১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ায় ফের তৃণমূল! ইঙ্গিত সাকেতের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ মে ২০২৫, রবিবার
  • / 116

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের গোয়ার নির্বাচনে লড়তে চলেছে তৃণমূল!  ২০২৭-এ গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ফের ময়দানে নামার ইঙ্গিত দিল ঘাসফুল শিবির। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, আগামী ২০২৭ নির্বাচনে গোয়ায় লড়ার কথা ভাবছে তৃণমূল। এই বছরের শেষের দিকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তাঁরা। গোয়ায় বিরোধী দল কংগ্রেসের ওপর বিরক্ত সাধারণ মানুষ।  কারণ,  ২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হন। তাঁদের মধ্যে বিরোধী দলনেতা সহ দশ জন বিজেপিতে যোগ দেন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও। জিতে আসা এগারো জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে আটজন বিজেপিতে যোগ দেন। দল বদলান খোদ বিরোধী দলনেতাও। সেখানকার মানুষ রাজ্য কংগ্রেসের ওপর বিরক্ত, অসন্তুষ্ট। তাই বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে গোয়ায় তৃণমূলের প্রয়োজন। সেই কথা মাথায় রেখেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে গোয়া তৃণমূল নেতৃত্ব।

বলা বাহুল্য, ২০২১ সালে গোয়ায় প্রদেশ শাখা তৈরি করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২২ সালে সে রাজ্যে ভোটেও লড়ে। তবে এখন প্রশ্ন,  বাংলার শাসক দল হঠাৎ পশ্চিম ভারতের সাগরপাড়ে গেল কেন? তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলে ঘটনাপ্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে জানান, গোয়ার মানুষ প্রতারিত হতে হতে ক্লান্ত, তাই মানুষের কাছে বিকল্প পথের হদিশ দিতে তৃণমূল গোয়ায় গিয়েছে। দলটি গোয়ার জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং রাজ্যে গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গোয়ার মাটিতে বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই করার জন্য ভরসাযোগ্য বিরোধী প্রয়োজন। সেই ভূমিকা পালনে একমাত্র যোগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাঁর মতে, একদিন গোয়া পরিচালনা করবে গোয়ার নাগরিকেরা এবং গোয়া তৃণমূল। তৃণমূল গোয়ার উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: জয়নগরে সমবায় নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখল তৃণমুল কংগ্রেস

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গোয়ায় ফের তৃণমূল! ইঙ্গিত সাকেতের

আপডেট : ৪ মে ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের গোয়ার নির্বাচনে লড়তে চলেছে তৃণমূল!  ২০২৭-এ গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ফের ময়দানে নামার ইঙ্গিত দিল ঘাসফুল শিবির। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, আগামী ২০২৭ নির্বাচনে গোয়ায় লড়ার কথা ভাবছে তৃণমূল। এই বছরের শেষের দিকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তাঁরা। গোয়ায় বিরোধী দল কংগ্রেসের ওপর বিরক্ত সাধারণ মানুষ।  কারণ,  ২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হন। তাঁদের মধ্যে বিরোধী দলনেতা সহ দশ জন বিজেপিতে যোগ দেন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও। জিতে আসা এগারো জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে আটজন বিজেপিতে যোগ দেন। দল বদলান খোদ বিরোধী দলনেতাও। সেখানকার মানুষ রাজ্য কংগ্রেসের ওপর বিরক্ত, অসন্তুষ্ট। তাই বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে গোয়ায় তৃণমূলের প্রয়োজন। সেই কথা মাথায় রেখেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে গোয়া তৃণমূল নেতৃত্ব।

বলা বাহুল্য, ২০২১ সালে গোয়ায় প্রদেশ শাখা তৈরি করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২২ সালে সে রাজ্যে ভোটেও লড়ে। তবে এখন প্রশ্ন,  বাংলার শাসক দল হঠাৎ পশ্চিম ভারতের সাগরপাড়ে গেল কেন? তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলে ঘটনাপ্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে জানান, গোয়ার মানুষ প্রতারিত হতে হতে ক্লান্ত, তাই মানুষের কাছে বিকল্প পথের হদিশ দিতে তৃণমূল গোয়ায় গিয়েছে। দলটি গোয়ার জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং রাজ্যে গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গোয়ার মাটিতে বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই করার জন্য ভরসাযোগ্য বিরোধী প্রয়োজন। সেই ভূমিকা পালনে একমাত্র যোগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাঁর মতে, একদিন গোয়া পরিচালনা করবে গোয়ার নাগরিকেরা এবং গোয়া তৃণমূল। তৃণমূল গোয়ার উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: জয়নগরে সমবায় নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখল তৃণমুল কংগ্রেস