০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলামি ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট,  তদন্তের নির্দেশ 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 7

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ইসলামি ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। এই মামলায় দুর্নীতি  দমন  কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ)তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী চার মাসের মধ্যে তদন্তের প্রতিলিপিটি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  রবিবার বিচারপতি মুহাম্মদ ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় এই রায় দেয়।

 

সম্প্রতি বাংলাদেশের এক বহুল পরিচিত সংবাদ মাধ্যমে ‘ইসলামি ব্যাঙ্কে ভয়ঙ্কর নভেম্বর’  নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয় যে,  চলতি বছর আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে ১ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে। এ কারণে ব্যাঙ্কটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ঙ্কর নভেম্বর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে।

 

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ পাঁচ গ্রাহক এ দিন ‘দুদক’ ও ‘বিএফআইইউ’ কে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টির সম্পর্কে  জানিয়ে তদন্তের আবেদন করেন। চিঠি পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, আবদুল্লাহ সাদিক,  মুহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ এবং ব্যাঙ্কের দুই গ্রাহক জায়েদ বিন আমজাদ ও শায়খুল ইসলাম ইমরান। আবেদনকারীরা চিঠির বয়ানে লেখেন, আমরা ইসলামি ব্যাঙ্কের নিয়মিত গ্রাহক। ইসলামি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় আমাদের  অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো ইসলামি ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেনদেন করে থাকি।  তবে সম্প্রতি  ব্যাঙ্কের নামে নিয়মবহির্ভূত লেনদেন করার ঘটনা সামনে এসেছে। এছাড়াও নামিদামি কোম্পানিকে ঋণ প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে এসেছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা পূর্ণ তদন্ত চাই। কারণ বর্তমানে দেশটি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। এই ধরণের বেআইননি কাজ আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের গ্রাহকসহ জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত অতীতের ঘটনাগুলো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

 

এদিনের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উপরিউক্ত বিষয়টি সামলে নিয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্যও অনুরোধ করা হচ্ছে। এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন প্রতারকদের কঠোর শাস্তির দাবি চাই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসলামি ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট,  তদন্তের নির্দেশ 

আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: ইসলামি ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। এই মামলায় দুর্নীতি  দমন  কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ)তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী চার মাসের মধ্যে তদন্তের প্রতিলিপিটি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  রবিবার বিচারপতি মুহাম্মদ ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় এই রায় দেয়।

 

সম্প্রতি বাংলাদেশের এক বহুল পরিচিত সংবাদ মাধ্যমে ‘ইসলামি ব্যাঙ্কে ভয়ঙ্কর নভেম্বর’  নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয় যে,  চলতি বছর আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে ১ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে। এ কারণে ব্যাঙ্কটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ঙ্কর নভেম্বর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে।

 

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ পাঁচ গ্রাহক এ দিন ‘দুদক’ ও ‘বিএফআইইউ’ কে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টির সম্পর্কে  জানিয়ে তদন্তের আবেদন করেন। চিঠি পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, আবদুল্লাহ সাদিক,  মুহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ এবং ব্যাঙ্কের দুই গ্রাহক জায়েদ বিন আমজাদ ও শায়খুল ইসলাম ইমরান। আবেদনকারীরা চিঠির বয়ানে লেখেন, আমরা ইসলামি ব্যাঙ্কের নিয়মিত গ্রাহক। ইসলামি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় আমাদের  অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো ইসলামি ব্যাঙ্কের সঙ্গে লেনদেন করে থাকি।  তবে সম্প্রতি  ব্যাঙ্কের নামে নিয়মবহির্ভূত লেনদেন করার ঘটনা সামনে এসেছে। এছাড়াও নামিদামি কোম্পানিকে ঋণ প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে এসেছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা পূর্ণ তদন্ত চাই। কারণ বর্তমানে দেশটি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। এই ধরণের বেআইননি কাজ আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের গ্রাহকসহ জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত অতীতের ঘটনাগুলো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

 

এদিনের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উপরিউক্ত বিষয়টি সামলে নিয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্যও অনুরোধ করা হচ্ছে। এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন প্রতারকদের কঠোর শাস্তির দাবি চাই।