০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে খুন স্ত্রীর, ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয় খুনিও

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে খুন স্বামী। এক লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করেছিল খুনি। পরিকল্পনামাফিক ভাড়াটে খুনিকে দিয়েই হত্যা করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্ণাটকের নন্দাগুড়ি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে মৃত ওই ব্যক্তিটি রাজ্যের কোলাক জেলার চাম্বি গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ব্যক্তিটির নাম আনন্দ। এবং তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজও ছিলেন। ঘটনার পর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেখানে আনন্দের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তে জানা গেছে, আনন্দ পেশায় একজন ট্র্যাক ড্রাইভার ছিল। কিছু বছর আগেই তার ও চিত্রার বিয়ে হয়। কিন্তু প্রতিবেশীর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কও রয়েছে সেই সন্দেহে ওই দম্পত্তির মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। এমনকি মদ খেয়ে এসে বউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরও করত। ঘটনাচক্রে, চলপতির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কিছু দিন আগেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিত্রা। পরে অবশ্য তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার পরই দু’জনে মিলে আনন্দকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। পরিকল্পনামাফিক ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয় খুনিও। খুনের সময় উপস্থিত ছিলেন চলপতি ও চিত্রাও।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে খুন স্ত্রীর, ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয় খুনিও

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে খুন স্বামী। এক লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করেছিল খুনি। পরিকল্পনামাফিক ভাড়াটে খুনিকে দিয়েই হত্যা করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্ণাটকের নন্দাগুড়ি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে মৃত ওই ব্যক্তিটি রাজ্যের কোলাক জেলার চাম্বি গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ব্যক্তিটির নাম আনন্দ। এবং তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজও ছিলেন। ঘটনার পর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেখানে আনন্দের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তে জানা গেছে, আনন্দ পেশায় একজন ট্র্যাক ড্রাইভার ছিল। কিছু বছর আগেই তার ও চিত্রার বিয়ে হয়। কিন্তু প্রতিবেশীর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কও রয়েছে সেই সন্দেহে ওই দম্পত্তির মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। এমনকি মদ খেয়ে এসে বউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরও করত। ঘটনাচক্রে, চলপতির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কিছু দিন আগেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিত্রা। পরে অবশ্য তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার পরই দু’জনে মিলে আনন্দকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। পরিকল্পনামাফিক ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয় খুনিও। খুনের সময় উপস্থিত ছিলেন চলপতি ও চিত্রাও।