২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোড়ার পিঠে করে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যান শিক্ষক!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 125

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল হাক্কারির বাসিন্দা মুসা টাবসান। পেশায় তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। জ্ঞানের মশাল জ্বালাতে উদ্যমী এ শিক্ষক প্রতিদিন ঘোড়ার পিঠে  করে সুদীর্ঘ দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে ক্লাস নিতে যান। সেই স্কুলে তার শিক্ষার্থী মাত্র ৫জন।

 

আরও পড়ুন: আন্দোলন না করে স্কুলে ফিরুন চাকরি হারা শিক্ষকরা, আর্জি ফিরহাদের

শিক্ষার্থীসংখ্যা কম হলেও একজন আদর্শ শিক্ষকের কাছে তা কোনও বিষয় নয়। তাই তো মুসা বলেন, ‘বাচ্চাদের একটি মাত্র শধ শেখাতে পারলেও আমি স্বার্থক, সফল আমার এ ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতেই আমি এত কষ্ট করে স্কুলে যাই।’ জানা যায়,  মুসার নিজের কোনও গাড়ি নেই, আছে শুধু একটি ঘোড়া। তাই তাকে যখন বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দুরের একটি স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হল, তখন বিশ্বস্ত ঘোড়াটিকে নিয়েই স্কুলে যাতায়াত করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুসার স্কুলে যাওয়ার পাহাড়ি পথটি মোটেও মসৃণ নয়।

আরও পড়ুন: আমিরাতের স্কুলপাঠ্যে কেজি থেকেই চালু হচ্ছে ‘এআই’

 

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু, আবার কোথাও বরফে ঘেরা, কোথাও  আবার কর্দমাক্ত। তবে, সবকিছু পার করেই মুসা তাঁর ঘোড়ার পিঠে করে প্রতিদিন পৌঁছে যান নিজ স্কুলে। মুসা বলেন, ‘’শীতের সকালে এ এলাকার তাপমাত্রা খুবই কম থাকে। কিন্তু  স্কুলে পৌঁছে যখন শিক্ষার্থীদের দেখতে পাই, তখন আমি আমার সব কষ্ট ভুলে যাই। তাছাড়া বাচ্চারাও আমাকে ঘোড়ায় চড়ে স্কুলে আসতে দেখতে খুব পছন্দ করে।’ তিনি আরও জানান, আসন্ন শীতে সাময়িকভাবে স্কুলের পাশে কোনও স্থানে ঘর নিয়ে থাকার পরিকল্পনা করছেন। শীত শেষে বসন্তকাল এলে আবারও ঘোড়ার পিঠে চড়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু করবেন তিনি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঘোড়ার পিঠে করে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যান শিক্ষক!

আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল হাক্কারির বাসিন্দা মুসা টাবসান। পেশায় তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। জ্ঞানের মশাল জ্বালাতে উদ্যমী এ শিক্ষক প্রতিদিন ঘোড়ার পিঠে  করে সুদীর্ঘ দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে ক্লাস নিতে যান। সেই স্কুলে তার শিক্ষার্থী মাত্র ৫জন।

 

আরও পড়ুন: আন্দোলন না করে স্কুলে ফিরুন চাকরি হারা শিক্ষকরা, আর্জি ফিরহাদের

শিক্ষার্থীসংখ্যা কম হলেও একজন আদর্শ শিক্ষকের কাছে তা কোনও বিষয় নয়। তাই তো মুসা বলেন, ‘বাচ্চাদের একটি মাত্র শধ শেখাতে পারলেও আমি স্বার্থক, সফল আমার এ ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতেই আমি এত কষ্ট করে স্কুলে যাই।’ জানা যায়,  মুসার নিজের কোনও গাড়ি নেই, আছে শুধু একটি ঘোড়া। তাই তাকে যখন বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দুরের একটি স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হল, তখন বিশ্বস্ত ঘোড়াটিকে নিয়েই স্কুলে যাতায়াত করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুসার স্কুলে যাওয়ার পাহাড়ি পথটি মোটেও মসৃণ নয়।

আরও পড়ুন: আমিরাতের স্কুলপাঠ্যে কেজি থেকেই চালু হচ্ছে ‘এআই’

 

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু, আবার কোথাও বরফে ঘেরা, কোথাও  আবার কর্দমাক্ত। তবে, সবকিছু পার করেই মুসা তাঁর ঘোড়ার পিঠে করে প্রতিদিন পৌঁছে যান নিজ স্কুলে। মুসা বলেন, ‘’শীতের সকালে এ এলাকার তাপমাত্রা খুবই কম থাকে। কিন্তু  স্কুলে পৌঁছে যখন শিক্ষার্থীদের দেখতে পাই, তখন আমি আমার সব কষ্ট ভুলে যাই। তাছাড়া বাচ্চারাও আমাকে ঘোড়ায় চড়ে স্কুলে আসতে দেখতে খুব পছন্দ করে।’ তিনি আরও জানান, আসন্ন শীতে সাময়িকভাবে স্কুলের পাশে কোনও স্থানে ঘর নিয়ে থাকার পরিকল্পনা করছেন। শীত শেষে বসন্তকাল এলে আবারও ঘোড়ার পিঠে চড়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু করবেন তিনি।