শহরের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
- আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, শনিবার
- / 442
পুবের কলম প্রতিবেদক: খাস কলকাতার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। বাগবাজার থেকে উদ্ধার হয় রহস্যময় অগ্নিদগ্ধ দেহ। বাগবাজারের নিবেদিতা লেনে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একদম নীচের তলা থেকে এক ব্যক্তির অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনা খুনের নাকি আত্মঘাতীর তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ অনুমান করছে, সম্ভবত খুনই করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তবে কেন বা কারা এই খুন করেছে তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, মৃত এই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে খুনের পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়েছে। ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তের সমস্ত রিপোর্ট আসার পরই আসল ঘটনা স্পষ্ট জানা যাবে বলে জানিয়েছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি অস্বাভাবিক পোড়া গন্ধ পান বলে অভিযোগ করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই পোড়া গন্ধের উৎস পাওয়া যায়। তাঁরা বুঝতে পারেন ওই নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে আসছে এই গন্ধ। তারপর সেখানে গিয়েই এলাকার স্থানীয়রা দেখতে পান এক ব্যক্তির দগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ জানতে পারে, ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের গেটে তালা লাগানো ছিল। ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫৫ বা তার আশেপাশে হবে। পুরো ঘটনার জেরে বাগবাজার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি শনিবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার কাঁটাতলার নলবনের বাঁধের উপর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লেদার কমপ্লেক্স থানা পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হোটেলে কাজ করা ওই যুবককে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। সকালে নলবনে কাজ করতে আসা কর্মীরাই বাঁধের ওপরে দেহ পড়ে থাকতে দেখে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে জুতো, টাকার ব্যাগ, রুমাল, বিড়ির প্যাকেট। নলবনের কর্মী থেকে স্থানীয় হোটেল কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেউ ওই যুবককে চেনেন কি না সেই জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের অনুমান ওই এলাকায় এসে কেউ নিজের গলায় আঘাত করে আত্মঘাতী হতে পারে না। ওই যুবককে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। নলবনের সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে দমদম ক্যান্টনমেন্টের এক নম্বর রেলগেট সংলগ্ন জ্যোতিনগর এলাকায় প্রায় একই ঘটনা ঘটে। সেখানে বস্তাবন্দি অবস্থায় অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, দেহটি এক মহিলার। পরে অবশ্য তারা জানায়, মৃত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তাঁর পরিচয় এখনও জানতে পারেনি দমদম থানার পুলিশ। আপাতত একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।




















































