২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিরুপতি মন্দিরের অহিন্দু কর্মীদের তাড়ানোর দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 155

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় কুমার অভিযোগ করলেন, তিরুপতি মন্দিরে হাজার জনের মতো অহিন্দু কাজ করছেন। যাদের ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের উপর বিন্দুমাত্র আস্থা নেই, যারা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী নন, তাঁরা কী করে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানে কাজ করতে পারেন? জিজ্ঞাসা মন্ত্রীর।

তিনি বলেছেন, হতে পারে আগে থেকে এরা কাজ করছেন। কিন্তু এখন তাদের সরিয়ে দিতে অসুবিধা কীসের? কিছু এমন সমস্যা থাকতে পারে, যা হয়তো বলা যাচ্ছে না। তা অনুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। মন্ত্রী বলেছেন, যে সব অহিন্দু এই মন্দির দর্শন করতে আসেন তাঁদের ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের উপর বিশ্বাস জানাতে হবে। কিন্তু যেসব অহিন্দুর ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের উপর বিশ্বাস নেই, আস্থা নেই, শ্রদ্ধা নেই, তাদের এখানে কাজ করার অধিকার নেই। মোটমাট বোঝা যাচ্ছে, এই মন্দিরে কর্মরত হাজার খানেক কর্মীর চাকরি স্রেফ ধর্মীয় কারণে যেতে বসেছে।

মন্ত্রী বলেন, হালে এই মন্দিরের এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি মন্দিরে কাজ করেও রোজ গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করতেন। মন্ত্রী বলেছেন, অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা হোক, তিরুপতি মন্দিরে কতজন অহিন্দু কর্মী রয়েছেন। এতকাল তাঁদের নিয়ে তদন্ত হয়নি কেন? এখানকার হিন্দু ভক্তরা ওঁদের ব্যাপারে খুবই ভীতসন্ত্রস্ত বলে আমি জানি।

আরও পড়ুন: হিন্দু নন, তিরুপতি মন্দির থেকে বহিষ্কৃত ৪

উল্লেখ্য, কোনও মন্দিরে কর্মরতদের জাত বা ধর্ম নিয়ে কখনও বিতর্ক ওঠেনি। স্বাধীনতার এত বছর পর এই প্রথম বিভিন্ন প্রদেশেই মন্দিরের অহিন্দু কর্মীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এর আগে কর্নাটকের এক মন্দিরের প্রায় ২০০০ অহিন্দু কর্মীকে বাদ দেওয়ার দাবি জানায় হিন্দু জাগরণ সমিতি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তিরুপতি মন্দিরের অহিন্দু কর্মীদের তাড়ানোর দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় কুমার অভিযোগ করলেন, তিরুপতি মন্দিরে হাজার জনের মতো অহিন্দু কাজ করছেন। যাদের ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের উপর বিন্দুমাত্র আস্থা নেই, যারা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী নন, তাঁরা কী করে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানে কাজ করতে পারেন? জিজ্ঞাসা মন্ত্রীর।

তিনি বলেছেন, হতে পারে আগে থেকে এরা কাজ করছেন। কিন্তু এখন তাদের সরিয়ে দিতে অসুবিধা কীসের? কিছু এমন সমস্যা থাকতে পারে, যা হয়তো বলা যাচ্ছে না। তা অনুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। মন্ত্রী বলেছেন, যে সব অহিন্দু এই মন্দির দর্শন করতে আসেন তাঁদের ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের উপর বিশ্বাস জানাতে হবে। কিন্তু যেসব অহিন্দুর ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের উপর বিশ্বাস নেই, আস্থা নেই, শ্রদ্ধা নেই, তাদের এখানে কাজ করার অধিকার নেই। মোটমাট বোঝা যাচ্ছে, এই মন্দিরে কর্মরত হাজার খানেক কর্মীর চাকরি স্রেফ ধর্মীয় কারণে যেতে বসেছে।

মন্ত্রী বলেন, হালে এই মন্দিরের এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি মন্দিরে কাজ করেও রোজ গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করতেন। মন্ত্রী বলেছেন, অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা হোক, তিরুপতি মন্দিরে কতজন অহিন্দু কর্মী রয়েছেন। এতকাল তাঁদের নিয়ে তদন্ত হয়নি কেন? এখানকার হিন্দু ভক্তরা ওঁদের ব্যাপারে খুবই ভীতসন্ত্রস্ত বলে আমি জানি।

আরও পড়ুন: হিন্দু নন, তিরুপতি মন্দির থেকে বহিষ্কৃত ৪

উল্লেখ্য, কোনও মন্দিরে কর্মরতদের জাত বা ধর্ম নিয়ে কখনও বিতর্ক ওঠেনি। স্বাধীনতার এত বছর পর এই প্রথম বিভিন্ন প্রদেশেই মন্দিরের অহিন্দু কর্মীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এর আগে কর্নাটকের এক মন্দিরের প্রায় ২০০০ অহিন্দু কর্মীকে বাদ দেওয়ার দাবি জানায় হিন্দু জাগরণ সমিতি।