০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেউলিয়া হতে পারে ৫৪ দেশ’ আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 74

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে আছে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশ। আর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে সাার মানুষের ওপর। এই তথ্য প্রকাশ করে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি সংস্থার (ইউএনডিপি) প্রান আচিম স্টেইনার।

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির

মিশরে কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে ইউএনডিপি প্রধান বলেন; ‘যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলো সহায়তা না করে তাহলে ঝুঁকিতে থাকা এসব দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: ১৩ মার্চ বাংলাদেশ আসছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব

 

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অধিকার যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, কেজরির গ্রেফতারি নিয়ে সরব রাষ্ট্রপুঞ্জ

মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সুদ হার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যেখানে বেশ কয়েকটি দেশ ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে পড়েছে। যার মারাত্মক প্রভাব সাার মানুষের ওপর পড়বে।’

তিনি বলেন; ‘আমাদের তালিকায় এখন ৫৪টি দেশ রয়েছে যেগুলো ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে পড়তে পারে। যদি আমরা আরও ধাক্কা খাই; সুদের হার বাড়ে; ঋণ গ্রহণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে যায়; জ্বালানির মূল্য; খাদ্যের মূল্য বাড়ে তাহলে আমরা দেখব এ দেশগুলো আর ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন; ‘এটি ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান। দেশটি এখনও সামাজিক; অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে চলছে।’ জলবায়ু সম্মেলনে রাষ্ট্রসংঘের এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন; ঋণ খেলাপির ঝুঁকির বিষয়টি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। বলেছেন; ‘এরকম ঋণ খেলাপির ঝুঁকি জলবায়ু সমস্যা সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে।

 

এটি অবশ্যই জলবায়ু কার্যক্রমকে সহায়তা করবে না।’ তাঁর মতে; উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া অনুন্নত দেশগুলো জলবায়ু সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। উল্লেখ্য; উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো যে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; সেগুলো তারা পূরণ করেনি।

কিন্তু এরই মধ্যে ঝড়; বন্যা; খরা এবং তাপপ্রবাহের ঝুঁকি বাড়ছে। তাছাড়া পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন মাত্রা কমিয়ে আনতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু উন্নত দেশগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি না রাখে; তাহলে বহু দেশ রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু কার্যক্রম থেকে দূরে সরে যেতে পারে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেউলিয়া হতে পারে ৫৪ দেশ’ আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে আছে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশ। আর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে সাার মানুষের ওপর। এই তথ্য প্রকাশ করে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি সংস্থার (ইউএনডিপি) প্রান আচিম স্টেইনার।

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির

মিশরে কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে ইউএনডিপি প্রধান বলেন; ‘যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলো সহায়তা না করে তাহলে ঝুঁকিতে থাকা এসব দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: ১৩ মার্চ বাংলাদেশ আসছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব

 

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অধিকার যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, কেজরির গ্রেফতারি নিয়ে সরব রাষ্ট্রপুঞ্জ

মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সুদ হার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যেখানে বেশ কয়েকটি দেশ ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে পড়েছে। যার মারাত্মক প্রভাব সাার মানুষের ওপর পড়বে।’

তিনি বলেন; ‘আমাদের তালিকায় এখন ৫৪টি দেশ রয়েছে যেগুলো ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে পড়তে পারে। যদি আমরা আরও ধাক্কা খাই; সুদের হার বাড়ে; ঋণ গ্রহণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে যায়; জ্বালানির মূল্য; খাদ্যের মূল্য বাড়ে তাহলে আমরা দেখব এ দেশগুলো আর ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন; ‘এটি ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান। দেশটি এখনও সামাজিক; অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে চলছে।’ জলবায়ু সম্মেলনে রাষ্ট্রসংঘের এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন; ঋণ খেলাপির ঝুঁকির বিষয়টি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। বলেছেন; ‘এরকম ঋণ খেলাপির ঝুঁকি জলবায়ু সমস্যা সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে।

 

এটি অবশ্যই জলবায়ু কার্যক্রমকে সহায়তা করবে না।’ তাঁর মতে; উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া অনুন্নত দেশগুলো জলবায়ু সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। উল্লেখ্য; উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো যে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; সেগুলো তারা পূরণ করেনি।

কিন্তু এরই মধ্যে ঝড়; বন্যা; খরা এবং তাপপ্রবাহের ঝুঁকি বাড়ছে। তাছাড়া পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন মাত্রা কমিয়ে আনতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু উন্নত দেশগুলো যদি তাদের প্রতিশ্রুতি না রাখে; তাহলে বহু দেশ রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু কার্যক্রম থেকে দূরে সরে যেতে পারে।