০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরপ্রদেশে প্রসূতির পেটের ভেতর তোয়ালে

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 20

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটের ভেতর তোয়ালে রেখে বেমালুম ভুলে গেলেন চিকিৎসক। শুধু ভুল নয়, ব্যথা হচ্ছে জানাতে চিকিৎসক বলে দিলেন, বাইরে প্রবল ঠান্ডার জন্যেই ব্যথা অনুভব করছেন ওই প্রসূতি। উত্তর প্রদেশের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে এমন অনেক চিত্রই উঠে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার সাইফি নার্সিংহোমে ভর্তি হন নজরানা নামের এক প্রসূতি। শিশুর জন্মের পর চিকিৎসক প্রসূতির পেটের ভেতর তোয়ালে রেখে, কাটা অংশ সেলাই করে দেন। এরপর ওই রোগিনী জানান, তাঁর পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে।

অভিযোগ শুনে চিকিৎসক বলেন, বাইরে প্রবল ঠান্ডার কারণেই ব্যথা হচ্ছে। এরপর নতুন করে ৫ দিন হাসপাতালে রেখে ওই প্রসূতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরেও ব্যথা কমছে না দেখে নজরানার স্বামী তাঁকে অন্য একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, প্রসূতির পেটে তোয়ালে রয়ে গেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। সেখানকার চিফ মেডিকেল অফিসার রাজীব সিংঘল জানিয়েছেন, ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মতলুব। তিনি যে শুধু চিকিৎসায় গাফিলতি করেছেন তাই নয়, জানা গেছে, তাঁর কাছে আদৌ নাসিংহোমের কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স ছাড়া কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় নাসিং হোম খোলা হল, সেই প্রশ্নও উঠছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেনি এখনও। চিফ মেডিকেল অফিসার নির্দেশিত তদন্ত শেষ হলে তবেই তাঁরা তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উত্তরপ্রদেশে প্রসূতির পেটের ভেতর তোয়ালে

আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটের ভেতর তোয়ালে রেখে বেমালুম ভুলে গেলেন চিকিৎসক। শুধু ভুল নয়, ব্যথা হচ্ছে জানাতে চিকিৎসক বলে দিলেন, বাইরে প্রবল ঠান্ডার জন্যেই ব্যথা অনুভব করছেন ওই প্রসূতি। উত্তর প্রদেশের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে এমন অনেক চিত্রই উঠে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার সাইফি নার্সিংহোমে ভর্তি হন নজরানা নামের এক প্রসূতি। শিশুর জন্মের পর চিকিৎসক প্রসূতির পেটের ভেতর তোয়ালে রেখে, কাটা অংশ সেলাই করে দেন। এরপর ওই রোগিনী জানান, তাঁর পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে।

অভিযোগ শুনে চিকিৎসক বলেন, বাইরে প্রবল ঠান্ডার কারণেই ব্যথা হচ্ছে। এরপর নতুন করে ৫ দিন হাসপাতালে রেখে ওই প্রসূতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরেও ব্যথা কমছে না দেখে নজরানার স্বামী তাঁকে অন্য একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, প্রসূতির পেটে তোয়ালে রয়ে গেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। সেখানকার চিফ মেডিকেল অফিসার রাজীব সিংঘল জানিয়েছেন, ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মতলুব। তিনি যে শুধু চিকিৎসায় গাফিলতি করেছেন তাই নয়, জানা গেছে, তাঁর কাছে আদৌ নাসিংহোমের কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স ছাড়া কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় নাসিং হোম খোলা হল, সেই প্রশ্নও উঠছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেনি এখনও। চিফ মেডিকেল অফিসার নির্দেশিত তদন্ত শেষ হলে তবেই তাঁরা তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।