস্টার ও দেওয়াল ছবি দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে তালিবানের পতাকা। ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানী প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিল্ডিংয়ে তালিবান রক্ষীরা মোতায়েন রয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে অপরাধের মাত্রা শূন্যে নিয়ে আসারও অঙ্গীকার করেছে দলটি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত চোর ও ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করেছে তালিবান। মুদ্রা ব্যবসায়ী আসমাতুল্লাহ ওয়াজির বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চুরি-ডাকাতির ভয় নিয়ে অনেক রাতে ঘরে ফিরতাম। এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো হয়েছে।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ঘোষণা করেন, তালিবানের অন্তর্ভুক্তিমূলক কেয়ার টেকার সরকারের কাছে প্রথম দু’টি চ্যালেঞ্জ হল নিরাপত্তা ও অর্থনীতি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মার্কিন দূতাবাসের দেওয়ালে আঁকা হল তালিবানের পতাকা

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তালিবানের দাপটে পালিয়েছে মার্কিন সেনা। রাজধানী কাবুলে এখন গ্রিন জোন বলে কিছু নেই। মার্কিন পতাকাগুলিও নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তার জায়গায় তোলা হয়েছে তালিবানের সাদা পতাকা। এবার কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের দেওয়ালেও তালিবানরা তাদের পতাকা এঁকে দিল। আপাতত মার্কিন দূতাবাস ভবনটি তালিবানের দখলে রয়েছে। দূতাবাসে নেই কোনও মার্কিন কূটনৈতিক। সদর দরজার বাইরে প্রহরা দিচ্ছে তালিবান যোদ্ধারা। এক তালিবান রক্ষী বলেন, ‘আমাদের মূল ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি রাজধানীর পথে ঘাটে তালিবানের বহু পোস্টার ও দেওয়াল ছবি দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে তালিবানের পতাকা। ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানী প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিল্ডিংয়ে তালিবান রক্ষীরা মোতায়েন রয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে অপরাধের মাত্রা শূন্যে নিয়ে আসারও অঙ্গীকার করেছে দলটি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত চোর ও ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করেছে তালিবান। মুদ্রা ব্যবসায়ী আসমাতুল্লাহ ওয়াজির বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষ এবং নিরাপত্তাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চুরি-ডাকাতির ভয় নিয়ে অনেক রাতে ঘরে ফিরতাম। এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো হয়েছে।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ঘোষণা করেন, তালিবানের অন্তর্ভুক্তিমূলক কেয়ার টেকার সরকারের কাছে প্রথম দু’টি চ্যালেঞ্জ হল নিরাপত্তা ও অর্থনীতি।