এবার টেস্ট ক্রিকেট চার দিনের, ব্যতিক্রম ভারত, অষ্ট্রেলিয়ার

- আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 161
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পাঁচ দিনের বদলে এবার টেস্ট ক্রিকেট আয়োজিত হবে চার দিনের। অর্থাৎ ভারত ও অন্যান্য দেশগুলিতে লাল বলের ঘরোয়া ক্রিকেট যে ফরম্যাটে আয়োজিত হয়, অনেকটা সেই ধাঁছে আয়োজিত হবে টেস্ট ক্রিকেট। তবে সেটা ২০২৫-২৭ এই সেশনে নয়। এর পরবর্তী যে সেশন আসছে, অর্থাৎ ২০২৭-২৯ ক্রিকেট সেশনে এই নিয়ম কার্যকর হতে পারে। যদিও আইসিসি এখনও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে ইংল্যান্ডের এক দৈনিকের খবর অনুযায়ী এবারের পরের টেস্ট ক্রিকেট মরশুমে হয়ত টেস্ট ক্রিকেট চার দিনের হতে পারে। আসলে ছোট দেশগুলিকে টেস্ট ক্রিকেটের আওতায় আনতে ও টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতেই আইসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। অন্তত বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান তেমনটাই চাইছেন।
সদ্যসমাপ্ত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপার তকমা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সুপার পাওয়ার অষ্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেই ফাইনাল সাড়ে তিনদিনও গড়ায়নি। অথচ লর্ডসের এই ফাইনালে জনসমাগম কম হয়নি। প্রতি দিনই ভরা ছিল ঐতিহাসিক লর্ডসের গ্যালারি। আর তা দেখেই উৎসাহী আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকষর্ণীয় করতে চাইছেন।
বেশ কিছু ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ বতমানে টেস্ট খেলার আগ্রহ কিছুটা হারিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো এক সময়ের টেস্টের জায়ান্ট দলের এখন আর টেস্ট ক্রিকেটে সেই ঐতিহ্য নেই। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে অর্থও নেই। একই অবস্থা জিম্বাবোয়ে, কেনিয়ার মতো দলগুলিরও। শ্রীলঙ্কাও এখন টেস্ট ক্রিকেটে আগের সেই জায়গায় নেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নের অন্তর্গত হলেও বাংলাদেশও হারিয়েছে তাদের সেই টেস্ট কোলিন্য।
তাই এই দলগুলির কাছে টেস্টকে আরও জনপ্রিয়তা দিতে এবার টেস্ট ক্রিকেটকে চারদিনের করার ভাবনা ভাবছে আইসিসি। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ের মতো দলের অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজগুলিতেও প্লেয়ার থাকে একবারে টায়েটোয়ে। কারণটা অর্থনৈতিক। তাছাড়া ব্যস্ত সিডউল থেকে টেসেটর সময় বার করা ছোট দলগুলির ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। কিন্তু চারদিনের টেস্ট ম্যাচ হলে সেই সমস্যা থাকে না। সেই কারণেই এবার বেশ কিছু দলের টেস্ট সিরিজ হতে পারে চার দিনে। চারদিনের টেস্ট সিরিজে ৯০ ওভারের বদলে ৯৮ ওভারের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে ভারত, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দল। তাদের এক জনের বিরুদ্ধে আরেক জনের টেস্ট ম্যাচ খেলা হবে পাঁচ দিনেই। তবে ২০২৫-২৭ এই মরশুমে টেস্ট খেলা হবে পাঁচ দিনেই।