বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর বাড়তি নজরদারি

- আপডেট : ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার
- / 112
ইনামুল হক, বসিরহাটঃ ভারত-পাক যুদ্ধ শুরু হতেই বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর উপর ভরসায় আশ্বস্ত সীমান্তবাসী। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে বসিরহাট মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ঘোজাডাঙায় নজরদারি চলছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরায়। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের সুন্দরবনের জন সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া প্রহরায় রয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের একের পর এক সাফল্যে গর্বিত ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের মানুষ।
যদিও এই সীমান্ত পাকিস্তান-সংলগ্ন নয়, তবু পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও নাশকতা ঠেকাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে ‘সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কড়া নজর । সূত্র অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘোজাডাঙা দিয়ে কোনও রকম জঙ্গি অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেজন্য তৎপর জওয়ানরা।
রাতে অতিরিক্ত টহল, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের উপর নজরদারি চলছে। যুদ্ধের হুঙ্কারে সারা দেশ উত্তেজিত থাকলেও দেশের প্রতিটি সীমানায় যখন গ্রামের মানুষ বলে যে, “সেনারা আছেন, আমরা নিরাপদে ঘুমাতে পারি”। এই বিশ্বাসই ভারতের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা মনোবলকে আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে যুদ্ধের সময় শুধু সীমান্ত নয়, গোটা দেশই হয়ে ওঠে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মঞ্চ। বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে সেনা ও সাধারণ মানুষের যে সহাবস্থান ও পারস্পরিক আস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে, তা নিঃসন্দেহে দেশপ্রেম ও সাহসিকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।